এক. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য আকাশের কাছাকাছি পৌছে দেয়া হয়েছে। আমরা জানি, আমাদের দেশে কোন জিনিসের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না। বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে জনগণ প্রতিবাদও করতে পারছেনা। আকাশ ছোয়া এই দ্রব্যমূল্য আমাদের জন্য স্থায়ী নিয়তি হয়ে গেল।
দুই. বর্তমান সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আগামী গণতান্ত্রিক সরকারকেও বেপরোয়া ও স্বৈরাচারী করে তুলবে। একদিকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রফেসর আনোয়ার হোসেন মিডিয়ার সামনে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমা চান। আর অন্য দিকে জেলখানা থেকে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার চিঠি পৌছেনা। সরকারে এহেন দ্বৈতনীতি আগামী সরকারের কাছে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
তিন. একদিকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে বিচারকদের চাকুরী থেকে অপসারণের ন্যাক্করজনক দৃষ্টান্ত আর অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নাটক আগামী সরকারকে অনেক বিচারিক দুর্নীতির প্রেরণা দেবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা আজম জে চৌধুরীর মামলা হাইকোর্টে বাতিলের রায় সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতের ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা আরো সুদরপরাহত হয়ে গেল।
চার. দুদক যেভাবে বর্তমান সরকারের সকল এসাইনমেন্ট বিশ্বস্ততার সাথে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে আগামীতেও তাই ঘটবে। নতুন সরকার এসে দুদককে সে ভাবেই ব্যবহার করতে চাইবে। দুদক পরিণত হবে সরকারের চিরস্থায়ী আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে, যার কাজই হবে সরকারের অপছন্দের লোককে নির্যাতন করা।
পাঁচ. দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ব্যবসায়ীদের আটকে রাখা হয়েছে জেলে। চেষ্টা করেও উদ্যেক্তা ও ব্যবসায়ীদের মন থেকে শঙ্কা দুর করা যাচ্ছে না। বিনিয়োগ নেই। কর্মসংস্থান নেই। বাড়ছে বেকারত্ব। একটি গণতান্ত্রিক সরকার কি মতায় এসেই ব্যবসায়ীদের মন থেকে সব ভয় শঙ্কা দূর করতে পারবে? ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সেই রমরমা অবস্থা ফিরে আসতে আবার আমাদের কত যুগ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:৩০