আমি রংপুরের সন্তান। মঙ্গাপিড়ীত এলাকার মানুষ বলে বন্ধু বান্ধবদের খোটা হাসিমুখেই সহ্য করি। বন্ধুদের কটাক্ষের প্রতিবাদ তো করিইনা বরং আগামীতে এই দরিদ্র মানুষদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখি।
দুদিন হলো ঢাকার কর্মব্যস্ত জীবন ছেড়ে রংপুরে এসেছি বেড়াতে। গত দুই দিনে ক্ষুধার সাথে দরিদ্র মানুষের সংগ্রামের যে চিত্র আমি দেখেছি তা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আমাদের গ্রামের মুদি দোকানের সামনে বসে আছি। একজন লোক এসে এক কেজি চাল এবং কিছু তেলু নুন কিনলো । লোকটি চলে যাবার পর দোকানী যা বললো তাতে আমি ভীষণ শক খেলাম। দোকানী বললো এই লোকটি দিনমজুর এবং সে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জণক্ষম ব্যক্তি। লোকটির পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা পাঁচ। প্রতিদিন তাদের চাল লাগে তিন কেজি। গতকাল সে নিয়েছে দুই কেজি চাল, আজ নিলো এক কেজি। আজ সে এই এক কেজি চাল দিয়েই দিন কাটাবে।
ক্ষুধার সাথে মানুষের সংগ্রামের এই চিত্রটি আজ আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম গ্রামে দিনমজুরদের মজুরি ১০০ টাকা। চালের দাম সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা কেজি। যে পরিবারে প্রতিদিন ৩ কেজি চাল লাগে ১০০ টাকা দিয়ে তাদের শুধু চালের প্রয়োজনইতো মেটে না। অন্যান্য দৈনন্দিন চাহিদা তো অনেক পরের কথা।
এভাবে আর কতদিন? এর কি কোনই সমাধান নেই?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২