জাহাঙ্গীর আলম আকাশ সাহেব রাবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে চমৎকার একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি সাংবাদিক মানুষ। লেখালেখিতে বেশ হাত পাকিয়েছেন। তার সাথে লড়াই করতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবু বিবেকের তাড়ণায় দুটি কথা না লিখে পারা গেল না।
তিনি লিখেছেন: বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাবিতে দুইজন বিশিষ্ট অধ্যাপক খুন হন। কিন্তু প্রকৃত খুনিরা ধরাছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ভীত-সন্ত্রস্ত পুরো ক্যাম্পাস। অধ্যাপক তাহের হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি ছাত্রশিবিরের রাবি শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম সালেহী রহস্যজনকভাবে খালাস পাবার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এখানকার প্রগতিশীল শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, শিবির নেতা সালেহী ছাড়া পাওয়াতে প্রগতিশীল যে কারো জীবন যেকোনো সময় বিপন্ন হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একজন অপরাধি যখন বেকসুর খালাস পায় তখন সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
আকাশ সাহেব, সম্ভবত রাবির দুজন অধ্যাপক বলতে অর্থনীতির মোহাম্মদ ইউনুস স্যার ও ভূতত্ব ও খনিবিদ্যার ড. তাহের স্যারের কথা বুঝিয়েছেন।
মজার ব্যাপার হলো এই দুজন শিক্ষক হত্যাকান্ডের পর আকাশ সাহেবরা জামাত শিবিরের দিকে তাদের আঙুল নির্দেশ করলেও আদালতের মাধ্যমে শিবিরের সবাই খালাস পেয়ে যায়। জেএমবি যখন মোহাম্মদ ইউনুস স্যার হত্যাকান্ডের দায় দায়িত্ব স্বীকার করে, পুলিশ যখন প্রফেসর ইউনুস হত্যাকান্ডের দায়ে জামাত শিবিরের পরিবর্তে জেএমবির নামে চার্জশিট দেয় তখন আকাশের মতো সাংবাদিকদের মুখে চুনকালি পড়ে।
ড. তাহের হত্যা মামলা থেকেও যখন সালেহী খালাস পায়, তখনও কিছু সাংবাদিক লজ্জায় মুখ ঢাকে।
দু:খ হয় আকাশের জন্য। কারণ অন্যদের মতো আকাশ সহজে লজ্জা পায় না। শুনেছি, দুই কান কাটারা নাকি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে।
ভালো কথা, আকাশ সাহেব, জেল থেকে ছাড়া পেলেন কবে?
জেলে ওরা আপনার যত্ন আত্তি ঠিক মতো করেছে তো?
আর আপনার চাঁদাবাজির মামলাটার কী হলো? শুনলাম কাকে নাকি ধরে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন! শেষ পর্যন্ত খালাশ পাবেনতো?
সালেহী যে খুনি এটা জানার জন্যই জেলে গিয়েছিলেন নাকি? নাহলে আপনার মতো বড় সাংবাদিকের তো চাঁদাবাজির মামলায় ফেঁসে যাওয়ার কথা নয়!