> কিছুদিন আগে প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাওয়া এই দুঃস্থদের ( ফকির) নিজের গাছের লেবু দিয়ে শরবত বানিয়ে খাইয়েছিলাম যখন ওরা ভিক্ষা করতে এসেছিলো! অনুরোধ করেছিলাম- আপনারাও এই গরমে এসব দুঃস্থদের মত কারো পাশে ৫ টাকা দিয়ে একটা স্যালাইন কিনে দিয়ে তাদের তৃষ্ণা মেটাতে পারেন! সে সময় আমার উদ্যেগকে অনেকেই প্রশংসা করেছিলো! তাদের মধ্যে থেকে একজন আমার এই ডাক্তার বন্ধুনী- জানতে চেয়েছিলো এদের জন্য আর কি করা যায়?
> আমি বলেছিলাম- এরা মাইলখানেক এর উপরে রাস্তা হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা করতে আসে শহরে! হাতে গোনা দু একজন ছাড়া কারো পায়ে স্যান্ডেল নেই! এদের স্যান্ডেল/ ছাতা/ স্যালাইন দেয়া যায় সাধ্যমত! আমার বন্ধুনী তার সাধ্যের মধ্যে এদের জন্য স্যান্ডেল আর স্যালাইন ডোনেট করে ! মাধ্যম হিসেবে আমি থাকি!
>> আজ সেই ৩৫ জন ফকির কে স্যান্ডেল আর স্যালাইন দিয়েছি! এদের মুখে যে হাসি দেখেছি আর দোয়া পেয়েছি তা দেখে নিজেও অনেক শান্তি পেয়েছি! ইচ্ছে করলেই আমরা নিজেরা এমন ছোট ছোট কিছু কাজ করতে পারি আর এভাবে পাশে দাঁড়াতে পারি নিজের আশে পাশে থাকা কিছু দুঃস্থ মানুষদের !
>>> আমার এই বন্ধুনী আমার স্কুলের জন্য ও কিছু করছে! আল্লাহ্ যেন তার এই দান কে কবুল করে নেন! আর তার সকল নেক ইচ্ছে পূরণ করেন!
>>> এই দুঃস্থদের ( ফকির) পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার! কিছুদিন আগে দিনাজপুরের মন্ত্রী মহাশয় এই শহরের হিজড়াদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন! ঠিক তেমনি ভাবে যদি এদের ও করতেন খুব ভালো হত! কারন এরা বেশির ভাগ-ই বৃদ্ধ ! কাজ করার ক্ষমতা নেই + এদের দেখার কেউ নেই! এরা তাই মাইল খানেক রাস্তা হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা করে যা পান তাই দিয়ে চলে! পারিবারিক ও ব্যক্তিগত ভাবে আমরা এবং আমি এদের জন্য যখন যা পারি তাই করি কিন্তু তা খুব সামান্য!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০