somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

যেভাবে জেগে ওঠে মুষ্টিবদ্ধ হাত

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




যেভাবে জেগে ওঠে মুষ্টিবদ্ধ হাত
ফকির ইলিয়াস
=====================================
আমি ১৯৭১ দেখেছি। দেখেছি, কীভাবে জেগে ওঠে মানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত। দেখেছি, কীভাবে বাঁশের লাঠি দিয়ে পাক হানাদারদের তাড়াবার জন্য মানুষ ছুটে এসেছিলেন গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে। তারা ভাবেননি, গুলির নিচে তাদের প্রাণ যাবে। তারা ভাবেননি, লাঠি দিয়ে স্টেনগান মোকাবেলা সম্ভব নয়। তারা ছুটে এসেছিলেন। প্রাণে তাদের যে সাহস ছিল এটাই ছিল অন্যতম শক্তি।

আমরা এই জাগরণ এর পরও বারবার দেখেছি। ১৯৫২, ’৬৯, ’৭০, ’৭১ পেরিয়ে বাংলাদেশে মানুষ জেগে উঠেছে স্বাধীনতার পরও। ১৯৭৫ সালে যখন জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে- এর পরও মানুষ দ্রোহী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সামরিক জান্তারা পাকিস্তানি কায়দায় মানুষকে ঘর থেকে বেরোতে দেয়নি। এর পরও মানুষ সশস্ত্র প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল। যারা মুজিব হত্যার প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন- তাদের কেউ কেউ এখনো বাংলাদেশে বেঁচে আছেন।

১৯৯০-এর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দেশ থেকে স্বৈরাচারী সামরিক শক্তিকে বিতাড়িত করেন গণমানুষ। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেও তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। শাহবাগের আন্দোলন স্মরণকালের একটি বড় সফলতা। এর রেশ ধরেই প্রজন্ম পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। আমি বলতে দ্বিধা করব না- এই আন্দোলন দেখেই বাংলাদেশে খুব ভীত হয়ে পড়েছে একটি মহল। তাই এরা প্রজন্মের কিছু সদস্যকে বেছে নিয়েছে তাদের হাতিয়ার হিসেবে। সাম্প্রতিককালে দেশে আধুনিক লেবাসধারী যে কয়েক জঙ্গি-জিহাদি আবির্ভূত হয়েছে, এরা সেই পরাজিত শক্তিরই মদদপুষ্ট। শাহবাগের পথ ধরেই আবার জেগে উঠছে বাংলাদেশ। এবার জেগে উঠছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। হাতে হাত রেখে দৃপ্ত কণ্ঠে জঙ্গিবাদকে ‘না’ বলেছে তরুণরা। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। সংস্থাটির অধীন ৩৭টি পাবলিক ও ৮৫টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসবের মধ্যে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী-শিক্ষক রয়েছেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ১০ লাখ ছাত্র-শিক্ষক আছেন। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০৫টি ফাজিল-কামিল মাদ্রাসার লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীও মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাও মানববন্ধনে যোগ দেয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এত মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে জঙ্গিবাদের প্রতি অনাস্থা, ঘৃণা এবং নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গিদের জানিয়ে দিয়েছি, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই সবুজভূমি কখনোই উগ্রবাদের চারণভূমি হবে না।’

এই উচ্চারণটিই আজ আপামর বাঙালি জাতির। এই দেশ জঙ্গিদের বর্বরতার ভূমি হতে পারে না। বড় অবাক করা বিষয় হলো- এই যে তরুণ, এরা কারা? কে তাদের মগজ ধোলাই করছে? কেন করছে? কিভাবে করছে? তারা মানুষ খুন করে ইসলামি হুকুমত কায়েম করতে চায়। এই অবস্থা বাংলাদশে খুব নতুন নয়। এই দেশে মৌলবাদী জঙ্গিদের মদদ দেয়া হয়েছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। শায়খ রহমান-বাংলা ভাই কার তৈরি- তা দেশবাসীর অজানা নয়। আজো এরই ধারাবাহিকতা চলছে। এই যে ঘর ছেড়ে এরা মানুষ হত্যা প্রকল্পে নেমেছে- তাদের ভবিষ্যৎ কি? কেন তারা এমন সুস্থ-সুন্দর জীবন বাদ দিয়ে আত্মঘাতী পথ বেছে নিচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের পেতে হবে। একই কথাটি মনে রাখা দরকার-চোরাগুপ্তা মানুষ খুন করে রেনেসাঁ কায়েম বর্তমান বিশ্বে সম্ভব নয়। মানুষ এখন অনেক এগিয়েছে। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরিধি বেড়েছে। তারপরও বোকার মতো এরা এমন পথ বেছে নিচ্ছে কেন? খুবই যৌক্তিক কথা বলেছেন দেশের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর রাখুন। সন্তানদের প্রতি নজর রাখুন। নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কোনো ছেলেমেয়ে যেন বিপর্যস্ত না হয় কিংবা বিপথগামী না হয় এ বিষয়ে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস পড়াতে হবে। যদি কেউ সেটা না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। হ্যাঁ, এই প্রজন্ম সত্য ইতিহাস থেকে সরে গেছে। আমরা দেখেছি, কারা এই প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ভ্রান্ত ইতিহাস পড়িয়েছে। কারা পাল্টে দিতে চেয়েছে আমাদের অনেক গৌরবগাথা। মানববন্ধন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যারা সরাসরি এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যারা ঘটিয়েছে, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা, যারা অর্থায়ন করে, তারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। এই অমানুষদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে। এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য, এদের কার্যক্রমকে প্রতিরোধ করা অসম্ভব কিছু নয়। শুধু প্রয়োজন আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান। দেশজুড়ে এখন জঙ্গিদের পরিচয় নিয়ে ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’ অভিযানে নিহত এক জঙ্গি পূর্ব পাকিস্তানের বহুল আলোচিত গভর্নর আবদুল মোনায়েম খানের নাতি। তার নাম আকিফুজ্জামান খান। তার বাবা সাইফুজ্জামান খান। আর দাদা আবদুল মোনায়েম খান। তাহলে কি বংশ পরম্পরায় একটি শ্রেণি এখনো বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না? এখনো তারা এই দেশটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে নানা ভাবে?

এরা এতটাই সংঘবদ্ধ যে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত ‘জিহাদি’দের পরিবারকে অর্থ সাহায্যও দিয়ে যাচ্ছে। এসব টাকা আসছে কোথা থেকে? বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা বিশেষ করে বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ান ও দি টাইমস এ নিয়ে বেশকিছু রিপোর্ট করে। ২০০২ সালের ১৫ অক্টোবর দি টাইমস ম্যাগাজিনে এলেক্স পেরির এক এক্সক্লুসিভ নিবন্ধে বলা হয়, এমভি মক্কা নামক একটি জাহাজে চড়ে ১৫০ জন আফগান ফেরত সশস্ত্র যোদ্ধা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেই যোদ্ধারাই দেশের মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে জঙ্গি তৈরিতে লিপ্ত হয়। এ জঙ্গিদের সহযোগিতায়ই তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার, বেছে বেছে আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল নেতাদের খুন করার মিশনে নেমে পড়ে। এ খুনের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শেখ হাসিনা সরকারের সফল অর্থমন্ত্রী এস এ এম এস কিবরিয়া, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিন, খুলনার মনজুরুল হক এডভোকেট, সাংবাদিক শামসুর রহমান প্রমুখ। তারপর থেকে সিনেমা হল, মাজার, উপাসনালয়ে বোমা হামলা করে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে থাকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় এক জঘন্য কাপুরুষোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী-সমর্থককে হত্যা করে এবং এ হামলায় প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩ জেলার সাড়ে ৪শ স্থানে পাঁচ শতাধিক বোমার বিম্ফোরণ ঘটায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। একযোগে কেঁপে ওঠে সারা দেশ। নিজেদের শক্তি জানান দিতে ওই বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। এতে দু’জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। সেই সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমেই জঙ্গি কার্যক্রমের প্রকাশ ঘটায় সংগঠনটি। বাংলাদেশের মানুষ এসব ঘটনা ভুলে যাননি। আগস্টকে এরা বেছে নিয়েছে খুনের মাস হিসেবে। ১৫, ১৭, ২১ আগস্টের এই দিনগুলো আঁধার হয়েই থাকছে দেশের ইতিহাসে। এই আঁধারের নির্মাতা কারা? তা ক্রমশ প্রকাশ হয়ে পড়ছে। যারা ডানপন্থীদের রক্ষাকবচ, তারাই এখন বলছেন, মৌলবাদ ঝেড়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামীর ‘ওইভাবে’ আর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্যতম পরামর্শক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। ২০ দলীয় জোটের জন্য জামায়াতকে একটি ‘দায়’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে এ বিষয়ে সরকার ও জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্ব ‘চিন্তাভাবনা’ করতে পারে। প্রফেসর এমাজউদ্দীন বলেছেন, ‘দেশের যে অবস্থা, তাতে জাতীয় ঐক্য করতে একটি রাজনৈতিক দলই বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। … জনগণের যে বিরোধী দল সেই দলের নেত্রী খালেদা জিয়া তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলের মধ্যে এই দলটিকে আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।’ এই কথাটির বিশ্লেষণ অন্যভাবেও করা যায়। বিএনপি কি চাইছে আপাতত জামায়াতকে বাদ দিয়ে সরকারের সঙ্গে দফারফা শেষে কিংবা ক্ষমতায় গিয়ে আবার জামায়াতের সঙ্গেই গাঁটছাড়া বাঁধতে? না হলে হঠাৎ করে ডানপন্থী বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দীন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা বুলি পাল্টাচ্ছেন কেন? নেপথ্যে কি অন্য কোনো মতলব কাজ করছে?

চমক দেয়ার মতো আরেকটি সংবাদ। বিভিন্ন সময়ে হামলা করতে গিয়ে কিংবা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গিদের কেউ নিহত হলে তার স্ত্রীকে কে বিয়ে করবে, সেটাও আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। গোয়েন্দাদের মতে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এসব সদস্য কৌশলে নারীদের ঘরছাড়া করে। তাদের ভাষায় একে বলে ‘হিজরত’। এই কথিত হিজরত করা নারীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডের অনেক খবর রাখে। আর এ কারণেই স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের নিজেদের জঙ্গি নেটওয়ার্কের বাইরে যেতে দেয়া হয় না। এটি নিশ্চিত করতেই কোনো নারী জঙ্গির স্বামী পুলিশের হাতে ধরা পড়লে কিংবা নিহত হলে তার দায়িত্ব কে নেবে সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। একইভাবে ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামী মারা গেলে আবার তৃতীয় জনের কাছে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও ওই জঙ্গি নারীর দ্বিতীয় স্বামী বিয়ের পরপরই নির্ধারণ করে রাখে মৃত্যুর পর কার সঙ্গে তার স্ত্রীর বিয়ে হবে।

কী ভয়াবহ চিত্র! না- আমরা এখনো মধ্যযুগ পেরিয়ে আসতে পারিনি! এসবের বিরুদ্ধে আজ প্রজন্ম জেগে উঠছে। এটা খুবই আশার কথা। নিজ নিজ প্লাটফর্ম থেকে এই মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করতে হবে। শক্তি আমাদের একটিই। ১৯৭১। ঠিক যেভাবে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেভাবেই হাতে হাত রেখে এগোতে হবে। সঠিক ইতিহাস চর্চাই বলে দেবে, এই বাংলার মাটি কীভাবে এঁকে রেখেছে বিজয়ী মানুষের পদচিহ্ন।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×