শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। দেশটি এমনি এক মূর্খতার পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মূর্খতাকে লজ্জা কিংবা আফসুসের বিষয় হিসেবে গণ্য না করে আমরা এটিকে গর্বের বিষয় হিসেবে মেনে নিয়েছি। কে কত বেশি মূর্খ তা প্রমাণ করার জন্য আমরা যেন এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছি। প্রথমেই আসা যাক আনুগত্যতার প্রশ্নে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এদেশে জাতির প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্যতা হচ্ছে সরকারের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণার শামিল। চরম ব্যক্তি স্বার্থে ন্যক্কারজনক চাটুকারিতায় পূর্ণ দলীয় আনুগত্যতাই বর্তমানে এদেশের প্রধান চাহিদা। অরাজনৈতিক একজন দেশপ্রেমিক সে দু’দলেরই শত্রু। কারণ, বর্তমানে এদেশে দলীয় আনুগত্যতার স্থান দেশ প্রেমের অনেক উপরে। একটি দেশ কিংবা জাতিকে চিরস্থায়ীভাবে তৃতীয় বিশ্বে অবস্থান করার জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ আর কি হতে পারে?
আর এই গন্ডমূর্খতার কারণেই আজ আমরা আল্লাহ পাকের সাথে ধৃষ্টতা করতেও দ্বিধাবোধ করিনা। দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ, এখানে দলীয় প্রেম কোন সমস্যা নয়, যতক্ষণ তা দেশ প্রেমের নিচে অবস্থান করে। দলীয় প্রেম যখন দেশ প্রেমের উপরে অবস্থান নেয়, তখন ওই দলীয় প্রেম ঈমানের অঙ্গ না হয়ে, হয়ে যায় শয়তানের অঙ্গ। জাতীয় পর্যায়ে মূর্খতার সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন আমাদের মাননীয় (!) প্রধানমন্ত্রী। উনার বক্তব্যটি ছিল, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার।” তিনি বুঝে নাকি না বুঝে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। না বুঝে দিয়ে থাকলে সমস্যা কম। যদি বুঝে দিয়ে থাকেন- তবে এ জাতির জন্য আফসুস। কোন মুসলমান পূজামন্ডপে গিয়ে আনন্দ করলে মুসলমান থাকতে পারেনা, যেমন পারেনা পূজামন্ডপে গিয়ে বোমা ফাটিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করলে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! ধর্ম না জানলে এই দুনিয়াতে কেউ আপনাকে অপরাধী বলবেনা, এটা পরকালে দেখা যাবে। তবে ধর্মের বিকৃত বিশ্লেষণ করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করলে সমাজে হানাহানি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর পরকালের বিচার তো সৃষ্টিকর্তা তিনি নিজেই করবেন। মন্ত্রী বলে ধর্ম সম্বন্ধে মুখে যা আসবে তাই বলবেন- না, তা হবে না। প্লিজ! কেউ আছেন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়ে দিতে। “ধর্ম যার যার”, কথাটি ঠিক কিন্তু “উৎসব সবার” কথাটি কখনই ঠিক নয়। অন্য ধর্মের কথা আমরা না বলি, মুসলমানদের জন্য তো কখনই ঠিক নয়। আল্লাহ পাক এ জাতির উপর রহমত বর্ষণ করুন। জাতীয় পর্যায়ে মূর্খতা দূর করুন। (আমীন)