বাংলাদেশে ‘হাম-রুবেলা’ নামক টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশুকে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন অফিসার ইফতেকার আহমেদ চৌধুরী জানান, এ টিকা কর্মসূচির জন্য টাকা দিয়েছে ‘এধার অষষরধহপব’ নামক একটি সংগঠন। তারা প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে ৩৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় ৩১২ কোটি টাকা) দিয়েছে। তবে মাধ্যম ছিল ইউনিসেফ। আর সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ওষুধ বানিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (serum institute) থেকে।”
উল্লেখ্য, ইহুদী দাতব্য সংগঠন ‘এধার অষষরধহপব’ পাশাপাশি উক্ত টিকাদান কর্মসূচির সহযোগিতায় আছে আরো দুটি ইহুদীবাদী ফ্রিমেসনিক সংগঠন,
(১) রোটারি ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এবং
(২) লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারও এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে বাজেট থেকে প্রায় ৫১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য, ‘এধার অষষরধহপব’ নামক সংগঠনটি বিশ্বের ৪৯টি দেশে এই হাম-রুবেলার টিকা কার্যক্রম চালাবে। কিন্তু তারা কৌশলে প্রথম গিনিপিগ বানিয়েছে বাংলাদেশের ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশুকে। আর বাংলদেশের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারাও এক অখ্যাত ভারতীয় কোম্পানির থেকে বানিয়েছে ওষুধটি।
মূলত কথিত এই টিকাদান কর্মসূচির নামে এটি যে বাংলাদেশে শিশুহত্যার একটি বিশাল চক্রান্ত ইতিমধ্যে তার খবরও আসতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে ঝিনাইদহে ১ জন, গাজীপুরে ১ শিশু মারা গেছে। এছাড়া ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, গোপালগঞ্জে হাজার হাজার শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর একইভাবে ভারতীয় কোম্পানি ওলিভ হেলথ কেয়ারের বানানো বিষাক্ত ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল’ খেয়ে হাজার হাজার শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক শিশু সে সময় মারাও যায়।
ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদিত, কিন্তু ‘হু’ নিজেই কতটুকু নির্ভরযোগ্য?
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)কে সবাই ওষুধের মান নির্ণায়ক হিসেবে মনে করে। কিন্তু ‘হু’র কার্যক্রমই বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত। সংস্থাটি মূলত পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৯৮৭ সালে মার্কিন হেলথ ফেডারেশনের এক কনফারেন্সে বিষয়টিকে উন্মুক্ত করে বক্তারা বলেছিল, “আফ্রিকাকে এইডস দিয়ে ধ্বংস করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই দায়ী।” তাদের দাবি, “এইচআইভি ভাইরাস ভাইরাসবিশেষজ্ঞ কর্তৃক (বানর থেকে পাওয়া) রূপান্তরিত হাইব্রিড ভাইরাস, যা সাব সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান দেশগুলোতে ১৯৭০ সালে গুটিবসন্ত ভ্যাকসিন ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত হেপাটাইটিস বি ভাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত করে)।”
দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে
ছাপা একটি রিপোর্ট
বিশ্ব পোলিও নির্মূল কর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে। সেই সময় গবেষণায় বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি স্টেটে দেখা যায়, উক্ত পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেনসহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহার পুরুষের জন্য বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান: “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
তাই ইহুদী এবং মুশরিক (হিন্দু) গোষ্ঠী মুসলমানদের উপকার করার জন্য এত বিশাল টাকা ইনভেস্ট করবে এটা চিন্তা করাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বরং তাদের শত্রু মুসলমানদের ক্ষতি করার কৌশল হচ্ছে- এই টিকাদান কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে দ্রুতবর্ধিষ্ণু মুসলমানদের জনসংখ্যা হ্রাস করা ইহুদী-মুশরিকদের বর্তমানে অন্যতম টার্গেট। তাই সেই টার্গেট বাস্তবায়নে বহু টাকার যুদ্ধাস্ত্র ব্যয় বাদে এখন কথিত ভ্যাকসিন দিয়েই কাজ সারতে চাইছে তারা। আর বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সেই টাকার লোভে শিশুদের ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে।
তাই অবিলম্বে এই চক্রান্তমূলক টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হোক, এটাই সবার কাম্য।