somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘হাম-রুবেলা’ নামক টিকাদান কর্মসূচি: ইহুদী টাকায় ভারতীয় মুশরিকদের বানানো বিষ প্রবেশ করানো হচ্ছে বাংলাদেশের শিশুদের শরীরে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে ‘হাম-রুবেলা’ নামক টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশুকে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন অফিসার ইফতেকার আহমেদ চৌধুরী জানান, এ টিকা কর্মসূচির জন্য টাকা দিয়েছে ‘এধার অষষরধহপব’ নামক একটি সংগঠন। তারা প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে ৩৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় ৩১২ কোটি টাকা) দিয়েছে। তবে মাধ্যম ছিল ইউনিসেফ। আর সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ওষুধ বানিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (serum institute) থেকে।”
উল্লেখ্য, ইহুদী দাতব্য সংগঠন ‘এধার অষষরধহপব’ পাশাপাশি উক্ত টিকাদান কর্মসূচির সহযোগিতায় আছে আরো দুটি ইহুদীবাদী ফ্রিমেসনিক সংগঠন,
(১) রোটারি ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এবং
(২) লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারও এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে বাজেট থেকে প্রায় ৫১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য, ‘এধার অষষরধহপব’ নামক সংগঠনটি বিশ্বের ৪৯টি দেশে এই হাম-রুবেলার টিকা কার্যক্রম চালাবে। কিন্তু তারা কৌশলে প্রথম গিনিপিগ বানিয়েছে বাংলাদেশের ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশুকে। আর বাংলদেশের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারাও এক অখ্যাত ভারতীয় কোম্পানির থেকে বানিয়েছে ওষুধটি।
মূলত কথিত এই টিকাদান কর্মসূচির নামে এটি যে বাংলাদেশে শিশুহত্যার একটি বিশাল চক্রান্ত ইতিমধ্যে তার খবরও আসতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে ঝিনাইদহে ১ জন, গাজীপুরে ১ শিশু মারা গেছে। এছাড়া ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, গোপালগঞ্জে হাজার হাজার শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর একইভাবে ভারতীয় কোম্পানি ওলিভ হেলথ কেয়ারের বানানো বিষাক্ত ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল’ খেয়ে হাজার হাজার শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক শিশু সে সময় মারাও যায়।

ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদিত, কিন্তু ‘হু’ নিজেই কতটুকু নির্ভরযোগ্য?

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)কে সবাই ওষুধের মান নির্ণায়ক হিসেবে মনে করে। কিন্তু ‘হু’র কার্যক্রমই বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত। সংস্থাটি মূলত পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৯৮৭ সালে মার্কিন হেলথ ফেডারেশনের এক কনফারেন্সে বিষয়টিকে উন্মুক্ত করে বক্তারা বলেছিল, “আফ্রিকাকে এইডস দিয়ে ধ্বংস করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই দায়ী।” তাদের দাবি, “এইচআইভি ভাইরাস ভাইরাসবিশেষজ্ঞ কর্তৃক (বানর থেকে পাওয়া) রূপান্তরিত হাইব্রিড ভাইরাস, যা সাব সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান দেশগুলোতে ১৯৭০ সালে গুটিবসন্ত ভ্যাকসিন ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত হেপাটাইটিস বি ভাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত করে)।”

দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে
ছাপা একটি রিপোর্ট

বিশ্ব পোলিও নির্মূল কর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে। সেই সময় গবেষণায় বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি স্টেটে দেখা যায়, উক্ত পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেনসহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহার পুরুষের জন্য বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান: “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
তাই ইহুদী এবং মুশরিক (হিন্দু) গোষ্ঠী মুসলমানদের উপকার করার জন্য এত বিশাল টাকা ইনভেস্ট করবে এটা চিন্তা করাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বরং তাদের শত্রু মুসলমানদের ক্ষতি করার কৌশল হচ্ছে- এই টিকাদান কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে দ্রুতবর্ধিষ্ণু মুসলমানদের জনসংখ্যা হ্রাস করা ইহুদী-মুশরিকদের বর্তমানে অন্যতম টার্গেট। তাই সেই টার্গেট বাস্তবায়নে বহু টাকার যুদ্ধাস্ত্র ব্যয় বাদে এখন কথিত ভ্যাকসিন দিয়েই কাজ সারতে চাইছে তারা। আর বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সেই টাকার লোভে শিশুদের ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে।
তাই অবিলম্বে এই চক্রান্তমূলক টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হোক, এটাই সবার কাম্য।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×