ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অনুমতি ব্যতিরেকে যৌনাঙ্গের মিলন ঘটিয়ে বা না ঘটিয়ে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়াকে ধর্ষণ বলা হয়।
ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, বিচার ও অভিযুক্তের শাস্তিপ্রদানের হার বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচার পরিসংখ্যান ব্যুরো-র (১৯৯৯) হিসেব অনুসারে সেদেশের ধর্ষিতদের মধ্যে ৯১% মহিলা ও ৯% পুরুষ এবং ৯৯% ক্ষেত্রেই অপরাধী পুরুষ। মহিলাদের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁরা তাঁদের উপর যৌন অত্যাচারের কথা স্বীকার করেন, তাঁদের মাত্র দুই শতাংশ বলেন যে তাঁরা কোনো অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে কারাগারে পুরুষ কর্তৃক পুরুষের ধর্ষণ একটি গুরুতর সমস্যা। একাধিক গবেষণা থাকে জানা যায়, পুরুষ-পুরুষ বন্দী ধর্ষণ ধর্ষণের সর্বাধিক পরিচিত একটি ধরন। অথচ এই ধর্ষণের সংবাদই সবচেয়ে কম প্রকাশ্যে আসে। কয়েকটি গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে এই ধরনের ধর্ষণের সংখ্যা সাধারণ জনসংখ্যায় পুরুষ-নারী ধর্ষণের মাথাপিছু ও আনুমানিক সংখ্যার চেয়েও বেশি।
যুদ্ধকালীন ধর্ষণ ও যৌন ক্রীতদাসত্ব বহুপরিচিত ও বহু-অনুশীলিত অভ্যাস হলেও এটি মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হয়। এছাড়াও ধর্ষণ গণহত্যা অপরাধের একটি উপাদান; বিশেষত যখন কোনো জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণত বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ঘটানো হয়ে থাকে।
ধর্ষণ, নির্যাতন: এর শেষ কোথায়?
বাংলাদেশে ক্রমাগত ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে।
ফেসবুকে ফড়িং ক্যামেলিয়া মহিলা পরিষদের একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন৷ ২০০৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত আট বছরে ধর্ষণের শিকার ৪ হাজার ৩০৪ জনের মধ্যে ৭৪০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে বিচার হয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি মামলার৷ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি৷
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন৷ এজন্য তিনি দায়ী করছেন আওয়ামী লীগকে৷
ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়া শ্রমিক লীগের সভাপতি তুফান সরকার ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন তার স্ত্রী আশা, স্ত্রীর বড় বোন পৌরসভার কাউন্সিলর রুমকি, শাশুরি রুমি খাতুনসহ ১০ জন৷
তরুণী ধর্ষন করে মা মেয়ের চুল কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এসব নির্যাতনের ঘটনায় ফুঁসছে বাংলাদেশ৷ একের পর এক এমন ঘটনায় রাস্তায় আন্দোলনের আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই৷ আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন ঠিকই৷ কিন্তু বিচার হবে কিনা, সে নিয়েও সংশয়ের কথা জানাচ্ছেন কেউ কেউ৷ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে তনু ধর্ষণ ও হত্যা এবং বনানীর হোটেলে ধর্ষণ মামলার মতো বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দেখাচ্ছেন।
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ
এ ধরনের প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করেন সবাই৷ এবারও ব্যতিক্রম নয়৷ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনাগুলোর দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে এমন ঘটনা অনেকটাই কমে যেতো বলে মনে করছেন অনেকে৷
পাঠক ভাবনা
ধর্ষণের কারণ সম্পর্কে পাঠকরা যা বললেন…
প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের ঘটনা শোনা যাচ্ছে৷ কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকে বিতর্কিত এবং আপত্তিকর মন্তব্যও করেন৷ ধর্ষণের জন্য মেয়েদের ছোট পোশাককেও দায়ী মনে করেন কেউ কেউ৷অনেক পাঠকই মনে করেন ধর্ষণের জন্য মূলত বিকৃত মানসিকতাই দায়ী৷
আশরাফুল হক পুরোপুরি নিশ্চিত যে, ছোট পোশাক পরার কারণেই এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে৷ তার মতে, একজন যুবতীকে খোলামেলা পোশাকে দেখলে পুরুষরা আকৃষ্ট হবেই৷
তবে পাঠক আমিনুল ইসলাম শাহিন ফেসবুক পাতায় লিখেছেন ‘‘ধর্ষণ বলিতে কিছু নাই, বিজ্ঞানের সকল আবিস্কার এবং সকল ধর্মের ফতোয়া ও সমাজের অনুসাশনগুলোই ধর্ষণের মূল কারণ৷”
‘
আর ইয়াসিন আরাফাত বলছেন, ‘‘ছোট পোশক পরাই ধর্ষণের আসল কারণ নয়৷ মানসিকতা বড় জিনিস, তাছাড়া সম্মানবোধ এবং শালীন দৃষ্টিভঙ্গি খুব দরকার৷” পাঠক মোস্তাফিজ মোল্লাও এ ব্যাপারে ইয়াসিন আরাফাতের সাথে একমত পোষণ করেন৷
সুদীপ ঘোষ মনে করেন ধর্ষণের জন্য কিছু পুরুষের মানসিকতা এবং কিছু নারীর সংক্ষিপ্ত পোশাক দুটোই দায়ী৷ তাঁর মতে, ‘‘এটাকে (ছোট পোশাক) একদম এড়িয়ে যাওয়া যায় না, তবে মানসিকতাও এর জন্য দায়ী৷”
অন্যদিকে ধর্ষণের জন্য নাতিশীতোষ্ণ এলাকার আবহাওয়াকে দায়ী করছেন তানভীর রায়হান যুবরাজ৷
ধর্ষণ রোধে আনিসুর রহমানের পরামর্শ– ‘‘শরীর এমনভাবে ঢেকে রাখা দরকার যেন কারো সেরকম চিন্তা মাথায় না আসে৷”
sabina yeasmeen তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন-
ধর্ষণ নিয়ে আমার একটি পোষ্টের কমেন্টস্ এ এক ভাই সুন্দর একটি পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি বলেছেন পতিতালয় বাড়াতে। তাতে ধর্ষণ কমবে। আমি এই পর্যন্ত যতোগুলি ধর্ষনের খবর পেয়েছি তাদের মধ্যে বেশির ভাগ পুরুষ বিবাহিত। ঘরে বউ থাকতে ও পতিতা লাগবে? ধর্ষকদের মানুষিকতাই যে একমাত্র কারণ ধর্ষণের জন্যে। এই বিষয়ে দ্বিমত পোষন করার কোন অবকাশ নাই। ধর্ষকরা একটি বিকৃত যৌন সুখ চায়। মেয়েদের পোষাক, একা ঘর থেকে বের হওয়া এইসব খোড়া যুক্তি না দেখিয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরী। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে সমাজের সচেতন পুরুষরাই।
মন্তব্যে কেউ বলেন- ধর্মের বিধান মেনে চললে এ সমস্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে পাশাপাশি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ও থাকতে হবে।
কেউ বলেন- আলোচিত কয়েকজন ধর্ষককে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদন্ড দিলে আর কেউ বিকৃত রুচির দিকে ভয়ে যাবে না । সভা সেমিনার করে ধর্ষকদের নিবৃত করা যাবে না ।
তথ্য:
www.dw.com
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ধর্ষণ
ফেসবুক স্ট্যাটাস
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩১