somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর/৬

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেক দূর থেকে সিগিরিয়ার উঁচু পাহাড়ের দিকে তাকালে চোখে পড়ে সবুজ গাছপালার আচ্ছাদন ছাড়িয়ে সোজা দাঁড়িয়ে আছে পাথুরে পাহাড়। সেই খাড়া পাহাড়ের মাথায় বিশাল সমতল এলাকা জুড়ে আবার সবুজ বৃক্ষলতার আভাস। প্রচলিত অর্থে পাহাড় বলা হলেও এটি আসলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মনোলিথিক পাথর খণ্ডের অন্যতম। শ্রীলঙ্কার পর্যটন বিভাগের পোস্টার ও প্রচার পুস্তিকায় এবং দাম্বুলা, হাবারানা, সিগিরিয়ার হোটেলের বিজ্ঞাপনে বহুবার দেখা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই পাহাড় চোখে পড়তেই বিস্ময় এবং আনন্দের এক মিশ্র অনুভূতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে একটি আশঙ্কাও মনে উঁকি দিয়ে যায়, দুশ মিটারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছানো কি সম্ভব হবে! এ দিকে অগাস্ট মাসের গরমের অনুসঙ্গ হিসাবে মাথার উপরে রোদের তাপও বাড়তে শুরু করেছে।



হিসাব অনুযায়ী নটার মধ্যে পৌঁছাবার কথা থাকলেও হাবারানা সিগিরিয়া পথের পথের পাশে ‘জেমিনি জেমস’ নামের মনি মুক্তা এবং মূলবান পাথরের শোরুমে ঢুকে কেমন করে দেড় ঘণ্টা সময় কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। শুরুতে জেমিনির কর্মকর্তা বিনীতভাবে জানতে চাইলেন আমাদের হাতে মিনিট দশেক সময় থাকলে তিনি আমাদের একটা ছোট্ট প্রামাণ্যচিত্র দেখাতে চান। আমি অডিও ভিজুয়ালের মানুষ, ডকুমেন্টারির ব্যাপারে বিশেষ পক্ষপাতিত্ব আছে। তাছাড়া বেড়াতে বেরিয়ে চলার পথে দশ মিনিট এমন কোনো বেশি সময় নয়। ছবিটা দেখার ক্ষেত্রে কারও আগ্রহের কমতি দেখা গেল না। মাটির গভীরে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত এমন কি অকল্পনীয় অবস্থানে হাজার বছর লুকিয়ে থাকা মূলবান পাথর খণ্ড আহরণ এবং প্রক্রিয়াজাত করে অলঙ্কার বিলাসী নারী পুরুষের নাক-কান-গলায় পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত দীর্ঘ কাহিনি সাত আট মিনিটের স্বল্প পরিসরে চমৎকার তুলে ধরা হয়েছে। ডকুমেন্টারি ফিল্মের শিল্পমান নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বলা যায় বিপণনের যে উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে সফল।

পাথরের খনি অনুসন্ধানের জন্য জিওলজিক্যাল সার্ভে, খনন শুরু করার পূর্বে নানা আচার অনুষ্ঠান, শ্রমসাধ্য খনন কাজ এবং দিনের পর দিন বিপুল পরিমাণে বালি কাদামাটি নুড়ি পাথর সরিয়ে একটি ছোট্ট পাথরের টুকরা খুঁজে বের করতে একদল শ্রমিকের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা এবং সেই পাথরের টুকরা কেটে ছেঁটে ঘষে মেজে মূল্যবান পাথরের শোরুম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দৃশ্য চিত্রায়িত হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রে। শেষপর্যন্ত এই প্রস্তরখন্ডের বিক্রয়মূল্য ডলার বা ইওরোতে যাই হোক- দিন মজুর হিসাবে খনিশ্রমিকের হাতে যে খুব বেশি শ্রীলঙ্কান রূপি পৌঁছায় না, তা তাদের জামা কাপড় এবং জীবনাচরণ দেখে সহজেই বোঝা যায়।

আমাদের গাইড অনূঢ়ার প্ররোচনায় শুধুমাত্র এক নজর দেখবার জন্যে প্রবেশ করলেও ‘জেমিনি জেমস’-এর বিপনন কর্মকর্তার যাদুকরী সেলসম্যানশিপের কাছে হারা মেনে দেড় ঘণ্টা সময়ের সাথে কয়েক শ ডলারও গচ্চা গেল। গার্নেট, এ্যামেথিস্ট, রুবি এবং স্যাফায়ারের নামে জেমিনি জেমস কী গছিয়ে দিয়েছে জানি না, কিন্তু প্রত্যেকটি পাথরের সাথে তারা যে সুদৃশ্য ‘সার্টিফিকেট অব অথেন্টিকেশন’ দিয়েছে সেই প্রত্যয়ন পত্র বাধিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা যায়।

অনুরাধাপুরায় প্রথমবার ধাক্কা খাওয়ার ফলে প্রবেশপত্রের ব্যাপারে এবারে মানসিক প্রস্তুতি ছিল। এখানেও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্যে প্রবেশ মূল্য ৩০ শ্রীলঙ্কান রুপি এবং বিদেশিদের জন্যে তা যথারীতি ৩০ ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার টাকা। মিউজিয়াম সংলগ্ন কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা অবশ্য আমাদের চেহারা দেখেই বুঝে ফেলেছিলেন আমরা তাঁদের সাক্ষাৎ জ্ঞাতি ভাই। তাই সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, সার্ক দেশের অতিথিদের জন্যে ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। আবারও আটজনের আটটি পাসপোর্ট দেখিয়ে জনপ্রতি ১৯৫০ শ্রীলঙ্কান রুপি দিয়ে হিসাব করে দেখলাম শতকরা পঞ্চাশভাগ ছাড়ের পরেও আটজনের জন্যে তা সাড়ে নয় হাজার টাকা। অনুরাধাপুরাতেই আমার মনে হয়েছিল, একটি প্রতœতাত্ত্বিক নির্দশন বা ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে এই অংকটা যথেষ্ট বেশি হলেও ‘বিশ্ব ঐহিত্যের নিদর্শন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ এর নামে শ্রীলঙ্কার প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানত বিদেশিদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আয় করছে।


মূল প্রবেশ পথ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের পায়ের তলায় এসে পৌঁছাতেই পনের কুড়ি মিনিট সময় লেগে যায়। পথের দু পাশের পুরো এলাকায় গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়পুর অথবা ময়মাতি বৌদ্ধ বিহারের স্থাপনার মতো অসংখ্য প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সম্ভবত পাহাড় শীর্ষে রাজা কশ্যপের প্রাসাদের প্রবেশের আগে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তুলতে প্রহরা চৌকি এবং সৈন্য সামন্তের সার্বক্ষণিক অবস্থানের জন্যে গড়ে তোলা হয়েছিল এইসব স্থাপনা। রাজা এবং রাজ পরিবারের আবাসস্থল হলেও এটি যে প্রকারান্তরে একটি দুর্গ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সিগিরিয়ার প্রাসাদ চত্বরে প্রবেশের পরপরই পথের দুপাশে গভীর একটি খালের উপস্থিতি সেই ধারণাকেই আরও দৃঢ় করে। খালের পানিতে নামা যে আজকের যুগেও নিরাপদ নয় পর্যটকদের তা জানাতে খাল পাড়ের এখানে সেখানে ‘কুমির হইতে সাবধান’ জাতীয় বাণী লেখা ফলক শোভা পাচ্ছে। রাজা কশ্যপ নিজেই হয়তো খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগের সেই কুমির কি এখনো টিকে আছে!


ইতিহাসে পিতৃহন্তা কশ্যপ নামে পরিচিত রাজা প্রথম কশ্যপ রাজ্য শাসন করেছেন ৪৭৩ থেকে ৪৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট বাইশ বছর। প্রাচীন শ্রীলঙ্কার মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রথম নৃপতি রাজা ধাতুসেনাকে প্রথমে সিংহাসনচ্যুত করে বন্দী ও পরবর্তীতে বন্দী অবস্থায় হত্যা করায় জন সাধারণ এবং ভিক্ষুদের বিরাগভাজন হন তিনি। সিংহাসনের বিধিসম্মত দাবীদার ও বৈধ উত্তরাধিকারী সৎভাই মোগ্গালানাকেও রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন কশ্যপ। ফলে, দক্ষিণ ভারতে নির্বাসিত আপন ভাই মোগগাল্লানার আক্রমণ আশঙ্কা এবং জনরোষের ভয়ে ৪৭৭ খ্রিস্টাব্দে কশ্যপ তাঁর রাজধানী অনুরাধাপুরা থেকে সিগিরিয়ায় স্থানান্তর করেন এবং এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলেন এক নতুন নগরী এবং দুর্ভেদ্য প্রাসাদ দুর্গ।

তবে দুর্ভেদ্য দুর্গও যে শেষপর্যন্ত কশ্যপের শেষরক্ষায় কোনো কাজে লাগেনি তার প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসের পাতায়। দক্ষিণ ভারতে থেকেই এক বিশাল বাহিনি সংহঠিত করে ৪৯৫ খ্রিস্টাব্দে মোগ্গালানা সিগিরিয়া আক্রমন করেন। পাহাড়ের চূড়ায় কশ্যপের প্রাসাদ থেকে চারিদিকে বহুদূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। যুদ্ধের কৌশলগত দিক থেকে শিগিরিয়া পাহাড় এবং চারপাশের সমতল ভূমি ছিল সেকালের এক অনন্য সাধারণ রাজধানী। কিন্তু তারপরেও বৈধ সৎ ভাইয়ের কাছে অবৈধ সৎ ভাই যুদ্ধে পরাজিত হন। রাজা কশ্যপ অবশ্য পরাজয় মেনে নেয়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।


সিগিরিয়ার প্রাসাদ দুর্গের দিকে পাহাড়ের নিচে সিঁড়ি পর্যন্ত যাবার পাথর বিছানো পথটির দু পাশ ইট দিয়ে বাধানো। দেশ বিদেশের পর্যটকেরা পায়ে চলার যে পথ ধরে এগিয়ে চলেছেন এখন থেকে দেড় হাজার বছর আগে হয়তো রাজা কশ্যপের হাতি অথবা তাঁর ঘোড়ায় টানা রথ এই পথ দিয়েই আসা যাওয়া করেছে। কিছুটা দূরে দূরেই দু তিন ধাপ সিঁড়ি ভেঙ্গে পথের এক স্তর থেকে উপরের স্তরে উঠতে উঠতে পাহাড়ের গোড়ায় পৌঁছে দেখা গেল সেখানে পাহাড় ঘিরে সবুজের সমারোহ। পুরো এলাকাটা ছায়াঘেরা বলে রোদের তাপ সত্ত্বেও যথেষ্ঠ ঠাণ্ডা। সিঁড়ির মুখে দুটি প্রকাণ্ড পাহাড় পরস্পরের প্রতি ঝুঁকে পড়ে একটি বিশাল ত্রিভুজ তৈরি করেছে আর এই ত্রিভুজের ভেতর দিয়েই উঠে গেছে সিঁড়ি। ত্রিভুজটাকে বলা যায় প্রাসাদের অভ্যর্থনা ফটক। এখানে দাঁড়িয়েই উপরের দিকে একবার তাকিয়ে আটজনের দলে তৃতীয় বয়োজেষ্ঠ্য নয়ন ঘোষণা করে, ‘আমার যাত্রা এখানেই শেষ।এই হাজার ধাপ সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠা আমার কর্ম নয়।’ পাহাড়ের চড়াই এবং পাহাড়ের পাথরের খাঁজে আটকানো ইস্পাতের মইসহ আসলেই সিঁড়ির সংখ্যা হাজার ধাপ কিনা তা বলা কঠিন, তবে সাধারণ হিসাবে একটা ষাট ফুট উচ্চতার দালানের ছাদে উঠতে যদি দুশ সিঁড়ি পার হতে হয়, তাহলে সাড়ে ছয়শ ফুট উচ্চতার পাহাড় চূড়ায় উঠতে দুহাজার সিঁড়িতে পা রাখতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যাই হোক, বয়সের কারণে না হলেও ‘ব্যাক পেইন’এর কারণে নয়নের সিঁড়ি ভাঙা বারণ বলে আমরা তাকে ফেলেই উপরে উঠতে শুরু করলাম।


এখন থেকে শুধুই উপরে ওঠার পালা। সিঁড়ির ধাপগুলো পাথরের হলেও দুপাশে মজবুত ইটের চওড়া দেয়াল। কোথাও কোথাও পাথর দিয়ে বাধানো ইটের সিঁড়ি আর ডাইনে বাঁয়ে বাঁক ফেরানোর জায়গাগুলোও পাথর বিছানো। কোথাও আবার পাহাড়ের শরীর কেটে তৈরি করা হয়েছে পথ। পাথর এখানের রোদের তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেনি, বরং বেশ ঠাণ্ডা্ই বলা যায়। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার অনেকটা উচ্চতায় ওঠার পরেও পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা গাছগুলো তাদের শাখা প্রশাখা বিস্তার করে ছায়া দিয়ে চলেছে। ক্লান্তি দূর করতে তাই অনেকেই এখানে সিঁড়ির ধাপে অথবা পাথরের গায়ে বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন আর তার সাথে প্রতি মুহূর্তে চলছে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক! স্তরে স্তরে সাজানো লাল ইটের পটভূমিতে অথবা সেই ইটের স্তুপে বসে সবুজের আস্তরে ঘেরা ধুসর পাহাড় পেছনে রেখে ছবি তোলার দুর্লভ সুযোগ কেই বা ছাড়তে চায়! আমরা যখন বিভিন্ন দিকে ঘুরে ফিরে ছবি তোলায় ব্যস্ত তখনই জানা গেল বড় রকমের দুঃসংবাদ! আমাদের যাত্রা বিরতির জায়গা থেকে আরও অন্তত দেড়শ ফুট উপরে লোহার খাঁচায় ঘেরা ইস্পাতের প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেও ফ্রেসকো মিউজিয়ামের গুহামুখ থেকে ফিরে এসেছে খোকন এবং অমিত, কারণ ওদের সঙ্গে টিকেট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল নয়ন নিচে নেমে যাবার সময় টিকেটগুলো সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। মূল প্রবেশ পথেই কর্তব্যরত দ্বাররক্ষীরা টিকেটের একটি মুড়ি ছিঁড়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে এর কোনো প্রয়োজন হবে- সেটি যেমন কারো মাথায় আসেনি, তেমনি নেহায়েত ঘটনাচক্রেইে টিকেটগুলো ফিরতি পথের যাত্রীর কাছে থেকে গেছে। পরে লক্ষ করে দেখেছি দু ভাঁজ করা আমন্ত্রণপত্রের মতো বেশ বড়সড় আকারের প্রত্যেকটি কার্ডের সাথেই রয়েছে ভিন্ন তিনটি পারফোরেটেড মুড়ি। একটি মূল প্রবেশ পথের, একটি সিগিরিয়া মিউজিয়াম এবং অন্যটি গুহাচিত্রের জাদুঘরে প্রবেশের জন্য।


মোবাইল ফোনে নয়নের সাথে কথা বলে জানা গেল টিকেট তার কাছেই আছে। মূল প্রবেশ পথের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে নিচের গেটে নয়ন এবং উপরের গেটে খোকন উভয় পক্ষের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধানের একটা চেষ্টা করেছিল। সিংহলি ভাষায় উপরের ও নিচের কর্তৃপক্ষের মধ্যে বাক্যালাপ কী হয়েছিল জানি না, তবে নিচের কর্তারা নাকি আমাদের সাতজনকে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্যে উপরের কর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রহরায় নিয়োজিত প্রহরীদের এক কথা, ‌‌'নো টিকেট নো এন্ট্রি'।

(লেখার শুধুমাত্র এই পর্বটির অংশ বিশেষ এর আগে একবার সামহয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছ)

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:১৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×