
মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন করা হয়। কারণ ছিল দেশপ্রেমিক অফিসারদের হত্যা করা এবং হাসিনার আজীবন ক্ষমতা থাকার খায়েস পূরন যা ভারতের নীল নক্সায় বাস্তাবায়িত হয়েছিল। রৌমারী, বড়াইবাড়ী ও পদুয়া সীমান্তে বিডিআরের হাতে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের হত্যার প্রতিশোধ, সেনা মনোবল ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তারের বাসনা নিয়ে সুপরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল আম্লিগের সহায়তায়। তাইহাসিনাকে দুদিন আগেই পিলখানায় যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।

পদুয়া ও রৌমারীর যুদ্ধ বিডিআরের ইতিহাসে শৌর্য, বীর্য ও বীরত্ব প্রদর্শনের অবিস্মরণীয় একটি ঘটনা। ওই খণ্ডযুদ্ধে বিএসএফের যে শোচনীয় ও লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছিল, ভারত কখনোই তা মেনে নিতে পারেনি। ভারত হাসিনাকে আশ্বস্ত করে যে, তুমি আজীবন ক্ষমতা থাকবা কিন্তু তোমার শত্রু সেনা অফিসার যারা তোমার ক্ষতার বাধা হয়ে দাড়াবে তাদেরকে আমরা ফিনিশ করে দেবো; হাসিনা খুশিতে আত্নহারা হয়ে সম্মতি দেয়, শুরু হয় ষড়যন্ত্রে খেলা।
তাপসকে সমন্বয়ক করে তাপসের বাসায়, অফিসে এমনকি মসজিদেও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাধিক বৈঠকে হয় সেখানে যুক্ত হয় প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ, শেখ সেলিম, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ জনের একটি দল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, লেদার লিটন ও তোরাব আলী। একটি বৈঠকে অফিসারদের জিম্মি করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়, ভারত নাখোশ হলে পরে তা পরিবর্তন করে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাপসকে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিডিআর ইউনিফর্ম বানানোর দায়িত্ব ছিল সোহেল তাজের। এছাড়াও ভারতের দালাল অনেক সেনা কর্তাও নাকি বিষটা জানতো এবং কেউ কেউ সরাসরি জড়িত!
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনায় ৫৭ চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন যা এখনো বাংলার প্রতিটি মানুষকে কাঁদায়।
কোন সংগঠন/দল বা কোন ব্যক্তি যদি দেশে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে তাহলে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারেনা। দেশদ্রোহীতা আইনের আওতায় সেই সংগঠন/দল চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে তারা আর কোন ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না পায় ও শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি বা আমৃত্যু কারাগারে প্রেরন করতে হবে। অতএব আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


