গত ডিসেম্বরে সারাদিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলাম একটি গ্রামে। অনেক দিন যাবত পরিকল্পনা করছিলাম যাওয়ার জন্য, কিন্তু যখন মনে হয় সেই গ্রামে ঘুরার জন্য দুই পা ছাড়া আর কোন পরিহন নেই, তখন কিছুটা হতাশ হয়ে পরিকল্পনা বাদ দেই। এর আগে আরেকবার গিয়েছিলাম বর্ষাকালে। তখন অবশ্য একবাড়ি থেকে আরেক বাড়ি নৌকা দিয়ে ঘুরেছিলাম তাই ভাল লেগেছিল ঘুরে। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেই এই এলাকার মানুষের পায়ে চলা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা।
বর্ষায় গ্রামের এক রকম সৌন্দর্য আর শুকনার সময়ে অন্য রকম সৌন্দর্য। কিছু কাছের মানুষ আছে আমাদের সেই গ্রামে, তাই ভাবলাম যাই ঘুরেই আসি। শুকনার সময়ে সেই গ্রামে মাইলের পর মাইল ক্ষিরা,বাদাম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, মিষ্টিকুমড়া সহ আরো নানা রকম সবজি চাষ করা যায়। মাইলের পর মাইল এসব সবজি নিজ চোখে দেখার লোভ আর শীতে গ্রাম পরিদর্শনের আগ্রহ নিয়ে অবশেষে রওনা হয়েই গিয়েছিলাম।
যেহেতু সন্ধ্যায় ফিরে আসবো তাই সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। তখন চলছিল শৈত্য প্রবাহ, তাই ভারী শীতের কাপড় গায়ে দিয়ে সাথে আরো কিছু বাড়তি শীতের কাপড় নিয়ে গাড়িতে করে মেইন রোডে নেমে পড়লাম। মেইন রোডের পর থেকে ভাংগা রাস্তা, তাই গাড়ি থেকে নেমে রিকশা নিয়ে গেলাম একটা ছোট খালের কাছে। খাল পার হলেই আমাদের গন্তব্যের গ্রাম।
নৌকা করে আমরা খাল পার হয়ে অন্য পাড়ে চলে এলাম। আমাদের সাথে এরাও পার হয়ে এল।
নৌকা থেকে নামার সময় দেখলাম একজন ঝাঁকা ভর্তি করে ফুল কপি নিয়ে যাচ্ছে শহরে বিক্রি করার জন্য।
এই রাস্তা দিয়ে আমার শুরু হল হাঁটা। রাস্তার দুই পাশে সরিষা আর ক্ষিরা খেত।
টাটকা ফুলকপি।
ফুলকপির খেত
শিশির ভেজা ধান গাছ
মরিচ আর আলু খেত
মিষ্টি আলুর ফুল
সরিষা ফুল শেষ হয়ে গাছে গাছে সরিষা
দেখেও শান্তি
সব ছবি মোবাইল ক্যামেরাতে তোলা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১