অনেক নাস্তিক ফিলসফার বলে থাকেন,
১. ঈশ্বর আছেন এর সপক্ষে কোন প্রমান নেই।
২. ঈশ্বর নেই এর সপক্ষেও কোন প্রমান নেই।
উভয় কথাই তারা মেনে নেন।
এখন ধরুন, আপনি একটি বলের বাক্স আনলেন। বক্সটি এরকম যে এর ভিতরে কি আছে দেখা যায় না। এখন, দুই জন মানুষ পাওয়া গেল। একজন বললঃ বক্সের ভিতরে বল আছে, আমি বিশ্বাস করি। আরেকজন বলল, না এখানে বল নেই, আমি বিশ্বাস করি। ভাল করে চিন্তা করে দেখুন, বল না থাকলে এর পক্ষে প্রমান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বল থাকার ক্ষেত্রে আন্দাজ করে বলা যায়, বল থাকলেও থাকতে পারে যেহেতু বল নেই এমন কোন প্রমান নেই। তার মানে না-থাকার চেয়ে থাকার পক্ষের যুক্তিই জোরালো। (ব্যাপারটি বুঝাতে পারলাম কি না কি জানি)
বুঝার জন্য আবার ট্রাই করি, আব্দুলের কাছে ৫ টাকা আছে কি নেই?
১. আব্দুলের কাছে ৫ টাকা থাকতে পারে।
২. আব্দুলের কাছে ৫ টাকা নাও থাকতে পারে।
(১*১) ৫ টাকা থাকার পক্ষে কোন প্রমান নেই, এর মানে তার কাছে ৫ টাকা থাকলেও থাকতে পারে।
(২*১) ৫ টাকা না থাকার পক্ষে কোন প্রমান নেই, তার মানে তার কাছে ৫ টাকা থাকলেও থাকতে পারে।
এই পয়েন্ট গুলি বিবেচনায় আনলে দেখা যায়, বিশ্বাসীদের পক্ষের যুক্তিগুলিই জোরালো।
বিশ্বাস কোন খারাপ জিনিস না। বিশ্বাস আছে বলেই আপনি ভালবাসতে পারেন আপনার বাবা-মা কে। বিশ্বাস আছে বলেই, আপনি আপনার ভাইকে লক্ষ টাকা দিতে পারেন। আর ভালবাসতে পারেন এই পৃথিবীকে আর এর মানুষ কে। আর বিশ্বাস না থাকাই অশান্তি। চরম অশান্তি। যারা তাদের ভাই কিংবা বোন অথবা ভালবাসার মানুষকে বিশ্বাস করতে পারে না, তাদের জীবন যে কত অসহ্য, তাদের দেখলেই বুঝবেন। বিশ্বাস আছে বলেই, আপনি একজন সম্মানিত শিক্ষক কে সম্মান করেন, এই বিশ্বাস না থাকলেই আপনি তা করতেন না। বিশ্বাসের উপর ভর করেই এই পৃথিবী চলে। তাই চলুন, বিশ্বের স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, আমাদের সৃষ্টি করার জন্য। যদি আপনি সাধারন বিষয় বিশ্বাস করতে পারেন, তাহলে স্রষ্ঠাকে বিশ্বাস করায় দোষ কোথায়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ
১ ফরিদ আহমেদ, মুক্তমনার মডারেটর। (উনার একটি অনুবাদ আমাকে এ ব্যাপারটি বুঝতে সহায়তা করেছে)
২ নাম না জানা এক লেখক (বিশ্বাসের গুরুত্ব বুঝতে আমাকে সহায়তা করেছে)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৯