somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নরসিংদীতে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান খালেদের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে নিরাপত্তাকর্মীরা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নরসিংদীতে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান খালেদের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে নিরাপত্তাকর্মীরা। আর তা ধরা পড়েছে ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষায় বসানো গোপন ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাহফুজুর রহমান খালেদের মৃত্যুর পর ইসলামী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মীরা দাবি করে, এটি একটি দুর্ঘটনা। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের সিসি ক্যামেরাতে ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা

নিহত মাহফুজের বড় ভাই মিজানুর বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ব্যাংকের তিন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত শটগানটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ব্যাংকের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কেন এই হত্যাকাণ্ড তা এখনো বের করা যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা এখনো ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করছে।' তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের কাছে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনও করা হবে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে নরসিংদী ইসলামী ব্যাংকের শাখায় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান। তাঁর বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে। তাঁর বাবার নাম শাহ আলম ওরফে মানিক ডাক্তার। মাহফুজ নিহত হওয়ার পর গতকাল বিকেল পর্যন্ত তিন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো_চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সেলিম রেজা (২৮), কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মোহননগর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে তারজিল হোসেন (৩২) ও নীলফামারী সদর উপজেলার উত্তর পঞ্চপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুল ইসলাম। তারা প্রথমে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ, ব্যাংক কর্মকর্তা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সহকর্মীর গুলিতে ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে তাঁর স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা নরসিংদীতে ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে নিহত মাহফুজুর রহমানের বন্ধু বশিরুল্লাহ বাচ্চুর নজরে আসে ব্যাংকের নিচতলায় যে স্থানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে তার ওপরেই একটি গোপন সিসি ক্যামেরা আছে। তিনি তাৎক্ষণিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওচিত্র দেখতে চান। পরে ব্যাংক কর্মকর্তারা ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে চমকে ওঠেন। কালের কণ্ঠের হাতে পৌঁছে সেই ভিডিওচিত্রও। পরে পুলিশকেও তা সরবরাহ করা হয়।
ভিডিওতে ধরা পড়ল সব : ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ঘটনার সময় ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ব্যাংকের নিচতলায় এটিএম বুথের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় ব্যাংকের তিন নিরাপত্তাকর্মী সেলিম রেজা, তারজিল হোসেন ও হাফিজুল ইসলাম নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করছিল। মাহফুজ প্রধান ফটকের ভেতরে প্রবেশ করার পরপরই তিন নিরাপত্তাকর্মী সেলিম রেজা, তারজিল হোসেন ও হাফিজুল ইসলাম তাঁকে ঘিরে ধরে। ওই সময় নিরাপত্তাকর্মীরা মাহফুজের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। মাহফুজ ব্যাংকে প্রবেশ করতে সামনে এগিয়ে এলে নিরাপত্তাকর্মী সেলিম শটগানটি তাঁর দিকে তাক করে গুলি করার চেষ্টা করে। ওই সময় আরেক নিরাপত্তাকর্মী হাফিজুল বাধা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তারপরও সেলিম শটগানটি হাফিজুলের দিকে তাক করে গুলি ছোড়ে। গুলি মাহফুজের বাম হাতের বগলে লাগলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। মামলার এজাহারেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত উল্লেখ করে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ১৬টি সিসি ক্যামেরায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হয়। আর এটিএম বুথের আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে। মাহফুজুর রহমান একটু এগিয়ে যাওয়ার কারণে পার্কিংয়ের ক্যামেরায় তাঁকে হত্যার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ভিডিওচিত্রে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই নিহতের স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গতকাল সকালে সরেজমিনে বাজারের সুতাপট্টি এলাকায় ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ তলা ভবনটিতে চলছে ব্যাংকের কার্যক্রম। আর গত সোমবারই ব্যাংকের ফটকের বাইরে এটিএম বুথ চালু করা হয়। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে ফটকের কাছে। এই দৃশ্য ধরা পড়ে ডান পাশে সিঁড়ির ওপরে আড়ালে থাকা সিসি ক্যামেরায়। ওই ক্যামেরা থেকে কার পার্কিংয়ের অংশটি দেখা যায়।
আলামতে রহস্য : মাহফুজের স্বজন ও সহকর্মীরা বুঝতে পারছেন না কেন এই হত্যাকাণ্ড। মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, 'মাহফুজ নরসিংদী শাখায় প্রায় এক বছর যাবৎ কর্মরত ছিল। এর মধ্যে কারও সঙ্গে তার শত্রুতা হয়নি বলে আমরা জানতাম। ঘটনাটিকে আমরা প্রথমে দুর্ঘটনা মনে করেছিলাম। পরে আজ (গতকাল) সকালে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওচিত্র দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর আমরা শুনেছি নিরাপত্তাকর্মীরা শিবিরকর্মী।' তিনি আরো বলেন, গুলিবিদ্ধ মাহফুজকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায়ই প্রমাণ করে গুলি হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মীরা যা বলছে : আটক হওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মী সেলিম রেজা বলেছে, 'মাহফুজ স্যার খুব মজার মানুষ ছিলেন। তিনি প্রায় সময় আমাদের সঙ্গে মজা করে কথা বলতেন। আমরা তিনজন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় মাহফুজ স্যার এসে আমাকে বললেন, কিরে তোরা যে বন্দুক নিয়া দাঁড়িয়ে থাকিস, চালাতে পারিস নাকি। তখন আমি জানতাম গানে গুলি লোড করা নেই। কারণ সাধারণত আমাদের গানে গুলি ভরা থাকে না। আমার আগে খবিরুল নামের সিকিউরিটি গার্ড ডিউটি করে গেছে, সে যে গুলি লোড কইরা গেছে আমাকে বলে নাই। আমি মনে করছি গুলি তো নাই। তাই স্যারের দিকে তাক কইরা টিগারে চাপ দিতেই গুলি বাইর হইয়া গেছে।' তবে সোমবার রাতে গুলি আনলোড করার সময় ট্রিগারে চাপ লেগে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছিল সেলিম। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
সেলিমের মতো একই দাবি করেছে অপর দুই নিরাপত্তাকর্মী তানজিল ও হাফিজুল। তারা বলেছে, 'স্যার আমাদেরকে বলছিলেন আমরা নাকি গুলি চালাতে পারি না। ওই সময় আমাদের মধ্যে থেকে সেলিম বলে 'পারি স্যার'। পরে তার হাতে থাকা গান দিয়ে গুলি চালানোর প্রস্তুতি নিলে প্রথমে হাফিজুল বাধা দেয়। তারপরও সেলিম স্যারের দিকে তাক করে গুলি চালানোর পর স্যারের বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। তবে গুলিটি লোড করা ছিল_এটা সেলিম জানত কি না সেটা আমাদের জানা নেই।'
এদিকে ইসলামী ব্যাংক নরসিংদী শাখার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান বলেন, 'আমার জানা মতে মাহফুজ সাহেবের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে কী কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা গুলি করে হত্যা করেছে বুঝতে পারছি না।'
সন্তানের মুখ দেখা হলো না : পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সবার কাছে পরিচিত মানিক ডাক্তারের সাত ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মাহফুজুর রহমান খালেদ ছিলেন চতুর্থ। তিনি দুই বছর আগে বিয়ে করেন। মাহফুজের স্ত্রী ফারজানা আফরোজ নিপু অন্তঃসত্ত্বা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মা হতে পারেন এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে স্ত্রীকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় রেখেছেন মাহফুজ। বড় ভাই শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'আমার ভাইয়ের সন্তানের মুখ দেখা হলো না। ওকে এমনভাবে কেন মরতে হলো। এখন কী হবে অনাগত সন্তানের?'
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মাহফুজের লাশ প্রথমে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সায়েদাবাদ এলাকায় স্ত্রী নিপুকে শেষবারের মতো দেখতে দেওয়া হয় তাঁর স্বামীকে। ওই সময় নিপুর বিলাপে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে মাহফুজের লাশ সড়কপথে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহফুজের মৃত্যুর খবরে ভোলার বোরহানউদ্দিনেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
১২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×