somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামি লীগের সাম্প্রতিক চেহারা....!!

০২ রা জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় আসলেই ২/৪টা পত্রিকা বাতিল হবে ।যুগে যুগে এটা হয়ে আসছে। এটা তাদের পুরোনো নিয়ম। দেশ স্বাধীন হবার অব্যবহিত পরে 'হক কথা ,গণকন্ঠসহ আরও কয়েকটি পত্রিকা বাতিল, বাকশাল কায়েম পরবর্তি সময়ে ৪টা পত্রিকা বাদে সবগুলি পত্রিকা নিষিদ্বকরন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসীন হয়েই খোঁড়া অজুহাতে ২৮ কোটি টাকা ভুর্তুকী দিয়ে সরকারি পত্রিকা দৈনিক বাংলা,সাপ্তাহিক বিচিত্রা, সিনে-ম্যাগাজিন 'আনন্দ বিচিত্রা' এবং গতকালের "আমার দেশ"। মোটকথা ,পত্রিকা নিষিদ্বকরনটা তাদের একটা খাসলত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাইহোক, এই মূহুর্তে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের একটা পুরোনো কথা মনে পড়ছে। একবার কোন এক প্রসঙ্গক্রমে উনি বলেছিলেন-"বাংলাদেশের সর্বমোট পত্রিকার সংখ্যা ১৬০০। এই যে ভোরের কাগজ,দুপুরের কাগজ,মধ্যরাতের কাগজ,সবগুলোর অনুমোদন কিন্তু আমরাই দিয়েছি।অথচ ওরাই কিনা কোন কিছু যাচাই না করে নানান কিচ্ছা-কাহিনীসহ আমাদের বিরুদ্বে যাচ্ছেতাই লিখে যাচ্ছে দিনের পর দিন"।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কোন এক অজ্ঞাত কারনে বাংলাদেশের বেশীর ভাগ পত্রিকাগুলোই আওয়ামি কন্ঠস্বর। যদিও হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। কেননা বাংলাদেশের ইতিহাসে সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠনালী চেপে ধরে পত্রিকা বাতিলের কালো অধ্যায়টি শুরু করেছিলেন স্বয়ং শেখ মুজিব সাহেবই।অথচ সেটা মনে না রেখে সব পত্রিকাওয়ালারাই তার দলের স্তুতিবাক্য গাইতে সবসময়ই তৎপর।যাইহোক,সময়ের পরিক্রমায় জিয়াউর রহমান সাহেব সেসমস্ত পত্রিকার নিষেধাজ্ঞা শুধু তুলেই নেন নাই, তাদের জন্য তৈরী করে দিয়েছিলেন ঊম্মুক্ত মঞ্চ "প্রেসক্লাব"।আর অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে সেকালের হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা আজ কয়েক শ'তে উন্নীত।এসব পত্রিকার বেশীর ভাগই ভিন্নমতালম্বী।এটা থাকবেই। যেহেতু বহু মত বহু পথ।তাই ভিন্ন মতালম্বী হওয়াটাই স্বাভাবিক।কিন্তু একটা জায়গায় সবাই একই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে।সংবাদ প্রকাশনা শিল্পে সবাই একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী। তবে আশ্চর্য্য হলাম- "আমার দেশ" প্রকাশনা বন্ধে কোন একটা পত্রিকায় সরকারের এহেন ফ্যাসিবাদি আচরনের নিন্দা জ্ঞাপন করতে না দেখে। আপাতঃ দ্ৃষ্টিতে মনে হয় সব পত্রিকাওয়ালারা বোধ হয় খুব খুশী।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। ধীরে ধীরে সরকারের বয়স প্রায় দু'বছরের কাছাকাছি হয়ে গেল। যা খুব একটা বেশী নয় আবার খুব একটা কমও নয়।তবে একটা সরকারের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করার জন্য এটা যথেষ্ট সময়।এ দিক বিচার করলে চোখে পড়ে ,তাদের ভাল'র চেয়ে মন্দের দিকটাই বেশী হাইলাইটেড। যেমনঃ চালু হওয়ার সাথে সাথেই যমুনা টিভির প্রস্হান, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, কাজী জেসীনের পয়েন্ট অব্‌ অর্ডার বন্ধ, দিগন্তের টক শো বন্ধ,ফেস বুক বন্ধ।আরও কত কি !তবে নির্বাচনের আগে তারা সবাইকে শুনিয়েছিলেন ডিজিটাল বাগাড়ম্বর আর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সবাই দেখছে তাদের ফ্যাসিবাদী নাৎসী রুপ। যে কোন নির্বাচনে প্রত্যেক দলেরই সরকার গঠনের জন্য দুই আড়াই কোটি তরুন ভোটার একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তো, সেসব তরুন ভোটাররা ভোট দিয়ে যাদের ক্ষমতায় এনেছিল, তাদের পৃষ্টদেশে লাত্থি মেরে সরকার বন্ধ করে দিলো তরুনদের সময় কাটানোর প্রিয় স্হান 'ফেসবুক'। যা কিনা বহির্বিশ্বে সরকারকে খানিকটা "তালেবানী" ইমেজের পরিচিতিও এনে দিল। আর সাম্প্রতিক নিষিদ্ব "আমার দেশের কথা বলাই বাহুল্য।
যাই হোক, আওয়ামি লিগের বাজে দিক আলোচনা করে বিএনপিকে Glorify করা আমার কোন উদ্দেশ্য নয়। সে চেষ্টা করবোও না। কারন হাত উচালে সবার বগল থেকেই দুর্গন্ধ বের হয়। বিএনপি ও এর বাইরে নয়।তবে অন্য হাজারটা দোষ থাকলেও বিএনপি কখনো সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে সেটা কেউ বলতে পারবেনা। তবে হ্যা ! সায়মন ড্রিংক এর টেরিস্টরিয়াল একুশে টিভিতে বিএনপি ক্ষমতার ছড়ি ঘুরিয়েছিল। কেন ঘুরিয়েছিল তার ও অনেকগুলো কিন্তু আছে।
টেণ্ডারের ১১নং এ থাকা একুশে, সামনের দশটি টেণ্ডারকে ডিঙ্গিয়ে কিভাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে বশ করে এবং সরকারের জন্য চ্যানেলের দেনা ২৬০ কোটি টাকা মওকুফ করে একমাত্র বেসরকারী চ্যানেল হিসেবে বিটিভির কারিগরী দিকটা বাগিয়ে নিয়েছিল, সেটা অনেকেরই মনে আছে। এ বিষয়ে অন্য সময় না হয় আলোচনা করা যাবে।
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×