এক পা দু পা করে হেঁটে আসা ছেলেটার বয়স যখন ১৫ ছুঁইছুঁই করে হঠাৎ করেই তার ছোট্ট জগৎটা বিশাল হতে শুরু করে । তার সাদাকালো স্বপ্নগুলো নিজ থেকেই রঙ্গিন হতে থাকে । ছেলেটির চোখ ঝলসে ওঠে । খানিকটা ভড়কে যায় সে । কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সে পরিচিত হয়ে যায় এই পরিবর্তনের সাথে ।
অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে তার মধ্যে । মাঝে মাঝেই সে হারিয়ে যায় অজানা পরিবর্তনের স্রোতে আর সাঁতার কাঁটতে থাকে উল্লসিত চিত্তে ।
এসময় মনের কোণে ভেসে ওঠে কিছু ইচ্ছে, কিছু আকাঙ্ক্ষা । হঠাৎ করেই তার ইচ্ছা করে দূর আকাশে উড়ে বেড়াতে । পিঠের দু পাশে দুটো ডানা এঁকে ফেলে কল্পনায় ।
যতই দিন গড়ায়, ততই তার ইচ্ছেগুলো সংখ্যায় বেড়ে যায় । তার ইচ্ছে করে নিকোটিনের ধোঁয়ার সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে, ইচ্ছে করে পাড়ার চায়ের দোকানে বসে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটার উদ্দ্যেশ্যে শিষ্টি ছুঁড়ে দিতে । সব অজানা রহস্যকে চুম্বন করার উদ্যমী মনোভাবও তার ইচ্ছার অংশ হয়ে দাঁড়ায় । এরকম শত সহস্র ইচ্ছা বাসা বাঁধতে থাকে তার মনের কোন এক কোণে ।
এসব ইচ্ছাকে পেছনে ফেলে ছেলেটি একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে চোখ রাখে । সে জয় করে ফেলে তার অবাধ্য সব ইচ্ছাকে । সে অপলক তাকিয়ে থাকে তার চোখ দুটোর দিকে ।
মস্তিষ্কে বিদ্যুৎ গতিতে কিছু ভাবনা ছুটোছুটি করে । সে তো সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান।সে তো আশরাফুল মাখলুকাত । সে তো মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি করা সবচেয়ে উন্নত প্রাণী । সে কেনো পারবে না সামান্য কিছু ইচ্ছাকে দমিয়ে দিতে । সে পারবে ।
ছেলেটি পেরেছে । সে তার সব ইচ্ছাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ।
সামনের পথটা অনেক বড় । অনেক দূর যেতে হবে তাকে । পেছনে ফিরে তাকাবার সময় নেই ছেলেটির । পেছনের উঁচু-নিচু,ভাঙ্গা পথ সে আজ ভুলে গেছে । সে আজ হাঁটছে । তার দৃষ্টি সামনে, অসীমে............