somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন ইসলাম বিদ্বেষী ধর্মকারীর ফেসবুক পেজের একটা স্ট্যাটাস চেক করি।দেখি কোন ধরনের লোকেরা সেখানে লাইক দেয়।তাদের একটু বিশ্লেষণ করি

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনলাইনে ২০০৯ সালের দিকে আমার আগমন।তখন অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষীদের দাপট ছিলো আজ অনেক বেশী।ব্লগ ফেসবুক সব জায়গায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলো।তবে আমার দূরদর্শী ক্ষমতা আমায় জানাচ্ছিলো তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা টিকবে না বেশী দিন।খুব অচিরেই তাদের পতন হবে এবং ইসলাম পন্থীদের খুব দ্রুত উত্থান হবে।কারন ইসলামকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এর আগেও বহুবার করা হয়েছে কিন্তু কেউ সফল হয় নি।

তো যাক আমার কথায় আসি।অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী সাইটগুলোর মাঝে সবচেয়ে পপুলার একটি সাইট হচ্ছে ধর্মকারী

ধরতে গেলে এক প্রকারের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এই সাইট চলে।অনলাইনে প্রথম ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখি শুরু করে যুক্তরাস্ট্র প্রবাসি জনৈক অভিজিৎ রায়ের নেতৃত্বে।তিনি রুদ্র মোহাম্মাদ নামের এক মুসলিম নামের আইডি বানিয়ে সেখানে লিখতো।প্রথম বাংলা ভাষায় ইসলাম বিদ্বেষী সাইট হচ্ছে মুক্তমনা

অভিজিত রায়ের পিতা হলো, প্রফেসর অজয় রায়, যে কিনা ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তিনিই হলেন এই মুক্তমনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি নাকি আবার অসাম্প্রদায়িক, মানবাধিকার ইত্যাদির প্রচারক ও সংগঠক।

আরো আছে। তিনি ভারত বাংলাদেশ মৈত্রি সমিতির সভাপতি। আর ইনিই সেই, যে কিনা ১৯৭১ সালে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর মুরগি সাপ্লায়ার শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়েছে।

যাক এই ইসলাম বিদ্বেষী সব লোক আবারও সরকার দলীয়।এই জন্য আওয়ামী লীগ দেখা যায় আওয়ামী লীগ আমলে ইসলাম অপমান বেশী হয়।ধর্মকারী সাইট আবার কোলকাতার হিন্দুদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়।সেখাঙ্কার বেশ কয়েকজন লোকও আবার সে ব্লগের অ্যাডমিন।আপনারা চাইলে এখানে দেখতে পারেন ধর্মকারী সাইট এখনও সরকার বন্ধ করে নি কিংবা এর বিরুদ্ধে কোন বেবস্থা নেয় নি।উল্টা ৩ জন ইসলাম বিদ্বেষীকেও ছেড়েও দিয়েছে

যাক সে কথা।আসুন আমরা একটা ধর্মকারীর একটা স্ট্যাটাস চেক করি এবং দেখি কারা কারা সেখানে লাইক দেন

দেখেন তারা তাদের সাইট চালু রাখতে পাইরা কি খুশী



মোট লাইক পড়ছে ৭৪ টা।দেখেন লাইক লিস্ট






ধর্মকারীর ১ এপ্রিলের ঐ স্ট্যাটাসের নিচে সাহেদ বিন করিম নামের একজন কমেন্ট করেছে দেখুন



উনি বলেছেন চলুন সবার ভগত সিং এর মত জেলে যায় :D:D
এই লোক একজন ইসলাম বিদ্বেষী নেস্টিক।ইতি আচিপের একজন মহামান্য ভাড়।আচিপ আগে ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিলে এই লোক আচিপের পক্ষে হয়ে অন্যান্য লোকদের সাথে ফাইট করতো।এর সম্পর্কে একটা কথাই প্রযোজ্য যে ইনি একজন মুসলিম বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশ বিদ্বেষী।উনি চান বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হোক।প্রমান দেখুন





আমরা বাংলাদেশের সবাই চাই বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হোক নামক একটা পেজে কোরআন শরীফের একটা আয়াতকে ভুল প্রমানিত করার চেষ্টা করা হয়েহে সেখানে এই কমেন্ট করেছেন।এখন এখানে কথা হল কোরআনের আয়াত ভুল প্রমানিত হলে কিভাবে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়।উত্তর খুব সোজা বাংলাদেশের মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে বিমুখ করতে পারলে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করা যায়।এই জন্য ইসলাম বিদ্বেষী শিব-সেনার সমর্থকরা এই সবারই ইসলামের উপরে রাগ



এর সম্পর্কে জানতে এই পোস্ট দেখেন এইখানে

এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ক্ষমতায় এমন কোন শক্তি যেন ক্ষমতায় না যায় যারা দেশকে ইসলাম-মুক্ত এবং অন্য কোন দেশের কদর রাজ্য বানাতে না পারে।আর জামাত-শিবির একটা বাহানা মাত্র।ইতিমধ্যে আমরা হাইকোর্ট এর রায়ে দেখেছি কাদের উপরে মূলত ইসলাম বিদ্বেষীদের রাগ বেশী



ধর্মকারী ব্লগ সাইট কি ধরনের কার্টুন বানায় তা দেখুন এখানে Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
১৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×