হোসেনের মনে মনে বলল, এটা কোনো অন্ধকার হোলো?
যান্ত্রিক শহরে, অন্ধকার ও যেন যান্ত্রিক, পিচ ঢালা রাস্তার মতই কর্কশ, কর্পোরেট মানুষের মতই রোবট।
নাহ, এ অন্ধকার ভালো লাগছে না, চোখে সয় না। কেমন জানি জন্ডিস এর মত ঘোলা। কোনো স্নিগ্ধতা নেই।
অন্ধকার হবে, কোমল। মানুষ বাদে, রাত প্রহরী যে পোকা আছে তাদের গোল্লাছুট খেলা শুরু হবে, জোনাকিরা লুকোচুরি খেলা শুরু করবে, তাদের সাথে তাল দিয়ে বাতাস বইবে। দূর থেকে মানুষের হেটে আসবার শব্দ শোনা যাবে।
চোখে সয়ে যাবে অন্ধকার। একসময়, চোখ সয়া অন্ধকারে মধ্য দিয়েও আবছা আবছা দেখা যাবে।
চাদের আলো মেখে, মন পছন্দ গান মাথায় গুন গুন করবে। এমন অন্ধকার দরকার।
হোসেন দরজা টা টেনে ছিটকিনি আটকে দিল। আজ গন্তব্য সেখানে যেখানে চোখ সয়ে যাওয়া অন্ধকার আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩০