১৯৭১ সনে যাদের গর্জে ওঠেছিল হাতিয়ার, কারো কলম,কারো কণ্ঠ, আবার কখনো বা নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জীবন বিপন্ন করে।
বিজয়ের এই মাসে সশ্রদ্ধ চিত্তে তাঁদের স্মরণ করে এই ছবি ব্লগ ।
১/ ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড
![]()
বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী ।স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষ সমরে অংশগ্রহন করার জন্য এই খেতাবে ভূষিত হন তিনি। টঙ্গীস্থ বাটা সু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ।
২ / পন্ডিত রবি শংকর
![]()
রবি শঙ্করের সেতার আর হ্যারিসনের গাওয়া বাংলাদেশ গানটি বাংলাদেশের অসহায় মানুষের কান্নার রোলকে পৌছে দিয়েছিল বিশ্বের দরবারে, নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্ব বিবেক।
৩/ আরউইন অ্যালেন গিন্সবার্গ
![]()
আমেরিকার বিখ্যাত কবি । ৭১এ এদেশের মানুষের দুঃখ দুর্দশা স্বচক্ষে দেখে দেশে গিয়ে ঐতিহাসিক এক কনসার্টের আয়োজন করেন । যার আয়ের সমুদয় অর্থ বাংলাদেশ তহবিলে দান করেন ।
৪/ জর্জ হ্যারিসন
![]()
‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর বিটলস ব্যান্ডের জাদুকর জর্জ হ্যারিসন। তার কন্ঠে উচ্চারিত হল- বাংলাদেশ বাংলাদেশ, হোয়ার সো ম্যানি পিপল আর ডায়িং ফাস্ট... আই হ্যাভ নেভার সীন সাছ ডিস্ট্রেস... জেনে যায় বিশ্ববাসী, রচিত হয় মানবতার জয়গান। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নিজ দেশের সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বন্ধু পন্ডিত রবি শঙ্করের আহবানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন তিনি।
৫/ এডওয়ার্ড কেনেডি
![]()
মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ১৯৭১ এ ভারতে বাংলাদেশী শরনার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে ঘুরে তাদের অবর্ননীয় মানবেতর জীবন যাপনের করুণ চিত্র নিজ চোখে দেখেন। মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ১৯৭১ এ ভারতে বাংলাদেশী শরনার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে ঘুরে তাদের অবর্ননীয় মানবেতর জীবন যাপনের করুণ চিত্র নিজ চোখে দেখেন। পূর্ববাংলা ও ভারতের সংকট নিয়ে সিনেটর কংগ্রেসের যে সাত দফা সুপারিশ করেন ।
৬/ অ্যান্থনি মাসকারেনহাস
![]()
জন্মসূত্রে ভারতীয় গোয়ানীজ এবং বসবাস সূত্রে পাকিস্তানী, পেশায় সাংবাদিক। একাত্তরের এপ্রিল মাসে করাচীস্থ ‘দি মর্নিং সান’ পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে আরও কয়েকজনের সাথে কিছুদিন এদেশে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশ্য ছিল তারা পুর্ব পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কে সারা বিশ্বে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করবে যাতে বিশ্ববাসী এদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে না পারে। অন্য সব সাংবাদিক তাদের ইচ্ছামত কাজ করলেও বাদ সাধলেন একজন, তিনি অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।
৭/ সায়মন ড্রিং
![]()
সায়মন ড্রিং, বাংলাদেশীদের জন্য একটি পরিচিত নাম। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশী সাংবাদিক যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন পাকিস্তানী বাহিনীর লোমহর্ষক নির্যাতন, নৃশংসতা ও গণহত্যার চিত্র।
৮/ জে এফ আর জ্যাকব
![]()
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশী বন্ধুদের মধ্যে ভারতের লে. জেনারেল (অব.) জে এফ আর জ্যাকব হচ্ছেন বাংলাদেশের অনেক বড় সুহৃদ। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ ভুমিকার কারণে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছিল। একাত্তরে তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ, তখন তার পদমর্যাদা ছিল মেজর জেনারেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রেখেছিলেন অসামান্য অবদান।
৯/ সিডনি শ্যানবার্গ
![]()
একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী সব বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকার তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমানে রূপসী বাংলা) বাধ্যতামূলকভাবে আটকে রাখে। সেই রাতেই ১১টার পর পাক সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক বাঙালি নাগরিকদের ওপর চালায় এক নারকীয় গণহত্যা । হোটেলে আবদ্ধ সাংবাদিকরা তাদের হোটেলের জানালা দিয়ে ট্যাঙ্ক এবং ভারী অস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীদের যেতে দেখেছেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন সবাইকে এক জায়গায় আটকে রাখার জন্য হন্যে হয়ে হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন তাদের ভেতর মাত্র দু'জন বিদেশী সাংবাদিক পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন লন্ডনভিত্তিক ডেইলি টেলিগ্রাফের সাইমন ড্রিং এবং অন্যজন ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের সিডনি শ্যানবার্গ।
১০/ স্যার উইলিয়াম মার্ক টালি
![]()
একাত্তর, উত্তাল সারাদেশ। সর্বত্রই মানুষের মুখে শুধু যুদ্ধের আলোচনা, সচেতন বাঙালি মাত্রই সর্বদা জানতে আগ্রহী ছিল কোথায় কি ঘটেছে আর এর জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে থাকতো একাত্তরের বিবিসিতে একটি কন্ঠ শোনার জন্য। একাত্তরের বিবিসি মানেই মার্ক টালি। তখনকার দিনে যুদ্ধের আলোচনা উঠলেই অনেকেরই প্রশ্ন ছিল বিবিসিতে আজ কি বলেছে মার্ক টালি? ধনাঢ্য ইংরেজ পরিবারের সন্তান মার্ক টালির জন্মস্থান কোলকাতা। বাবা বৃটিশ হলেও মা ছিলেন বাংলাদেশের নেত্রকোনার মেয়ে। তাইতো বাংলাদেশের সাথে তার সম্পর্ক নাড়ির।
আজ এ পর্যন্তই । পোস্ট টি পড়ার ও দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


