কৌতুক আমার প্রিয় একটা বিষয় । কিন্তু সামুতে ইদারনিং কোন কৌতুক পোস্ট দেখিনা । তাই গুরু দায়িত্ব(?) টা নিজের কাঁধেই তুলে নিলাম ।
ভাবলাম কিছু আনকমন কৌতুক নিয়ে একটা পোস্ট দেবো । সমস্যা হল যেটাই নির্বাচন করি ওটাই কমন বলে মনে হয় । তবে কি নতুন কোন কৌতুক পয়দা হচ্ছে না ?
হয়তো পয়দা হচ্ছে আমরা তা ধরতে পারছিনা । এই যেমন সেদিন স্টেডিয়ামের বাইরে ভারতীয় সমর্থক সুধীর গৌতমকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে ভারত বাংলাদেশ অনেকটা শিতল সম্পর্ক বিরাজ করছে । যেখান থেকে এই হেনস্থা কর্মের সুত্রপাত , তা রীতিমত একটা কৌতুক ।
বাংলাদেশী কয়েকজন সমর্থক সুধীরের সাথে সেলফি তুলার জন্য ''সুধীর ভাই'' বলে ডাক দিয়েছিল । সুধীর বাবু ''স'' কে ''চ'' শুনেছিলেন । (শোনা কথা) সেখান থেকেই তুলকালাম !
ঠিক এরকম লাইভ না হলেও একদম আনকমন ( যারা আগে পড়েন নি তাদের কাছে) কিছু কৌতুক আপনাদের শানে পেশ করলাম ।
এক সরকারী অফিসের (মন্ত্রনালয়ও হতে পারে) বারান্দায় সাইনবোর্ডে লেখা ছিল
"জোরে শব্দ করা নিষেধ।"
তার ঠিক নিচে কোন বেরসিক লোক লিখলো -
"অন্যথায় আমরা জেগে যেতে পারি"
এরশাদ একটা পার্টির দাওয়াত পেল। সেত খুবখুশি। তারা তাকে এও বলল পার্টির ড্রেসকোড অনুযায়ী তাকে অবশ্যই ব্রাউন টাই পরে আসতে হবে।
পার্টিতে উপস্থিত হয়ে সেত শকড্ । অন্যান্যরা দেখি পেন্ট সার্টও পরে এসেছে।
জটাবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গেছেন স্নানের জন্য। উদ্দেশ্য ভক্তদের পাপ ধুয়ে ফেলা।
পানিতে নামার আগে জটাবাবা ভক্তদের উদ্দেশ্যে বললেন যে, যার যার পাপ ধুয়ে পাপমুক্ত হবে তারা অনায়াসেই পানি থেকে উঠে পড়তে পারবে।
গোসল শেষ করে সবাই একে একে উঠে পড়লো কিন্তু জটাবাবার ওঠার কোন নাম নেই।
তা দেখে একজন বলল, কি জটাবাবা, আপনি উঠছেন না কেন? আপনার কি পাপ ধোয়া হয় নাই ?
জটাবাবা উত্তরে বললেন, "বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে , আমার গামছাটাও ধুয়ে চলে গেছে ।"
এক বাউল কিছু সদাইকেনার জন্য মুদি দোকানে দাড়ালেন।
দোকানদার : আসুন বাবাজি, কি দরকার আপনার?
বাউল : বাবা, আপনার দোকানে ভালো মানের চাউল হবে?
দোকানদার : জ্বী হবে, এই দেখুন ৪০ টাকা কেজি।
বাউল : আচ্ছা বাবা এই চাউল তাহলে আমার ১০ কেজি দিন। আপনার কাছে দেশী মশুরের ডাউল হবে?
দোকানদার : হ্যাঁ বাবা ১০০% দেশী ডাউল, মাত্র ৯৫ টাকা।
বাউল : আচ্ছা বাবা তাহলে আমাকে ১ কেজি ডাউল দিন।
সদাই নেয়ার পর ঐ বাউল সম্পুর্ন টাকা পরিশোধ করলেন। এরপর দোকানদার একটু সংকোচ করে বাউলকে বললেন,
দোকানদার : বাবাজি অনেক লোককে দেখি সাধু বা সুন্দর ভাষায় কথা বলেন, কিন্তু আপনার ভাষাটা একটু বেশি সাধু। যেমন আপনি চাল-কে চাউল, ডাল-কে ডাউল বলেন এই আর কি।
বাউল (একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে) : বাবারে চাউল-কে যদি আমি চাল এবং ডাউল-কে যদি আমি ডাল বলি তাহলে আমার মত বাউল-কে আপনারা কি বলবেন?
বসঃ যেদিন থেকে আমি তোকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি, সেদিন থেকে প্রতিদিন তুই আমার বাড়ির সামনে পায়খানা করিস! কারন কি? তোকে তো পুলিশে দেয়া উচিত!
স্যার ,আমি শুধু আপনাকে এতটুকু মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বরখাস্ত করেছেন বলে আমি না খেয়ে মরে যাইনি!!!
এক ডাক্তারের চেম্বারে লেখা ছিল-
"যে কোন রোগের ফি ৩০০ টাকা। যদি রোগ ভাল না হয়, তবে ১,০০০টাকা ফেরত পাবেন।"
একজন ধান্দাবাজ এটা দেখে ভাবলো, ডাক্তারকে বোকা বানিয়ে ১ হাজার টাকা কামিয়ে নেই। সে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে বললো,
“ডাক্তার আমি আমার জিহ্ববায় কোন টেস্ট পাই না!!”
“২২ নাম্বার বোতল থেকে কয়েক ফোটা ওষুধ উনার জিহ্ববায় দিয়ে দাও।” এসিস্টেন্ট সেটাই করলো। লোকটি তখন ওয়াক ওয়াক করে বলল, “এটা তো প্রস্রাব!!!”
ডাক্তার হেসে বললেন, “এইতো আপনার মুখের স্বাদ ফিরে এসেছে। দেন ৩০০টাকা।”
কিছুদিন পর লোকটি আবার ফন্দি আঁটলো, কিভাবে আগের ৩০০ টাকা অন্তত উসুল করা যায়। ডাক্তারকে ঠকাতে পারলে ১০০০ টাকা পাবে। আগের দেওয়া ৩০০ বাদ দিলেও ৭০০ টাকা লাভ থাকবে। ধান্দাবাজ টি এবার চেম্বারে যেয়ে বলল,
“ডাক্তার সাহেব, আমার মেমরি লস হইছে। কিছু মনে রাখতে পারি না।” ডাক্তার আবারো এসিস্টেন্টকে বললেন,
“২২ নম্বর বোতল থেকে এক চামচ ওষুধ উনাকে খাইয়ে দাও।”
এটা শুনেই লোকটি লাফ দিয়ে উঠে বলে, “২২নম্বরে তো প্রস্রাব!! আপনি কি আবার আমাকে প্রস্রাব খাওয়াবেন??”
ডাক্তার এবারো হেসে বলেন,
“জি। আপনার স্মৃতি ফেরত এসেছে। আমার ৩০০ টাকা দেন!!!”
পুলিশঃ "ম্যাডাম, আপনি অনেক সাহসী। এই গভীর রাতে অন্ধকার ঘরে ডাকাত কে আপনি কঠিন মার দিয়েছেন।"
ম্যাডামঃ "আমার তো জানা ছিল না ও বেচারা ডাকাত ছিল।আমি ভাবছিলাম আমার স্বামী দেরি করে বাড়ি ফিরেছে!"
পিচ্চি - আংকেল আপনার দোকানে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি আছে ?
দোকানী - আছে ।
পিচ্চি - তাইলে হালা মুখে মাখিস না কেন ? তোরে দেখলে প্রতিদিন ভয় পাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২২