somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার- ভরহীন কণা- ভাইল ফার্মিয়ন , আবিষ্কারক বাংলাদেশী পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান (গুণীগন-একের ভিতর পাঁচ)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন- ৬১,৬২,৬৩,৬৪,৬৫ ।

৬১ / সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার- ভরহীন কণা- ভাইল ফার্মিয়ন , আবিষ্কারক বাংলাদেশী পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান



নতুন এক আবিষ্কারে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নেতৃত্বে একদল গবেষক ৮৫ বছর পর আবিষ্কার করেছেন ভরহীন কণা- ভাইল ফার্মিয়ন। এর ফলে আগামী প্রজন্মের জন্য ইলেক্ট্রনিক পণ্য তৈরিতে আসবে যুগান্তকারী বিপ্লব। তাই বাংলাদেশী এই পদার্থ বিজ্ঞানীকে নিয়ে বিজ্ঞানবিশ্ব সরগরম।

এ নিয়ে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট, বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন সায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদন । এতে বলা হয়েছে, নতুন এ আবিষ্কারের ফলে ইলেকট্রনিক্স-এ দ্রুত ও অধিক কার্যকর উত্থান ঘটবে । কারণ, এই কণার রয়েছে কোন ক্রিস্টালের ভিতর দিয়ে ম্যাটার ও এন্টিম্যাটারের ভিতর দিয়ে চলার অস্বাভাবিক সক্ষমতা ।

আগামী প্রজন্মের সামনে যে ইলেকট্রনিক পণ্য আসবে তার ভেতর দিয়ে বাধাহীন ও কার্যকরভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ হতে দেবে । এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বৃহত্তর শক্তি, বিশেষ করে কম্পিউটারে, মোবাইল ফোনে ।

আইনজীবী রহমত আলী ও গৃহিণী নাদিরা বেগমের দুই পুত্র এবং এক কন্যার মধ্যে সবার বড় জাহিদ হাসান । ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন জাহিদ ।

পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে পড়াশোনা করেন । সেখানে কাজ করেছেন নোবেল বিজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিভেন ভাইনবার্গের সঙ্গে । তার আগ্রহেই তিনি কাজ শুরু করেন পরীক্ষা নির্ভর পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে । পড়ালেখা শেষ করে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন । বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ।

লিঙ্ক খুজছেন ? ক্লিক হিয়ার !



৬২। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের প্রখ্যাত র‍্যাম্প মডেল কামরুজ্জামান মিন্টো



পূর্ব থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মুলধারার মিডিয়ায় আলোচিত এক বাংলাদেশি মডেল কামরুজ্জামান মিন্টো ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বোস্টনের সামারভীলের হলিডে ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক ফ্যাশন শো’তে দেশীয় ঐতিহ্য ও পোশাক বিদেশিদের মাঝে উপস্থাপন করে বাংলাদেশি মডেল মিন্টো আবারও আলোচনায় আসে । বোস্টনের স্থানীয় টেলিভিশন ও বিভিন্ন মিডিয়া ওই ফ্যাশন শো’র সংবাদ প্রচার করে ।

একটি ফ্যাশন শো'তে অংশ নিয়েও বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা সম্ভব বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কামরুজ্জামান মিন্টু । সে বোধ থেকেই জড়িয়ে পড়েন মডেলিং এ । বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এ পর্যন্ত অনেক গুলি ফ্যাশন শো এ অংশ নিয়েছেন ।
কাজ করেছেন অ্যামেরিকার প্রায় ২৭ জন সহ মডেলের সাথে ।

অধিকাংশ বিদেশি নাগরিক আমাদের দেশের নামের সাথে পরিচিত নন । তাদের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলে ধরা এবং আমাদের দেশীয় পোশাক আর সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সহজ উপায় এ ধরনের মডেল শো’তে অংশ নেয়া ।

প্রবাসে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি যুবক বা যুবতীরা যদি বিদেশিদের মাঝে এ ধরনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় তাহলে স্বল্প সময়েই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তোলা সম্ভবপর হবে বলে মিন্টো মনে করেন । দেশীয় ঐতিহ্য ও পোশাক বিদেশিদের মাঝে ফ্যাশন শো’র মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পেরে কামরুজ্জামান মিন্টো নিজেকে গর্বিত ও ধন্য মনে করছেন ।

মেহেরপুর জেলা শহরের রাজাপুর গ্রামের সন্তান মিন্টোর জন্য শুভ কামনা ।

লিঙ্ক খুজছেন ? ক্লিক হিয়ার !


৬৩/ ক্যানাডায় টেলিভিশন নৃত্য জগতে উজ্জ্বল জ্যোতি ছড়ানো- নক্ষত্র



নাম তার নক্ষত্র । পুরো নাম আনযালা মুরতাজ। জন্ম মুন্সিপাড়া, রংপুর । বাড়িতে সাংস্কৃতিক আবহ আর দাদু মিসেস সুফিয়া হোসেন ও মা রুবিনা ইয়াসমিন এর উৎসাহে নৃত্য জগতে পদার্পণ । ও যখন সেই ছোট্টটি মানে মাত্র ৩ বছর তখন থেকেই তার নাচের সঙ্গে সখ্যতা শুরু হয় শিক্ষক রানার কাছে। পাশাপাশি শিশু একাডেমীতেও শুরু করে ক্লাস । স্কুল সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে ।

২০০৬ এ ক্যানাডা চলে আসে বাবা অমিয় মুরতাজ এর কাছে । কিন্তু থেমে থাকেনি তার নৃত্য চর্চা । শুরু হয় তার ওড়িশি নৃত্যচর্চা এবং পাশাপাশি ক্যালগেরি’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে শিশুবয়সেই সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয় । বিদেশে থেকেও বাংলার সংস্কৃতি তথা নৃত্যশৈলী দিয়ে একধরনের মুগ্ধতা তৈরি করে নক্ষত্র – যে কারনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান ক্যালগেরি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ও হয়ে ওঠে অপরিহার্য।

এ ছাড়াও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে । বিভিন্ন Multicultural program এ অংশ নিয়েও হয়ে ওঠে নন্দিত। অন্য ভাষাভাষীদের একই সুরে বলতে শোনা যায় কথা না বুঝলেও ওর নাচের তাল , লয় , মুদ্রাই বুঝতে সাহায্য করে নাচের মুল ভাব। আমার মনে হয় এটাই ওর সার্থকতা ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত নৃত্যচর্চা ওকে দক্ষ করে তোলে। এখন Crescent heights High School এ Grade 11 এ পড়ছে –কিন্তু নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং নিয়মিত শিখছে ভরত নাট্যম। নক্ষত্র বিদেশে থেকেও বাংলা সংস্কৃতির গগন কে আলোকিত করছে ... দেশকে ভালবেসে নিজের নৃত্য দ্যুতি ছড়িয়ে। খুব ইচ্ছে সুযোগ করে দেশে গিয়ে নাচের উপর আরও কাজ করার । বিদেশের মাটিতেও বাংলা নাচ তথা সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করার স্বপ্ন দেখে নক্ষত্র। দেশীয় সংস্কৃতি বিকশিত হোক ওর নৃত্য ভঙ্গিমায় আর আলোকিত করুক আমাদের সংস্কৃতির পরিমণ্ডল। জয়তু নক্ষত্র!

লিঙ্ক খুজছেন ? ক্লিক হিয়ার !



৬৪/ নিউজিল্যান্ডে গানের স্কুল ‘গীতসুধা’র প্রতিষ্ঠাতা সিঁথি সাহা



বাংলাদেশে ও নিউজিল্যান্ডের বাংলা সঙ্গিতাঙ্গনে অত্যান্ত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা নিউজিল্যান্ডে একটি গানের স্কুল চালু করেছেন । এর নাম রেখেছেন ‘গীতসুধা’। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সেখানে গান শিখছে ভিনদেশি শিশুরাও ।

সিঁথি বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিকে আমি নিউজিল্যান্ডে একটি গানের স্কুল দিয়েছি । আমার এ স্কুলে অনেক ভিনদেশি শিশুরা গান শিখছে । তারা বাংলা কথা বলতে ও বুঝতে পারে না , তবে বাংলা গান বেশ উপভোগ করে । তবে এসব শিশুদের বাবা-মা আমার গান শুনেছেন । তাই তারা আমার স্কুলে ছেলে-মেয়েদের গান শেখাতে পাঠিয়েছেন ।’
প্রবাসে বাংলার প্রতিনিধিত্বকারী সিঁথি সাহার জন্য শুভ কামনা ।

লিঙ্ক খুজছেন ? ক্লিক হিয়ার !


৬৫ / বাংলাদেশি ছাত্র মনিরের সততায় মুগ্ধ মাহাথির কন্যা



প্রবাসে বাংলাদেশিদের সুনাম ও বিশ্বাসের পাল্লাটা এবার ভারী করেছেন বাংলাদেশি এক ছাত্র । তবে এবার এ সাধুবাদ এসেছে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খোদ মাহাথির মোহাম্মদের মেয়ের কাছ থেকে ।

মনির হোসেন নামে ওই ছাত্র মাহাথির কন্যার কয়েক লক্ষাধিক টাকার জিনিস কুড়িয়ে পেয়ে তা ফেরত দিয়ে গড়েছেন নতুন এ সততার দৃষ্টান্ত ।
জিনিষগুলি ফেরত নেয়ার সময় মাহাথির কন্যা মারিয়ানা মাহাথির মনিরকে আর্থিক পুরস্কার দিতে চাইলেও মনির তা নিতে অস্বীকার করেন । এর পর মারিয়ানা মনিরের ছবি তুলে চলে যান ।

এবিষয়ে মারিয়ানা তার ফেসবুকে ওয়ালে মনিরের ছবি আপলোড করে মনিরের সততার বিবরণসহ স্ট্যাটাস দেন । তিনি লেখেন, মনির এক জন সৎ ছেলে । শত পরিশ্রম করেও তার কোনো লোভ জাগেনি । সত্যি বাংলাদেশিরা অনেক সুন্দর ।

২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় পড়তে আসা মনির ,মালয়েশিয়ার সেরেম্বান নাইটিঙ্গেল কলেজের ডিপ্লোমা ইন বিজনেসের ছাত্র।

তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আব্দুল মোতালেবের একমাত্র ছেলে ।

প্রবাসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা মনিরের জন্য শুভ কামনা ।

লিঙ্ক খুজছেন ? ক্লিক হিয়ার !



সকল পর্বের লিংক এখানে ।



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×