রাজাকারের মৃত্যুতে কাঁদে যেইজন
কে বলে বাঙালি তারে
পাক্কা পাকিস্তানি জানোয়ার সেইজন ।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বুকের পাটা আছে । স্বীকার করতেই হবে । নইলে গুনা হবে ।- মাইন্ড ইট ।
রাজাকার নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার পর যখন গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে ঘাতক দালাল জামাতিরা প্যারেড মাঠে তখন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ প্রতিহত করার জন্য সমবেত হয় । রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত ধর্মান্ধতার জন্য চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সেইদিন বারবার প্রতিহতের চেষ্টার পরেও সফল হয় নাই ।
আজও একই কাজ হয়েছে । নিজামির গায়েবানা জানাজা যে পড়িয়েছিলো সেই ঘৃণিত ব্যাক্তি জামাতি মুমিন মলইর জানাজা চট্টগ্রাম কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ আবারো তা প্রতিহত করার জন্যে সমবেত হয় । ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার জন্য রগকাটা বীরের দল ছাত্রশিবির সঙ্ঘবদ্ধ হইলে ছাত্রলীগ লাঠি আর লোহার রড নিয়ে প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে যায় । কিন্তু আবারো রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আটকা পরে ছাত্রলীগ । আবারো সফল হয় একাত্তরের ঘাতক দালাল জামাতিরা ।
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানতে ইচ্ছা করে , রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী কী জামাতিদের নিরাপত্তার বেষ্টনী ? যে বেষ্টনী বেদ করে জামাতিদের ধরা যাবেনা ছোঁয়া যাবেনা এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দুই লাইন লেখাও যাবেনা ?
হে পুলিশ
ভুলে যেওনা একাত্তরে তোমাদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য । তোমরাই প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে । রায়েরবাজার বধ্যভূমি সাক্ষী । তোমাদের এমন আচরণে বধ্যভূমিতে শুয়ে থাকা তোমাদের শহীদ ভায়েরা নিরবে কাঁদে । তোমরা কী শুনতে পাওনা সে কান্নার শব্ধ ? তোমরা কী আজ বধির ?
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ
তোমাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই । তোমাদের প্রতিরোধের চেষ্টা আমাদের মতন উগ্রদেশপ্রেমিকদের ভীষণ মুগ্ধ করেছে । তোমরা হারোনাই । হেরেছে রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী ।
লক্ষ শহীদ ডাক দিয়েছে
সব সাথীদের খবর দে
সারা বাঙলা ঘেরাও কর
জামাতিদের কবর দে ।