somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের মানুষ চিনে গেছে, কে যে দোস্ত কে যে দুশমন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নির্যাতন নিপীড়ন চালাইতেছিলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তখন তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধতো দূরের কথা যৎসামান্য প্রতিরোধও গড়ে তুলতে না পেরে বাঙলাদেশে চলে আসছিলো ।

বাঙলাদেশ সরকার সার্বভৌমত্বের হুমকির বিষয়টা মাথায় রেখে বর্ডারে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করে । এমনকি রোহিঙ্গাবাহী বহু ঢ্রলার মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ।

কিন্তু এইদেশে ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে রাজনীতি করা হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম , চরমোনাই এবং বিএনপিসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন সরকারের সমালোচনায় ফেটে পরে । মসজিদ , মক্তব , এতিমখানা , হেফজখানা , চা'র দোকান থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এইসব দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা সহজ সরল বৌ ঝি মা বোনদের বুঝাতে থাকে হাসিনা সরকার ইসলাম বিদ্বেষী সরকার বলেই আজ রোহিঙ্গাদের বাঙলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছেনা । রোহিঙ্গারা মুসলমান না হয়ে অমুসলিম হইলে ঠিকই ঢুকতে দিতো ।

পরিস্থিতি এমনই হয় যে সরকারকে বারবার বিবৃতি দিতে হয় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে । দেশের জনগনকে বুঝানোর চেষ্টা করা হয় , আমাদের ভুখন্ড ছোট আমরা এতো গুলো মানূষকে খাওয়াতে পরাতে পারবোনা । কিন্তু সরকারের কথা দেশের বেশির ভাগ জনগন আমলে নেয় নাই ধর্মীয় ইস্যু বিবেচনায় ।

হেফাজতে ইসলাম থেকে বিবৃতি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে , আপনি রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ডার উন্মুক্ত করে জায়গা দিন । প্রয়োজনে আমরা আমাদের বাড়িতে জায়গা দিবো আমরা না খেয়ে তাদের খাওয়াবো ।

রোহিঙ্গাদের জন্য হেফাজতে ইসলাম সারা দেশের মসজিদ মাদ্রাসা এবং মক্তবে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে । তাদের এই ধর্মীয় উস্কানির উপর আরো বেশি রঙ ছিটায় বাটপারে আযম তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাচ্ছে বলে ।

উপায়ান্তর না দেখে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশের জনগনকে বুঝাইতে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু । এইটা বাঙলাদেশের সমস্যা না ।

কিন্তু হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম, চোরমোনাই এবং বিএনপিসহ ধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দলের অপতৎপরতায় কোণঠাসা হয়ে পরে সরকার । বর্ডার উন্মুক্ত করে দিতে বাধ্য হয় ।

এইবার আসতে থাকে অবাধে রোহিঙ্গা । যেটার সংখ্যা এখন প্রায় ১১ লাখের বেশি । প্রথম দুই মাস দেশের সহজ সরল সাধারণ মানুষ হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম , চরমোনাই এবং বিএনপিসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে সাহায্য সহযোগিতা করলেও দুইমাস পর তা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় ।

দেশের মানুষ আস্তে আস্তে বুঝতে পারে রোহিঙ্গারা শুধু এইদেশের জন্য বোঝা-ই না তারা এইদেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ । দেশের মানূষের কাছে পরিস্কার হতে থাকে রোহিঙ্গাদের চরিত্র । দেশের মানুষ আশায় থাকে সরকার তাদেরকে ফেরত পাঠাবে মায়ানমারে । সময় যত যায় দেশের মানুষ বুঝে যায় হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম , চরমোনাই এবং বিএনপিসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনের কথায় বিভ্রান্ত হওয়া তাদের জন্য ভুল ছিলো । এরা দেশের মানুষকে মিসগাইড করছে ।

সর্বশেষ রোহিঙ্গারা দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে যে সমাবেশ করেছে সেই সমাবেশ এই দেশের জনগনকে বুঝিয়ে দিয়েছে এখন চাইলেও তাদেরকে ফেরত পাঠানো সহজ নয় । রোহিঙ্গারা অলরেডি বলতেছে , তারা মিয়ানমারে কবে ফেরত যাবে সেটা বাঙলাদেশ সরকারের ইস্যু না । রোহিঙ্গারাই ঠিক করবে কবে তারা ফেরত যাবে । এমনকি তারা স্থানীয় জনগনকে এটাও বলছে, শেখ হাসিনা উখিয়া টেকনাফ তুরুস্ককের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বিক্রি করে দিছে আর এরদোগান উখিয়া টেকনাফ রোহিঙ্গাদের দিয়ে দিয়েছে । তারা স্থানীয় জনগনকে বলছে তাদের বসত ভিটা ছেড়ে দিয়ে অনত্র চলে যেতে ।

এই অবস্থায় দেশের জনগন আশাহত হয়ে দেখছে ধর্মের দোহাই দিয়ে হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম , চরমোনাই এবং বিএনপিসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক , সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছিলো । নইলে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা এখন চুপ থাকতোনা ।

দেশের সাধারণ মানুষ আশ্চর্য হয়ে দেখছে হেফাজতে ইসলাম, জামাতে ইসলাম , চরমোনাই এবং বিএনপিসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন এখন আর মসজিদ, মাদ্রাসা ,মক্তব ,এতিমখানা ,হেফজখানা এবং চা'র দোকানে কাউকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কিচ্ছু বলছেনা । তারা এখন কমপ্লিট চুপ ! দল থেকেও কোন বিবৃতি নাই । হেফাজতে ইসলামের আল্লামা শফিও বিশেষ কোন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছেনা ।

দেশের মানূষ চিনে গেছে , কে যে দোস্ত কে যে দুশমন !
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×