জুলাই মাস, ইতিহাসের সেই রক্তাক্ত অধ্যায়। এটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, এটা কোনো বিপ্লব নয়, এটা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সবচেয়ে সুপরিকল্পিত অপারেশন। ইউনুসের সংস্কারে দেশ আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত
নোবেল বিজয়ী হলেও বাস্তবে যিনি দেশের সবথেকে বড় সুদখোর, গরীবের রক্তচোষা জোঁক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনুস। ৫ আগস্ট ২০২৩'এ তাঁকে শ্রমিক শোষণ, কর ফাঁকি ও দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত করে বাঙলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কতৃক। আর এই মামলার ঠিক পরপরই শুরু হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রপাগান্ডা, রাষ্ট্রকে অকার্যকর প্রমাণ করার জঘন্য অপচেষ্টা।
জুলাই মানেই ষড়যন্ত্র:
তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট থেকে ১১ মাসে দেশে সংঘটিত হয়: সহস্রাধিক হত্যাকান্ড। ধর্ষণের ঘটনা বাড়ে ভয়ংকরভাবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রেকর্ড ভাঙে। দুর্নীতির গ্রাফ আকাশছোঁয়া। সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব, বিএনপি-জামাত-হিযবুতিপন্থীদের জয়জয়কার।- এই সবকিছুই ঘটছে "সংস্কার" আর "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার" নামক স্লোগানের আড়ালে। অথচ, সংস্কারের নামে দেশ চালাচ্ছে এমন একটি সরকার, যার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই, যাদের অধিকাংশই সাবেক বিএনপি-জামাত ঘরানার। এমনকি কেউ কেউ এক সময়কার রাজাকারপন্থী দলের সাথেও জড়িত ছিলেন।
কে কে লাভবান হচ্ছেন এই ‘জুলাই ষড়যন্ত্রে’?
১. মুহাম্মদ ইউনুস:
নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা, ছয় মাসের সাজা, চলমান মামলা, রাষ্ট্রের পাওনা ৬৬৬কোটি টাকা কর মওকুফ করিয়েছে এই সুদখোর।
২. আন্তর্জাতিক বেনিয়া চক্র:
শেখ হাসিনার “চীন-ভারত-রাশিয়া” ভারসাম্যনীতি ধ্বংস করতে।
3. দেশি NGO-দাতা পেইড মিডিয়া ও সুশীল গোষ্ঠী:
যারা শেখ হাসিনার আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
৪. বিএনপি-জামাত পুনর্বাসনপন্থী আন্তর্জাতিক লবি।
ইতিহাস কী বলে?
জুলাই মাস আমাদের জাতির জন্য বরাবরই বেদনার। ১৯৭১ সালে এ মাসেই পাকিস্তান প্রথম বুঝতে পারে যে, শেখ মুজিবকে হত্যার বা নির্বাসনের চিন্তা করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়। এরপর ২০০৪ সালে ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা। আবারও আগস্ট ৫!
আর আজকের "জুলাই সংস্কার", "ট্রান্সিশনাল গভর্নমেন্ট", "চেঞ্জ" সবই শেখ হাসিনাকে সরানোর ধূর্ত অপচেষ্টা।
জুলাই মানে:
গণতান্ত্রিক সরকারবিরোধী আন্তর্জাতিক প্রপাগান্ডার চূড়ান্ত প্রকাশ। ইউনুসের মতন লোভী ধনীর অর্থনৈতিক খেলাধুলা। পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের নোংরা হস্তক্ষেপ। প্রবাসী পেইড ইউটিউবার, ফেসবুক লাইভারদের প্রমোটেড এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
"সংস্কার" আসলে কী?
সংস্কার মানে যদি হয়, অপরাধীদের দণ্ড না দেওয়া। কারাগার থেকে আদালতের রায়ের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত ছেড়ে দেওয়া। বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ।জামাত-শিবির-রাজাকার পুনর্বাসন। ধর্মান্ধতা, নারী নিপীড়ন ও মানবাধিকার হরণ।
জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার নীলনকশা কইরা একটি বিদেশী মনপসন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা- তাইলে আজ যারা জুলাইCDI মুভমেন্টে আছে তারা সকলেই সঠিক এবং তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক
জুলাই কোনো বিপ্লব নয়; জুলাই কোনো মুক্তির ডাক নয়; জুলাই হচ্ছে, ইউনুস-নির্ভর, মেটিকুলাস ডিজাইন করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্র৷ জুলাই হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করার আন্তর্জাতিক অপারেশন।
আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার উন্নয়ন রাজনীতিকে হৃদয়ে ধারণ করি আমাদের প্রত্যেককে এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলে দিতে হবে এবং এর কোন বিকল্প নাই।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শেখ হাসিনা
জয়তু মুজিববাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪