somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরতালের চেতনায় শান্তি হোক কারণ আওয়ামী লীগ ধ্বংসে নয়, বিনির্মাণে বিশ্বাসী। হরতাল আমাদের গণতান্ত্রিক অস্ত্র, কিন্তু ধ্বংস নয়; নবনির্মাণই হোক চেতনা।

২০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গোপালগঞ্জে বাঙলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নৃশংস গণহত্যা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। গোপালগঞ্জ শুধু একটি জেলা নয়, এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণভূমি। এই মাটিতে দেশের সেনাবাহিনীর হাতে একসঙ্গে এতগুলো নিরীহ বাঙালি প্রাণ হারাবে, শত শত লোক গুম হবে- এমনটা দুঃস্বপ্নেও আমরা কল্পনা করিনি। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমাদের রাজনৈতিক, মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

এই প্রেক্ষাপটে বাঙলাদেশ আওয়ামী লীগ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কিন্তু হরতাল মানেই সহিংসতা নয়। হরতাল মানে গাড়ি পোড়ানো, রাস্তায় আগুন, মানুষকে জিম্মি করা নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সেই দলের কর্মী যারা "ধ্বংসের রাজনীতি নয়, বিনির্মাণের রাজনীতি" করে।

বাঙলাদেশ আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশে এক ব্যতিক্রমধর্মী রাজনৈতিক শক্তি। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, মানুষের সাথে এবং মানুষের মঙ্গলের লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিলো একটাই "জনগণই শক্তির উৎস"। সেই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার "উন্নয়ন, শান্তি ও গণতন্ত্র"- এই তিন মূল স্তম্ভকে ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

আমরা বিএনপি-জামাতের মতো পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারবো না। আমরা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে শিশু হত্যা করবো না কারণ আমরা হরতালকে ব্যাধির মতো নয়, প্রতিবাদের একটি সুস্থ রাজনৈতিক ভাষা হিসেবে দেখি।

জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য জনগণের বিরুদ্ধাচরণ চলবে না। আন্দোলনের ভাষা হতে হবে সুশৃঙ্খল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। হরতাল হবে জনজাগরণের হাতিয়ার, জনভীতির নয়।

আজকের ডিজিটাল যুগে গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বৈশ্বিক চোখে সবকিছুই দৃশ্যমান। আমাদের একটি ভুল পদক্ষেপ গোটা আওয়ামী লীগের চেতনা ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। বিএনপি-জামাত আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তারা চায় আমরা ভুল করি, যেন তারা আমাদের উন্নয়নের বিপরীতে হিংসার রাজনীতি চাপিয়ে দিতে পারে।

কর্মীদের প্রতি আহ্বান:
আপনারা মনে রাখবেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মী।

আপনাদের চেতনায় থাকতে হবে মুজিববাদ, যাতে মানুষের জন্য রাজনীতি হয়, মানুষের বিরুদ্ধে নয়।

হরতালের প্রতিটি মিনিট হোক সুশৃঙ্খল প্রতিবাদের প্রতীক। আপনাদের হাতের একটি আগুনের ককটেল শুধু একটি বাস পুড়াবে না, শেখ হাসিনার শান্তির রাজনীতির ওপর কালিমা ছড়াবে। আপনারা যেকোন কর্মসূচিতে ব্যানার ধরুন, স্লোগান দিন, মিছিল করুন কিন্তু যেনো একটি ফুলও নষ্ট না হয়।

আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি হতে হবে জনগণবান্ধব। জনগণ যেন মনে করে এই হরতাল তাদের স্বার্থে, তাদের সুরক্ষায়, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য। তাদের কষ্ট না দিয়ে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করেই আমরা জয়ী হবো। গোপালগঞ্জের মাটি যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে লাশ দিয়েছে, সেভাবে আমরা শান্তির মাধ্যমে সেই আত্মত্যাগকে ইতিহাসে গেঁথে দেবো।

আওয়ামী লীগ হরতাল করে , আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে না। আমাদের হরতাল গণতন্ত্র রক্ষার, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ পূরণের পথে প্রতিবাদের ভাষা। জনগণের জানমালের ক্ষতি করে নয়, তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জন করেই আমাদের জয় নিশ্চিত হবে।

আসুন আমরা মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলিত রাজনীতির মাধ্যমে এই হরতালসহ ভবিষ্যতের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করি।

জয় বাঙলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
জয় হোক শান্তির, উন্নয়নের, বিবেকবান রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×