জেনেবুঝে কখনোই অন্যায়কে সমর্থন করতে নেই, হয়তো সেটা কখনো না কখনো নিজের উপর প্রয়োগ হয়ে যেতে পারে...
আশা করছি ইমরান সাহেব এখন বুঝতে পারবেন। কিছুদিন আগের কথা, এই এমরান সরকার একটি রাজনৈতিক দলের ইন্দনে শাহবাগে বিপুল পরিমাণ গণমানুষের উপস্থিতিতে একটি মঞ্চ বানালেন এবং সেই মঞ্চের নাম দিলেন ‘গণজাগরণ মঞ্চ’। উনি এই মঞ্চের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আন্দোলনরত সকল জনতার উদ্দেশ্যে সাধারণ জনগণের মধ্যে থেকে কিছু মানুষ যখন গণতন্ত্রের প্রশ্ন তুললো, তখন তুমি (ইমরান) বলছিলা - বাংলার পরীক্ষার সময় মানুষ ইংরেজি বা অংক পড়েনা। শুধু বাংলাই পড়ে। যদিও সেই দিনগুলিতে অনাকাঙ্খিত কিছু উদ্ভট ঘটনার জম্মও তোমরা দিয়েছিলে।
সেই সময় দেশের সকল মানুষ যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এদিক ওদিক ফিরছিলো তখন তোমরা জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে বরং অনেক গুলো ইস্যু থেকে মাত্র একটি ইস্যু মিডিয়ার সামনে দাঁড় করিয়েছিলে! আর তা হলো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। কিন্তু তোমরা এর থেকে বড় কাজটি থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিলে। যা প্রতিষ্ঠিত হলে হয়তো হাজারো মানুষ নিরাপদে থাকতে পারতো কিংবা হিংসাত্মক রাজনীতি থেকে বেঁচে যেতো। অথচ যা থেকে তোমরা সরে গেলে সেটা যদি না করতে বরং জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি মূল্যায়ন করতে তাহলে যেমনি তোমার ও নাম হতো তেমনি দেশ ও পেতো একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ।
হয়তো আজ তুমি নিজের জীবনের সবচে বড় ভুলগুলো নিয়ে অনুতপ্ত হবে। যদিও সেটা কোন কাজে আসবে না। তখন যদি শুধু ফাঁসি ফাঁসি কইরা না চিল্লাইয়া গণতন্ত্রের মুক্তি চাই, আইনের শাসন চাই, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা চাই, বাক স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠা চাই এসব নিয়া আন্দোলন করতা তাহলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও হতো। আইনের শাসন ও অক্ষত থাকত। জনগণ তার ভোটাধিকার ও ফিরে পেতো। সাথে সাথে একটি সুন্দর পরিবেশে গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠিত হতো। ফলে তোমারে আর তোমার মঞ্চকে সবাই সাধুবাদ দিত।
কিন্তু আজ তুমি নিজের জ্বালে নিজেই ধরা খেয়েছো। এটাই তো তোমার প্রাপ্য হওয়া উচিত, তাই নয় কি? জেনে রাখো, যারা জেনে শুনে ক্ষুদ্র অন্যায়কে ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে মূলত তারাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে জমিনে ফেৎনা সৃষ্টিকারী। মূলত তাদের যায়গা তো কঠিন থেকে কঠিনতর স্থানে। আর আজ হয়তো তোমার জন্য সেটাই প্রযোজ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০