ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী = ৩০,০০০ কিংবা বেশি।
মোট শিক্ষক/শিক্ষিকা = ২১০০ কিংবা বেশি।
প্রশাসনিক স্টাফ = ৩৫০০ কিংবা বেশি।
----------- ধরে নিলাম ৩৬০০০ জন প্রায় -----------
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মোট সাচিবিক অনুবিভাগ = ৫৮ জন।
ব্যক্তিগত অনুবিভাগ = ২১ জন।
প্রেস অনুবিভাগ = ১২ জন।
উপদেষ্টা/বিশেষ সহকারী = ২২ জন।
অন্যান্য = ৭ জন।
------------------- সর্বমোট ১২০ জন -----------------
** ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের মোট বাজেট (পরিচালন+উন্নয়ন) ৬৬৫ কোটি (প্রায়) টাকা।
জনসংখ্যা = (ছাত্রছাত্রী + কর্মকর্তা + কর্মচারী + অন্যান্য = ৩৬০০০ হাজার প্রায়)।
** প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট বাজেট ৫৮৫ কোটি টাকা!
জনসংখ্যা = (প্রধানমন্ত্রী + কর্মকর্তা + কর্মচারী + অন্যান্য = ১২০ জন)। (পিএমও.গভ.বিডি ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী)।
এই হিসেব থেকে বিশ্লেষণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই বলুন ৩৬০০০ লোকের পিছনে আপনি ব্যায় করেন মাত্র ৬৬৫ কোটি টাকা বছরে। এটা যেমন এই দেশের জনগণের টাকা তেমনি আপনার কার্যালয়ের ১২০ জন লোকের পিছনে প্রতি বছর খরচ হয় ৫৮৫ কোটি বাংলা টাকা! এই টাকার মালিক ও কিন্তু এই দেশের জনগণ!! যদিও আপনার কার্যালয়ের পিছনে আরো ৪ হাজার ২ শত ১৮ কোটি টাকা উন্নয়ন ব্যায় বাবদ ধার্য করা আছে! সেটি কিন্তু গোপালগঞ্জের টাকা না, এটা ও মনে রাখতে হবে!!!
এখন আপনিই বলুন, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনি মহান সংসদে দাঁড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তাদের জন্য বরাদ্দের ১৫-৩৮ টাকার বিষয়ে বিষোধগার করতে পারলেন?! যেখানে আপনার কার্যালয়ের নামে মাত্র ১২০ জনের জন্য বরাদ্দ ৫৮৫ কোটি টাকা!!!
আসলে আপনি একজন ভুলো মনের মানুষ! যার কোনো প্রতিশ্রুতির প্রতি আপনার খেয়াল থাকে না! যে কারণে নিজ কার্যালয়ের হিসেবটুকুর কথা বেমালুম ভুলে যান! আর অন্যর পিছনে কঞ্চিযুক্ত বাঁশ ঢুকানো যায় কিভাবে সেই ধান্দায় রত থাকেন! যে জন্যে ছাত্রছাত্রীরা বরাদ্দের ঐ সামান্য টাকায় কি এমন খায় আর কেমন সুবিধা পায়, সেটা ও আপনার সহ্য সীমা অতিক্রম করে গেছে। অথচ এসব টাকার মালিক কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ। আপনি সেটাও ভুলে গেছেন!
তবুও আপনাকে অনুরোধ থাকবে যেহেতু এই টাকার আমানতদার হিসেবে আপনাকেই দেয়া হয়েছে সেহেতু এই টাকা থেকে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে করে প্রতিকার পেতে পারে কিংবা উপকার পেতে পারে সেজন্য সবার প্রতি সমান নীতি ও টাকার সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। যদি আপনার কোনো কৌতূহল থাকে যে, ছাত্রছাত্রীরা অনেক পাচ্ছে এবং অনেক খাচ্ছে তাহলে দয়া করে একদিন হলে গিয়ে সরেজমিনে সঠিকটা দেখে আসবেন।
আসলে ছাত্রছাত্রীরা হলগুলোতে কিভাবে থাকে?! প্রতিদিন কেমন খাবার খায়?! কোন পরিবেশে তারা পড়াশুনা করে?! ইত্যাদিকার। আর আপনার সাথে মিলিয়ে নিবেন, আপনি কেমন পরিবেশে থাকেন?! প্রতিদিন কেমন খাবার খান?! কেমন রাস্তায় চলাফেরা করেন?! কেমন গাড়ী ব্যবহার করেন?! আপনার প্রতিদিনকার রুটিন ইত্যাদিকার। তারপর না হয় সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভ ভরে বয়ান দিবেন। একটি সুন্দর ও জ্ঞানী জাতি গঠনের জন্য আপনার অবদান কি? যেমনটা সংসদে দাঁড়িয়ে আপনি বলেছেন, এই জাতি মোবাইল ফোন পেয়েছে আপনার অবদানে!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬