somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই এর হ্যামিল্টন লাইব্রেরি

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অক্টোবরের ১৫ তারিখ সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরিতে গেলাম একটা বই ফেরত দিতে, আর আরেকটা বই আনতে। বই রিকুয়েষ্ট করলে ওরা খুঁজে বের করে আনে। একদিন সময় নেয়। কিন্তু আমি ঐদিনই বই আনতে চাইলে তিনতলায় এশিয়ান সেকশনে যেতে বলে। লাইব্রেরির ম্যাপ নিয়ে তিনতলায় গেলাম। এশিয়ান সেকশনে যাওয়ার পর দূর থেকে দেখলাম রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু বই। ভাবলাম এটা ত খুবই স্বাভাবিক, রবীন্দ্রনাথ-বিষয়ক বই ত থাকবেই। ট্রাভেলার তারেক অণু'র ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়ে জেনেছি পৃথিবীর মোটামুটি সব প্রান্তেই উনি রবীন্দ্রনাথ এর কোনো-না-কোনো চিহ্ন অন্তত পেয়েছেন। আমার তখন বাংলা হরফের বই দেখবার লোভ লাগলো। দূর দেশে এসে মায়ের ভাষায় লেখা দেখতে অবশ্যই ভালো লাগার কথা। যখন বাংলা বই এর সেকশনে গেলাম, তখন দেখি শুধু রবীন্দ্রনাথ না, আরো কিছু বই আছে। দেখতে শুরু করলাম। যতই হাঁটছি, যতই দেখছি, বই এর ডাইভার্সিটি বাড়ছে। তারপর দেখলাম বাংলা সাহিত্যের মোটামুটি সব চেনাজানা সাহিত্যিকের গল্প উপন্যাস এখানে আছে। নাম না জানা অনেকের লেখা বইও আছে। ঠিক যেমন বাংলাদেশের একটা বড় লাইব্রেরিতে গেলে বই দেখতাম, ঠিক তেমনি বই দেখা শুরু করলাম। এত এত বাংলা বই দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। এমন কালেকশন এখানে থাকবে তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। কেউ এখানে বাংলা বই নিয়ে পড়ে কিনা, তাও জানিনা। যদি পড়েওবা, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন হয়তো থাকবে। কিন্তু বইয়ের এই ডাইভার্স কালেকশন বাংলাদেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের সেকশনের চেয়ে কম মনে হয়নি। অনেকক্ষেত্রে বেশি হবে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বই যেমন আছে, তেমনি আছে আনিসুল হকের বই।

পৃথিবীর মানচিত্রে খুব ছোট্ট একটা দ্বীপ হাওয়াই, এখানে এক ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরিতে বাংলা বই এর এত বিশাল কালেকশন। এটা ভালো লেগেছে আমার খুব। দিনেরবেলা The River (1951) নামে একটা সিনেমা দেখেছিলাম ঐদিন। তৎকালীন Bengal riverside এর জীবন নিয়ে বানানো সিনেমা। সিনেমায় তখনকার মানুষের জীবন দেখা যায়, অন্যকারো ভাষায় নিজের কালচারের প্রেজেন্টেশন দেখতে ভালো লাগে। সিনেমাটাও ভালো লেগেছে। আর সন্ধ্যায় দেখলাম এত এত বাংলা বই। বাংলার প্রতি একটা মায়া লাগলো। বইপড়া আর সিনেমা দেখার দিনগুলো মনে হলো, মনে হলো বন্ধুদের সাথে বই আর সিনেমা নিয়ে আলাপ করার সময়ের কথা। কত সুন্দর স্মৃতি সব জীবনে।

লাইব্রেরির ভিতরে এশিয়ান সেকশনের মধ্যে যেখানে সব বাংলা বই রাখা আছে, সেখান থেকে কিছু ছবি







সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৪৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×