আরসা প্রধানের ভাই বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছে। ঠিকানা দিয়েছে চট্টগ্রামের কোন এক এলাকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেয়া হয়েছে যাতে তারা কাঠ কেটে বন ধ্বংস না করে। অথচ রোহিঙ্গারা আগে কখনোই এই সিলিন্ডার ব্যবহার তো দূরের কথা চোখেও দেখেনি। তাই এই সিলিন্ডার থেকে কিছু দিন আগে অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। ভয়ে তারা ফ্রিতে পাওয়া সিলিন্ডার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে বসে বসে তছবি পড়ছে আর ফ্রিতে খাবার খাচ্ছে। কাম-কাইজ না থাকায় রোহিঙ্গা যুবকেরা সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে। স্থানীয় জনগনের জন্য শুধু নয় পুরো দেশের জন্য ওরা আজ হুমকি হয়ে পড়ছে। অথচ তাদের প্রত্যাবাসনে চোখে পড়ার মত কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা নামকাওয়াস্ত সংঘঠন। তারাও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকরী কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর পেছনে মূল কারনটা কি?
রোহিঙ্গা সংকট নতুন কোন ইস্যু নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে রোহিঙ্গাদের প্রতি যুলুম নির্যাতন। সর্বশেষ রোহিঙ্গাদের যে বড় ঢল এসেছে তখন এক শ্রেণির লোক জাতি ভাই জাতি ভাই বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছিলো। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে নানান প্রচারণা চালিয়েছিলো। তারা এখন কোথায়? তোদের কোন তৎপরতা তো চোখে পড়ছে না! মানবতার মা উপাধি পেতে কিংবা নোবেল পুরস্কারের আশায় কি তাহলে রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়া! নিজের সন্তানদের মেরে ফেলে অন্যের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ফল কোনদিনই শুভ হবে বলে মনে হয় না।
কক্সবাজারবাসী আন্দোলন-মানববন্ধন করছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসানের জন্য। দেশের কোন কোন কথিত জনগন এই বলে পরামর্শ দিয়েছিল যে রোহিঙ্গাদের কাজে লাগানো হোক। অথচ সেই রোহিঙ্গারাই আজ স্থানীয় শ্রমবাজার দখল করে নিয়ে বসে আছে। কক্সবাজারের খেটে খাওয়া মানুষ আজ দিশেহারা। কক্সবাজারের প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস হলো, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থামাতে প্রয়োজন হচ্ছে প্রচুর আইনশৃংখলা বাহিনী, আশ্রয়দাতারা আশ্রয় পাওয়া মানুষের কাছে জিম্মি, দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা-মাদক, রোহিঙ্গা দেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাচ্ছে, অপরাধ করছে, দোষ হচ্ছে আমাদের, দূর্ণাম কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ। পরিনামে কি পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগন? সবচেয়ে বড় হাস্যকর মনে হয় তখন যখন রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে পাঠানোতে জাতিসংঘ বলে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে, সেখানকার পরিবেশ ভালো না- দূর্গম ইত্যাদি ইত্যাদি অজুহাতে! এই নপুংশক সংগঠন তখন কোথায় ছিলো যখন রোহিঙ্গাদের উপর হামলা হয়? কেন ওরা মুখে কুলুপ এটে বসে ছিলো? এখনো কেন মিয়ানমারকে দৃশ্যত কোন চাপ দিচ্ছে না?
তবে আশার কথা হচ্ছে আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় "রচনা" লেখার সুযোগ পাচ্ছি, আমাদের কিছু বেকার গ্রাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, কিছু কিছু সংগঠন বিদেশূ সহায়তায় খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকছে। করোনা কালীন সময়ে এ আর মন্দ কি!
এখনো সময় আছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে না পারলে ফিলিস্তিনিদের মতো অবস্থা হবে বাংলাদেশের। আশাকরি সরকার এ ব্যাপারে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৮