somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উড়াল কপোত অথবা উটপাখি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আপনার পিঠে অল্প অল্প ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে
পিঠের যেখানে দুই বাহুর সংযোগ ঠিক এই
দুই জয়গায় ব্যাথাটা।ব্যাথা ধিরে ধিরে বাড়ছে
সাথে চুলকানি হচ্ছে কিছুটা ফুলে গেছে
সে দুই স্থান থেকে পানির মত কিছু বের হচ্ছে
আপনি ভয় পাচ্ছেন আর এসব হচ্ছে হঠাৎ
করে। আপনি ভাবার সময় পাচ্ছেন না।কারো কাছে বলতেও চাচ্ছেনা দ্বিধা বা সংকোচে।
এ সমস্ত যন্ত্রণা নিয়ে আপনি ঘুমাতে গেছেন
এক সময় আপনি ঘুমিয়েও গেলেন।সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠলেন,উঠে মনে পড়লো
আপনি কি একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখেছিলেন এখন মনে করতে পাছেন না আর তখনি মনে পড়লো আপনা পিঠের দুই জায়গায় রাতে
ব্যাথা ছিল, এখন ব্যাথা নেই তবে একটু ভারি ভারি মনে হচ্ছে আপনি হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলেন কি অবস্থা। আপনি হাতে অনুভব করলেন বাড়তি কিছু আছে তবে ছোট
স্পর্শ করলে ব্যাথা লাগেনা তবে টান দিলে লাগে যেমন আপনার অন্য কোন অঙ্গে টান লাগলে যেমন অনুভুত হয় তেমন। কোন ক্ষত নেই।আপনি দেখতে চাচ্ছেন সেখানে কি হলো
আপনি একটি আয়নার কাছে গেলেন। আপনার পিঠ আয়নার দিকে নিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে
দেখার চেষ্টা করলেন কি আছে আপনার পিঠে।
আপনি দেখতে পাচ্ছেন তবে বুঝতে পারছেন না কি সে দুটি।,আপনি ভালো ভাবে
দেখার চেষ্টা করলেন এবার আপনার পরিচিত কোন কিছুর মত মনে হচ্ছে কিন্তু তার পরেও আপনি নিশ্চিত হতে বার বার দেখতে লাগলেন, এবার আপনি নিশ্চিত হলেন তবে আপনি দ্বিধান্বিত, সংসয় আপনার ভিতর, এমনকি আপনি সন্দিহান
আপনার পিঠে দুটি ডানা! পাখির মত দুটি
ডানা! কবুতরের বাচ্চার যেমন পাখা থাকে তেমন। আপনি বার বার দেখতে লাগলেন
ডানা দুটিতে পালক নেই তবে তুলার মত সাদা সাদা রোঁয়া আছে যা খুবই নরম।আপনি চিন্তিত, ভাবনায় পড়ে গেছেন। আপনার মনে পড়ে গেছে কিছু কিছু মানুষ এরকম হয়
এবং তারা কিছু গুরুত্ব বহন করে। তবে আপনিও তাদের মত? নিজেকে প্রশ্ন করেন।
আপনি পাখা দুটি আড়াল করে রাখেন পোষাকের ভিতর। কাউকে আপনি জানতে দিচ্ছেন না। কিছুদিন পর আপনি দেখলেন ডানা দুটি বেশ বড় এবং শক্তিশালী হয়েছে।
আর তাতে বিভিন্ন রংয়ের পালক গজিয়েছে।
ডানা দুটি সহজাত ভাবে নড়াচড়া করছে
যেমন অন্যান্য অঙ্গ গুলি তাদের মত নড়ে
আপনি এর সাথে অভ্যস্ত না। আরো কিছু দিন পরে পাখা দুটি পূর্ণতা পেল এবং আপনার ভালোও লাগছে।এবার আপনি পাখা দুটি মেলে দেখতে চান আর তা করতে চান গোপনে। কোন জ্যোৎস্না রাতে চলে গেলেন কোন খোলা মাঠে মেলে দিলেন ডানা।
ডানা দুটি চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে
আপনা ভালো লাগছে। আপনি ডানা দুটি নাড়ালেন আর তাতে বাতাস লেগে ভারসাম্য হারানোর মত লাগলো আপনি সামলে নিলেন। আর তখনি আপনার সামনে উড়ে এসে নামলো এক মানুষ আপনি একটু জড়সড় হয়ে গেলেন। আপনি সামলে নিলেন।
এবার মানুষটি কথা বললো, সে জানতে চাইলো আপনি উড়তে পারেন কিনা আপনি বললেন জানেন না। তখন সে বলবে উড়া খুব আনন্দের, তবে কঠিন কাজ সবাই পারে না এমন কি আপনার মত যাদের ডানা আছে তারাও অনেকে উড়তে পারেন না কিছু বিশেষ মানুষ তা পারে।সে তার নিজের কথা বলবে।সেই বিশেষ মানুষের মধ্যে সে একজন আর সে কত ভালো উড়তে পারে তা সে বলবে।
এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ উড়বিদ দের মধ্যে সে এক জন। সে আপনাকে বলবে আপনার ডানা দুটি বেধে রাখতে যাতে উড়ার ক্ষমতা না থাকে, উটপাখির মত হতে বলবে, বলবে আপনি দৌড়ান। আপনার হাতে থাকবে রিলে ব্যাটন আর আপনি একটি বৃত্তাকার রেসে
দৌড়াবেন সে আপনাকে বলবে। আরো বলবে দিন শেষে সে ব্যাটন আরেক জনের হাতে দিয়ে আপনি ঘরে ফিরে যাবেন আর এটাই আপনার সাফল্য।বেশির ভাগ ডানাওলার এটাই করা উচিত আর এতেই তাদের সফলতা। আপনার সামনে অনেক উদাহরন সে পেশ করবে।সে বলবে বৃত্তাকার রেশে কত জন দৌড়ে আজ সফল আপনারো দৌড়ানো উচিত আর আপনার উড়ার যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সে উড়ে যাবে।
আপনার মন খারাপ, নিজের উপর থেকে আপনি আশা হারাবেন এবং ঘরে ফিরে যাবেন। ভুলে থাকতে চেষ্টা করবেন আপনার
ডানার কথা। পারবেন না ডানা গুলি ভিতর থেকে তাড়ন দিবে ছটফট করবে। আপনি আবার চলে যাবেন খোলা মাঠে আপনি বেছে নিবেন নিভৃত কোন জায়গা মেলে দিবেন আপনার পাখা, না আপনি উড়তে পারবেন না পড়ে যাবেন হাটুতে ব্যাথা পাবেন কনুই ছিড়ে রক্ত
বেরুবে। আপনা ভিতরে ব্যাথা বয়ে যাবে।
আর আপনার জিদ চেপে যাবে হয় উড়বো না হয় ডানা কেটে ফেলে দিবো, আপনি নিজেকে বলবেন। আবার চেষ্টা করবেন বাতাসে মেলে দিবেন পাখা। এবার কিছুটা সফল, ভালো ভাবে মাটিতে নেমে আসতে পারবেন। যদিও খুব উচুতে আপনি উঠতে পারেন নি।এভাবে আপনি প্রতি দিন একটু একটু করে উপরে উঠতে থাকবেন।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন দিন শেষে পা মাটিতে রাখবেন। পা মাটিতে রাখলেই পাবেন উড়ার নতুন উদ্দাম।আপনি খুজে পাবেন উড়ার নতুন নতুন পথ যা কারো দেখানো নয় আপনারি নিজস্ব পথ।হয়তো আপনার সে পথে আপনা পিছু পিছু উড়ে আসবে সেই বৃদ্ধ উড়ালবিদ। আপনাকে বলবে তুমি তো মেঘের ওপাড়ে যাবার পথ বের করে হইচই ফেলে দিয়েছো, তা শুনে যেন আপনার বুক
বাতাসে ভরে না যায় তাতে পাখায় হাওয়া কম পড়বে আর আপনি আছড়ে পড়বেন অতল গহবরে। আপনি শুধু আনন্দের জন্য উড়বেন শুধুই আনন্দের জন্য অন্য কিছু না
এক দিন আপনার পাখায় লেগে থাকবে নক্ষত্র
ধূলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×