আমাদের ইতিহাস বরাবরই গর্ব করার মত। ৫২তে যেমন দেখিয়েছিলাম, ৭১রেও ঠিক তেমনটি ঘটেছিল। এর পেছনে ছাত্রদের কৃতিত্বকে খাট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। আমি ছাত্র রাজনীতির সুবর্ণ সময়ের কথা বলছি। ছাত্র রাজনীতি তখনও ছিল আজও আছে। ছাত্ররা তারুণ্যের প্রতীক। পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসেছে ছাত্রদের হাত ধরে। আরও আসবে। আমরা দেখেছি মেধাবীরা যুগে যুগে নেতৃত্ব দিয়েছে সমাজকে। তাদের কর্মকান্ড ছিল ব্যক্তি গত স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে। আজও ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে। ছাত্র নেতার নাম করে পেশি শক্তির বলে পার হয়ে যাচ্ছে মহাবিদ্যালয়ে দরজা। তারপর বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় ক্ষমতা আকড়ে বসে থাকার লড়াই। এই লড়াইয়ে যদি পাড়াগাঁয়ের মেধাবী তরুণটির বলি দিতে হয় ঠাকুমার ঝুলির সেই তান্ত্রিকটির মত, তাতে কীবা আসে যায়। আমার ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই বড় কথা। আমার নিয়ন্ত্রন থাকবে অফিস পাড়ায়, আদালত পাড়ায়, মহান মানমন্দির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এই হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি। দোষটুকু তথাকথিত নেতাদের নয়্ এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমাদেরই। আজ আমি এই কথা বলছি, কাল হয়ত স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমিও এই একই পথ গ্রহণ করব। এই অবস্থার উত্তরনের জন্য প্রয়োজন আত্ম সচেতনতার এবং পাশাপাশি প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকদের সচেতন হওয়ার। বুঝতে হবে তাদের হাতেই আমাদের ভবিষৎ। অতীতের নেতারাও ছাত্রদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছেন এবং তা কেবলমাত্রই ছিল জাতীয় স্বার্থে। ব্যাক্তি স্বার্থেতো নয়ই। বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। আমরা কতই না বোকা এই সভ্য জগতে একজন শিক্ষিত যুবক হয়ে অনায়াসে জ্বি হুজুরগীরি করি আত্মসন্ম্মানের বিসর্জন দিয়ে, ক্ষুদ্র স্বার্থ অজর্নের লক্ষ্যে। আমাদের এরূপ দৃষ্টি ভঙ্গির প্রতি সমর্থন দিয়ে যদি আমরা সাফাই গাই, তাহলে বলতে হয় আমাদের অতীতের ছাত্রনেতারা কতই না বোকা ছিল!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




