কালের স্রোতে ভেসে গেছে অনেক কিছু, আবার মহাকালের পাটাতনে রয়েও গেছে অনেক সত্য সুন্দরের প্রতিধ্বনি; তা স্বত্বেও বদলেছে অনেক কিছু। বদলেছে পৃথিবীর বিবর্তনের ইতিহাস। শুধু বদলায়নি ধর্মীয় অনুশাসনের অনুভূতি। বর্বর যুগে ধর্ম এসেছিল মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে অসভ্য মানুষকে সভ্য করার তাগিদে। মানুষের মনে ধর্মীয় বিশ্বাস আর ধর্মের নামে অলৌকিক ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল জীবনের পরিমিতি বোধ, যা থেকে মানুষ পেতে পারে নিরবচ্ছিন্ন সুখ আর অসীম আত্মার পরিতৃপ্তি। বর্তমান যুগে শিক্ষা মানুষকে সভ্যতার চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছে, যেখানে শুধু মানবতারই ঝাণ্ডা উড়ে। কিন্তু শিক্ষা দীক্ষা জ্ঞান গরিমায় মানুষের মন ও মগজে সুস্থধারার মুক্তচিন্তা চেতনার বিকাশ যতটা না ঘটছে তারচেয়ে বেশী মনকে ধর্মের নামে কালো অন্ধকার থাবা আচ্ছন্ন করে রাখছে। যদিও সব ধর্মেই বলে, এমন কি বড় বড় ঋষি মনিষী্রাও বলেছেন, সব কিছুর উর্ধে হলো মানব ধর্ম। তাহলে এ কেমন ধর্ম যেখানে মানুষে মানুষে হানাহানি, কাটাকাটি, অপবাদ অপমান অপব্যবহারের ডংকা বাজে।
ধর্মের নামে হেফাজতে ইসলাম মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা বাক স্বাধীনতা মত ও চিন্তার প্রবাহকে বার বার আপমান করছে! একবিংশ শতকের সভ্যতায় এই অসভ্য আচরনের রহস্য কি ?