মনুনদী সেচ প্রকল্প স্মপর্কিত প্রতিবেদন
মনুনদী
o হিন্দু agv©ej¤^x‡`i ভগবান মনু এই নদীর তীরে শিব পূজা করতেন বলে তার নামানুসারে মনুনদী নামকরণ করা হয়। ‘মহাভারত আদি পর্বে’ এর উল্লেখ আছে।
o দৈর্ঘ্য ১১০ মাইল। ৫৮ মাইল ভারতে এবং ৫২ মাইল বাংলাদেশের মেলৈাভীবাজার জেলায়।
o ভারতের ৮৭০ বর্গমাইল অববাহিকা।
o প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৪২ লক্ষ টন পলি বহে আনে।
o শীতকালে ৫০০ থেকে ৭০০ কিউসেক এবং বর্ষায় অনেক সময় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ কিউকে পানি প্রবাহিত হয়।
o চঞ্চল মনুর একই দিনে হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।
o বন্যায় প্লাবিত হয় প্রায় ২১১ বর্গ মাইল এলাকা।
মনুনদী সেচ প্রকল্পের এলাকা
o প্রকল্পাধীন ভূমি ৫৬,০০০ একর।
o আবাদী জমি ৪৭,৬১৮ একর।
o বসতি,খাল,বিল ৮,৩৮২ একর।
প্রকল্পের অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন
o ১৯৭৫-৭৬ অর্থ বছর থেকে ১৯৮২-৮৩ অর্থ বছরে প্রকল্পের কজ সমাপ্ত হয়।
o প্রকল্প বাস্তবায়নে ৭৯৫.৭৫ লক্ষ টাক বৈদেশিক মুদ্রা এবং ৬৪৬২.২৫ লক্ষ টাকা স্থানীয় মুদ্রাসহ মোট ৭২৫৮.০০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।
জনশক্তি
o এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৭৫ জন প্রকৌশলীসহ বহু দক্ষ ও অদক্ষ কর্মচারী,শ্রমিক কাজ করেন।
o উপদেষ্ঠ হিসাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ এসোসিয়েয়েটেড কন্সালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ।
o প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রসাশক, মৌলভীবাজার।
সাজসরঞ্জাম
o পাম্প হাউজের পাম্পসহ অন্যান্য সাজসমঞ্জাম সরবরাহ করেছে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীর কে, এস, বি ,কোম্পেনী।
o মনু ব্যারেজের গেট (জলদ্বার) সরবরাহ ও স্থাপন করেছে ভারতে সিমকো ইন্টারন্যাশন্যাল লিঃ।
o হেড রেগুলেটর ও অন্যান্য সিভিল স্ট্রাকচারের গেট সরবরাহ ও সস্থাপ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিভাগ।
প্রধান প্রধান অবকাঠামো
o মনু ও কুশিয়ারা নদীর বন্যা প্রতিরোধের জন্য প্রায় ৩৭ মাইল বাধ নির্মান করা হয়েছে। যা ভাটেরা পাহাড় পযর্ন্ত বিসতৃত।
o কাশিমপুর করাদাইর খালের মূখে প্রকল্পের পাম্পিং প্লান্টটি তৈরি করা হয়েছে। এতে মোট ১২০০ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন ৮ টি পাম্প রয়েছে। এর মাধ্যমে নিচু এলাকার পানির গভীরতা কমানো এবং ষ্কিাশন কাজে ব্যবহার হয়।
o মৌলভীবাজার শহরে চৌমোহনা থেকে প্রায় দুই মাইল পূর্বে মাতারকাপন প্রামে মনু নদীর উপর মনু ব্যারেজ নিমার্ন হয়।
o ইহা ২৮২ ফুট প্রশস্ত এতে ৩০ ফুট ১৬ ফুট ৮ টি গেট রয়েছে।
o ব্যারেজের সাথে আছে প্রধান গেুলেটর। এর মাধ্যমে ৫০০ থেকে ৭০০ কিউসেক পানি সেচ কাজে পাওয়া যায়।
o সেচের পানি প্রায় ৬৭ মাইল জুড়ে জালের মত নির্মিত খাল, যা ২৮,৫০০ একর জমিতে সেচ,দেওয়া হয়।
o সেচ ব্যাবস্থার অংশ হিসাবে আরও ২৬৪টি অবকাঠামোসহ ২০টি ফার্ম ইনলেটের সাহায্যে ছোট ছোট পাম্প দ্বারা কুশিয়ারা নদী থেকে পনি সেচ দেওয়া হয়।
মনুনদী সেচ প্রকল্পের সফলতা
o সেচের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে অধিক ফসল উৎপাদন করা হয় যা আমাদের জাতীয় আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
o প্রকল্পধীন একলাকা বন্যার কবল থেকে মুক্ত হয়।
o সেচ খালের দুুই পার্শ্বের ধাধ এবং বন্যা প্রতিরক্ষা বাধ যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
o সেচ খালে সৎস চাষ ও মৎস আহরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
মনুনদীর সেচ প্রকল্পের কুফল
o মনু ব্যারেজ নির্মাণকালে ব্যারেজের নিচের গভীরতা অনেক কমানোর ফলে নদীর গভীরতা হ্রাস পায়।
o গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমের শেষ প্রান্তে নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলে।
o গভীরতা কমে যাওয়ায় অনেকাংশে পানি ধারণ ক্ষমত কমে যায়। যার ফলে বন্যা হয়।
মনু ব্যারেজ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার সৌন্দর্য্য
o মনু ব্যারেজের যখন গেট বন্ধ করা হয় এ দৃশ্য অত্যন্ত আকষর্নীয়।
o ব্যারেজ সংলগ্ন নদীর দুই পাশে ছায়া ঘেরা মায়াবী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মনমাতানো অপূর্ব দৃশ্য।
o শীতের সময় গেট বন্ধ থাকলে ¯^”Q পনির উপর সকালের সূর্য উদয় মনোরম দৃশ্য তৈরি হয়। যা দর্শনার্থীর মন কেড়ে নেয়।
o ব্যারেজের পার্শ্বে একটি পার্ক রয়েছে যা দর্শনার্থীর জন্য নিমার্ণ করা হয়।
দর্শনার্থী
o প্রায় প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী এখানে আসেন মনের আনন্দে বিভিন্ন দিক ঘুরে ঘুরে দেখেন।
o এ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেল থেকে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরে এখানে আসেন।
o সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি দেশে সরকার প্রধান, মন্ত্রি বর্গও বিভিন্ন সময় এখানে আসেন।
উৎসব দিবস
o মুসলমানের ঈদ উৎসবের দিন এখানে অধিক পরিমান লোককের ভিড় হয়। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে আগন্তুকরা।
o বাংলা নববর্ষের দিনে ব্যারেজ এলাকা বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের ভিড়ে মুখোরিত হয়।
o উৎসবের দিনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছোট ছোট দোকান নিয়ে বসে।
মনুনদী সেচ প্রকল্প জাতীয় সম্পদ
o এ প্রকল্পের সদব্যবহার করলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ব পুর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারিখঃ ২৭/০৩/২০০৮ইং
আলোচিত ব্লগ
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।