" মা ও বাংলা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন"
"মা" সন্তানের কাছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ উপহার।মায়ের মর্যদা বা ভালবাসা পশ্চিমা বিশ্ব হয়ত বছরে একদিন উপলব্দি করে, মায়ের মমত্ববোধের জাগড়ন দেখায়,তাতে আমি আশ্চর্য হই না।আফসোস করি ওদের মাতৃসেবাকে।আমি যখন দেখি বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা কঠোর পরিশ্রমের অংশ হিসাবে রাজমিস্ত্রী কিংবা রিক্সা চালনার মত ঘাম ঝরানো কাজ করেও মায়ের মুখে তুলে দেন একমোটু অন্ন।এমন নজীরও রয়েছে মাকে টুরকীতে রেখে ছেলে গতর খাটিয়ে মায়ের খাবার,ওষধ পত্র যোগার করছে।তখন গর্ব্বে মনটা ভরে যায়।বাঙ্গালী মুসলমান অন্তত মায়ের মর্যদা দিতে নুন্যতম কৃপনতা করে না।তারা প্রতিনিয়ত মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।এটা প্রমানিত সত্য।
পশ্চিমা বিশ্ব প্রাপ্ত বয়োস্ক ছেলে-মেয়ে একই সাথে গাড়িতে চড়লে যার যার ভাড়া সে সে দেওয়ার উদারন রয়েছে।অতএব তারা জন্মগত কারনে যে সংস্কৃতিতে বড় হয়েছে তাদের জন্য এমনটাই প্রচলিত।যাহা আমাদের ক্ষেত্রে বেমানান চরম বেয়াদবী।মানবতাহীন চরম অসভ্য জীবন জীবিকাকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করি।
যাই হোক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তো হবেই, তাই যে মায়ের অবদানে পৃথিবীর এত সব অপার মহিমা মহান রাব্বুল আল আমিন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই স্নেহময়ী মায়ের বিকল্প অদৌ মহাবিজ্ঞানীরা খুজে পেতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বলেই মায়ের স্থান সব কিছুর উপরে।
অতএব মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।যেহেতু মায়ের স্থান সৃষ্টি কর্তার পরে সেহেতু মাকে অবহেলা বা মনে কষ্ঠ দেয়া থেকে বিরত থাকবে নতুন পুরাতন সব শ্রেনীর মানুষ।যাদের মা বেচে আছেন,মাকে ছাড়া এক মুঠো ভাত খাব না;এটাই হোক বিশ্ব মা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়।যারা আমার মত এতিম তারা মায়ের জন্য দোয়া করাই হোক আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের একমাত্র অঙ্গিকার।
মায়ের বদনখানী মলিন কারার সকল অপপ্রয়াস রুখে দিতে হবে মায়ের মমতায়।দেশ বাচলে মা ভাল থাকবে,মা ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকব।
পরিশেষে পশ্চিমা বিশ্ব কর্তৃক বাংলা মাকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর হীন প্রচেষ্ঠাকে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে রক্ষা করার দীপ্ত শপথ নিতে হবে "বিশ্ব মা দিবসে"।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৪৫