somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আমি সম্মানের পাত্র নই
চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

জাতির এ কঠিন সময়ে প্রশাসনের সংবেদনশীল আচরন চাই।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজুরে আতঙ্ক ছড়ানো প্রানঘাতি করোনার ভয়াল থাবা থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়ে গত ২৫ তারিখ বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ‌্যে ভাষন দিয়ে
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকের করনীয় বর্জনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মুলক আপদকালীন সময়োপযোগী বক্তব‌্য সর্বমহলে প্রশংসিত।এ জন‌্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।





গতকাল শাহবাগ মোরে কর্তব‌্যরত পুলিশ সদস‌্যদের রিক্সা/ মটর বাইক থামিয়ে সাধারন মানুষগুলোকে হ‌্যান্ড গ্লাভস বিতরন ও সচেতনতা মুলক ব‌্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। পুলিশের এই আচরন দেখে মনে হয়েছিল এটা বাংলাদেশের পুলিশ নয়, পশ্চিমা বিশ্বের সভ‌্য কোন দেশের পুলিশ বা কানাডা ইউরোপের পুলিশ।জীবনের ঝুকি নিয়ে বর্তমানে করোনার সংক্রমনকে উপেক্ষা করে আমাদের ভাল রাখার মহান ব্রত নিয়ে পাহারায় রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ভাই-বোনেরা। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা জানা নেই।আল্লাহ আপনাদের সহায় হউন।



মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বাহিরে ঘুরা-ফেরা না করেন।আমরা নেত্রীর নির্দেশনার বাহিরে নই।জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যাবার অধিকার নেত্রী দেশবাসীকে দিয়েছেন।তাছাড়া  লগ ডাউন তো সরকার করেনি।আমার পারিবারিক চাহিদাগুলো আমার ছাড়া যেহেতু কেহ পুরন করার নেই তাহলে তো আমাকেই চাহিদা পুরনের তাগিদে সরকারী নিয়ম মেনে ঘরের বাহিরে যেতে হবে।সেই চাহিদা পুরনকল্পে বাবার বয়সী যশোরের মনিরামপুরে এসি ল‌্যান্ড কর্তৃত কান ধরে উঠবসের দৃশ‌্য ফেইসবুকে ভাইরাল।জাতির জনকের এই বাংলাদেশে ঐ এসি ল‌্যান্ড এই গরীব মানুষের সেবক হওয়ার কথা ছিল।বাস্তবে হয়েছেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত ছোট লট সাহেব।এরুপ লট সাহেবদের ধীক্কার জানাবার ভাষা নেই।আছে শুধু অনুশোচনা আর লেখায় প্রতিবাদ।মাননীয় তথ‌্যপ্রতিমন্ত্রী এহেন ন‌্যাক্কারজনক কাজ হতে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন শুনে কিছুটা নিভৃত হয়েছি।তারপরও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন‌্য আমার এ প্রয়াস।

আর্দশলিপি বইয়ে মহৎ ব‌্যক্তিদের বানী চিরন্তনগুলো আজও স্মৃতির জাদুঘরে ভেসে উঠে তাইতো  অতি উপসর্গের প্রতি আমার শৈশবকাল থেকেই প্রচন্ড রকম ঘৃনা ছিল। অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।অতি ভোজন ভাল নয়।বাস্তবিক অর্থে অতি শব্দটা সমাজ জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে আজকের করোনার মত ভয়ানক ভাইরাস সৃস্টিকারী সংক্রমক।ইহা আজ বিশ্ববাসীর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই ইহার ব‌্যবহার নিন্দনীয় ও সমালোচিত। উদারন স্বরুপ পরগাছা দিয়ে যেমন কাঠ হয় না এবং ফার্নিচার তৈরি করা যায় না ।অতি উৎসাহীদের নিয়েও যুদ্ধ জয়লাভ করা যায় না।মনে রাখতে হবে জগতে এই অতি+রাই সকল মহৎ অর্জন নিমিষে ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ করে।

পরিশেষে শুধু বলব সামাজিত দুরত্ব বজায় রাখার জন‌্য করোনা সংক্রামন রোধ করার জন‌্য সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে।লগ-ডাউন নয়।অতএব বিনা প্রয়োজনে আড্ডা মারলে,অযথা ঘুরাঘুরি করলে কঠোর শাস্তির ব‌্যবস্থা করলে মানুষ খুশি হবে।আর উপরে উল্লেখীত মুরব্বিদের এই চিত্র দেখলে জিয়া-এশাদের মার্শাল ল জারির কথা মনে পড়ে যায়।অতিরিক্ত কিছু করার আগে কেন?কি কারনে ঘরের বাহিরে আসছেন?এই দুটি প্রশ্ন করে যদি যথাযথ উত্তর না পাওয়া যায় তা হলে অন্তত বয়স বিবেচনায় রেখে তার চেয়েও কঠিন শাস্তি কার্যকর দেখতে চাই।দেখতে চাই প্রশাসনের সংবেদনশীল আচরন।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:০৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×