somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী জাগরণের অগ্রদূত :

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে অনেক আগের কথা। মেয়েরা তখন স্কুলে পড়তে যায় না। ঘরেই আরবি আর উর্দু শেখে। সেই সময়ে এক বালিকা আরবি আর উর্দুর পাশাপাশি বড় ভাইয়ের কাছে চুপিচুপি ইংরেজি শিখতে লাগলো। বড় বোনের কাছে শিখলো বাংলা। জ্ঞানচর্চায় আগ্রহ থেকে এভাবে শিক্ষিত হয়ে উঠলো সে।

এই বালিকাই আমাদের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে তার জন্ম। তার বাবা ছিলেন সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। তার মা রাহাতুন্নেসা সাবের চৌধুরানী।

বড় ভাই ইব্রাহীম সাবেরের কাছ থেকে বেগম রোকেয়া ইংরেজি শিখেছিলেন। বোন করিমুন্নেসার কাছে শিখেছিলেন বাংলা।

১৮৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয়। তার স্বামী ছিলেন বিহারের অন্তর্গত ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। বিয়ের পর স্বামীর নামানুসারে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে পরিচিত হন।

সাখাওয়াত হোসেন বেগম রোকেয়াকে সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করেন। ‘পিপাসা’ নামে একটি বাংলা গল্প লিখে ১৯০২ সালে সাহিত্যজগতে পা রাখেন তিনি।
১৯০৯ সালে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যুর পর বেগম রোকেয়া ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ নামে ভাগলপুরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে স্কুলটি স্থানান্তারিত করে কলকাতায় নেওয়া হয়।

প্রথমে মাত্র ৮ জন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্কুলটি। কিন্তু বেগম রোকেয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় বাঙালি মুসলিম পরিবারগুলো নারী শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। চার বছরের মধ্যে তার স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা বেড়ে ৮৪ হয়।

১৯১৬ সালে বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠা করেন নারী সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম।

বাংলা সাহিত্যে বেগম রোকেয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখায় বাঙালি মুসলিম নারীর মুক্তির বার্তা প্রতিফলিত হয়েছে। সুলতানার স্বপ্ন, অবরোধবাসিনী, মতিচুর, পদ্মরাগ তার লেখা গ্রন্থ।

বাঙালি মুসলিম সমাজে নারীদের স্বাধীনতার পথপ্রদর্শক বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বরের মৃত্যুবরণ করেন।

আজ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী। তার প্রতি রইলো আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×