চোখের কবোষ্ণ জলে যে তোমাকে নিত্য করায় নান্দনিক স্নান
সেই অর্চকের সাথে তোমার সম্পর্কের কংক্রিটে ধরেছে ফাটল
যে লুটে নিতে চায় চুম্বনে তোমার ঠোঁটের ঐশ্বর্য আলিঙ্গনে বাহুর সৌরভ
বিকিনিপরা অপ্সরা সেজে তার নষ্ট মানসেও তুমি যে হয়ে ওঠো মূর্তমান
মনে রেখো তোমায় কুরে কুরে খাচ্ছে পারমাণবিক ঘুণপোকা
আদিম সভ্যতা তোমাকে জানাচ্ছে ভোগের উদাত্ত আমন্ত্রণ
তোমার আশির্বাদ কামনা করছে সকল মুখোশ ও ছদ্মবেশ
খয়েরি রক্তের দ্রবণও পেতে চায় তোমার লাবণ্যের লবণ
হুঁশিয়ার এসব আজেবাজে আহ্বানে যেন কখনো সাড়া না মিলে তোমার
ভুলে যেয়ো না বঞ্চিত মানুষের কাছে তোমার অনেক বেড়ে গেছে দেনা
শোধাবার সময় এসেছে তাই লুকিয়ে থেকো না আর খোলসের ভেতর
ক্ষুৎপিপাসাপীড়িত উৎসবমঞ্চের ছন্দহীন ঝংকারে এবার চলে এসো
চৈতন্যে শিহরণ জাগিয়ে সুরমূর্ছনা হয়ে বেজে ওঠো দ্রিমিক দ্রিমিক
জীবন্ত কঙ্কালের কণ্ঠের তালে তালে মিলাও তোমার সুললিত স্বর
তোমার পেলব পরশে পরশে শীতল করো বেদনার্ত মানবহৃদয়
সুষম বণ্টনের স্বপ্নে যেজন বিভোর তার বন্ধু হও
লালপেড়ে শাড়িতে জায়া হও কাঙাল চিরকুমারের
নিমেষেই বনে যাও ছিন্নমূল শিশুদের শাশ্বত জননী
হায়েনার খাঁচায় বন্দি মানবতাকে তুমি দ্রুত মুক্ত করো
বিশ্বায়নের নেপথ্যে সাম্রাজ্যবাদের শিকড় উপড়ে ফেলো
শব্দাস্ত্র ছুড়ে চিরতরে স্তব্ধ করে দাও অস্ত্রশক্তির ঝনৎকার
প্রবল কম্পনে ঝুরঝুরিয়ে ভেঙে ফেলো লালসার কাচমহল
কবির প্রগাঢ় নির্জনতা ও নৈঃশব্দ্যে কায়াহীন ছায়া হয়ে যাও
আলোর পুঞ্জ পুঞ্জ স্রোতে আশার আলিম্পনরূপে দৃশ্যমান হও
সদা-সর্বদা আরও কত যে মিনতি জানাতে চেয়েছি তোমায়
অন্তর্যামিত্বে বুঝে নিও যা-কিছু যায়নি বলা বর্ণমালার ভাষায়
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫