somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবসবাসযোগ্য শহরের তালিকা থেকে কবে বেরহবে ঢাকা?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজিজ মার্কেটের উল্টাদিকে জাদুঘরের পাশের ফুটপাতে দাড়িয়ে কলা খাচ্ছি। মাঝবয়সী একজন লোক ১৮ বা ১৯ বছর বয়সের একটি ছেলেকে কলার ধরে টানতে টানতে আমার দিকে নিয়ে আসছে।

-আয়। আয়। ভাই আপনে এহন বিচারক। হুনেন হেয় করছে কি। ভাইরে ক তুই কি করছোছ। থু থু ফালাইসোছনা? কস না ক্যান।

- জি ভাই। ফালাইছি।

-দেখছেন ভাই। আবার মুখদিয়া কথা কয়। কত্ত সাহস। কই ফালাইসোছ হেইডা কসনা ক্যা।

- মেয়র প্রার্থী ডিপজল ভাইর মুখে।ভাই বিস্বাস করেন আমি জানিনা যে হের পোস্টার রাস্তায় পইড়া আছে। আমি বাসের জানালা দিয়া থু থু ফালাইছি, সোজা গিয়া হের মুখের ওপর।

-সাহস দেখছেন। ডিপজল ভাই আমারে কইছে নির্বাচনের আগ প্রযন্ত মাথা ঠান্ডা রাখতে। আজকে ওরে মাইরাই ফালাইতাম। ভাইর কথা মত আমার মাথা ঠান্ডা রাখতে হইবো। অহন অর বিচার আপনে করবেন।

ডিপজল ভাইর অন্ধ ভক্তকে বুঝায়া শুনায়া বিদায় করলাম। অতপর ছেলেটিকে সাব্বাশ বলে বাসে উঠায়া দিলাম।

মোরাল অফ দা স্টোরিঃ পোস্টার টানানো যদি বৈধ হয়, শহর নোংরা করা সেসব পোষ্টারে থাকা জনপ্রিয় নেতার ছবিতে থুথু দেওয়াও বৈধ।

(সম্পূর্ণ কাল্পনিক,বাস্তবে এরূপ কিছুই ঘটে নাই। )

সত্যি যা ঘটছে তা হল নেতারা সব চায়ের দামে কফি খাচ্ছে। পোস্টার আর হইহুল্লোর করা মিছিলের মাধ্যমে চামচারাও পকেট গরম রাখছে। নির্বাচন উৎসব হয়ে যাচ্ছে। যার মুখে যা আসছে অঙ্গীকার হিসেবে প্রদান করছে। রাখা না রাখার কোন ব্যাপার এখানে নেই। দাদার আমল থেকে দেখে আসছে নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই নাতির প্রজন্ম মেনেই নিয়েছে এটা।

দেশের সকল মানুষের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় যে কেমন ঢাকা চান ৯০ শতাংশের চাহিদার মধ্যে পরিচ্ছন্ন ঢাকা উল্লেখ থাকবে। যেখানে নির্বাচনের আগেই প্রার্থীরা অপরিচ্ছন্ন রাখছে ঢাকাকে নির্বাচনের পর কতটুকু কি রাখবেন তা আমাদের সবারই জানা।

একদিকে মোদী সরকার স্বচ্ছ ভারত গড়ছে অন্যদিকে আমাদের ফিউচার মেয়ররা দূষিত ঢাকা গড়ছে। ভেবেছিলাম আপনাদের হাত ধরে অবসবাস যোগ্য শহরের তালিকা থেকে বেড়িয়ে আসবে ঢাকা। মনেহয় না সেটা সম্ভব।

এখন মনেহচ্ছে এই অবসবাসযোগ্য শহরে অযোগ্য নেতাদের সাথেই বসবাস করতে হবে। আবারও বলছি এমন ঢাকা চাইনি।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×