আজিজ মার্কেটের উল্টাদিকে জাদুঘরের পাশের ফুটপাতে দাড়িয়ে কলা খাচ্ছি। মাঝবয়সী একজন লোক ১৮ বা ১৯ বছর বয়সের একটি ছেলেকে কলার ধরে টানতে টানতে আমার দিকে নিয়ে আসছে।
-আয়। আয়। ভাই আপনে এহন বিচারক। হুনেন হেয় করছে কি। ভাইরে ক তুই কি করছোছ। থু থু ফালাইসোছনা? কস না ক্যান।
- জি ভাই। ফালাইছি।
-দেখছেন ভাই। আবার মুখদিয়া কথা কয়। কত্ত সাহস। কই ফালাইসোছ হেইডা কসনা ক্যা।
- মেয়র প্রার্থী ডিপজল ভাইর মুখে।ভাই বিস্বাস করেন আমি জানিনা যে হের পোস্টার রাস্তায় পইড়া আছে। আমি বাসের জানালা দিয়া থু থু ফালাইছি, সোজা গিয়া হের মুখের ওপর।
-সাহস দেখছেন। ডিপজল ভাই আমারে কইছে নির্বাচনের আগ প্রযন্ত মাথা ঠান্ডা রাখতে। আজকে ওরে মাইরাই ফালাইতাম। ভাইর কথা মত আমার মাথা ঠান্ডা রাখতে হইবো। অহন অর বিচার আপনে করবেন।
ডিপজল ভাইর অন্ধ ভক্তকে বুঝায়া শুনায়া বিদায় করলাম। অতপর ছেলেটিকে সাব্বাশ বলে বাসে উঠায়া দিলাম।
মোরাল অফ দা স্টোরিঃ পোস্টার টানানো যদি বৈধ হয়, শহর নোংরা করা সেসব পোষ্টারে থাকা জনপ্রিয় নেতার ছবিতে থুথু দেওয়াও বৈধ।
(সম্পূর্ণ কাল্পনিক,বাস্তবে এরূপ কিছুই ঘটে নাই। )
সত্যি যা ঘটছে তা হল নেতারা সব চায়ের দামে কফি খাচ্ছে। পোস্টার আর হইহুল্লোর করা মিছিলের মাধ্যমে চামচারাও পকেট গরম রাখছে। নির্বাচন উৎসব হয়ে যাচ্ছে। যার মুখে যা আসছে অঙ্গীকার হিসেবে প্রদান করছে। রাখা না রাখার কোন ব্যাপার এখানে নেই। দাদার আমল থেকে দেখে আসছে নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই নাতির প্রজন্ম মেনেই নিয়েছে এটা।
দেশের সকল মানুষের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় যে কেমন ঢাকা চান ৯০ শতাংশের চাহিদার মধ্যে পরিচ্ছন্ন ঢাকা উল্লেখ থাকবে। যেখানে নির্বাচনের আগেই প্রার্থীরা অপরিচ্ছন্ন রাখছে ঢাকাকে নির্বাচনের পর কতটুকু কি রাখবেন তা আমাদের সবারই জানা।
একদিকে মোদী সরকার স্বচ্ছ ভারত গড়ছে অন্যদিকে আমাদের ফিউচার মেয়ররা দূষিত ঢাকা গড়ছে। ভেবেছিলাম আপনাদের হাত ধরে অবসবাস যোগ্য শহরের তালিকা থেকে বেড়িয়ে আসবে ঢাকা। মনেহয় না সেটা সম্ভব।
এখন মনেহচ্ছে এই অবসবাসযোগ্য শহরে অযোগ্য নেতাদের সাথেই বসবাস করতে হবে। আবারও বলছি এমন ঢাকা চাইনি।