দৃশ্যপট
সকাল ১০:০০
-হ্যালো মিমি।
-হ্যালো। শুনো আমার খুব জ্বর। আজকে আর কলেজ যাবোনা।মনেহচ্ছে সারাদিন বিছানা থেকেই উঠতে পারবোনা। বাই পরে কথা হবে।
সকাল ১২:৩০
-মিমি। জ্বর কমছে?
-লিখন। আব্বু ইয়া বড় একটা মাছ আনছে।নাম জানিনা তবে বিশাল বড়। আমি আর আপু মিলে এখন মাছটা কাটবো। একটু বিজি। পরে কথা হবে।
-কিন্তু তোমার না জ্বর.....(ফোন কেটেদিল)
দুপুর ৩:০০
-মিমি, অনলাইনে আছো
-হ্যা। জানো সারাদিনে বিছানা থেকে উঠতে পারিনাই । দিনটা খুব খারাপ কাটছে।এখন ঘুমাবো। বাই।
-কিন্তু..... (ফোন কেটেদিল)
চকলেট বয়। ফানি! ভেরি.. ফানি। লিখন নামের উদাস ছেলেটিই চকলেট বয়। শৈশব থেকেই মিমি চকলেটের প্রতি তার অদ্ভুত আকর্ষন। মা কিংবা মামা, যার হাত ধরেই বাহিরে যাকনা কেন মিমি চকলেট চাই।
মিমির নেশায় নেশাগ্রস্থ। মানুষ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে শৈশবের অনেক নেশাই ত্যাগ করে। লিখন ব্যাতিক্রম। মিমি নামক মেয়েটি আর মিমির নেশা ছাড়তে দিলনা।
চেহারা ভরা একঝাক রহস্য নিয়ে লিখনকে আজও নেশায় রেখেছে। সমাজ অনুমোদিত এ নেশা। এই নেশার ফাদে পড়েই লিখনের দিনগুলো এখন মিমিময়।
এই মেয়ে অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে। রহস্যের জাল বোনার ক্ষমতা। যে জাল ছেঁড়া যায়না, কাটা যায়না। এই জালে শুধু আটকে থাকা যায়। ভালবাসাবাদীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েদখানা হচ্ছে এই মায়াজাল।
লিখন একরাশ ভালবাসায় মিমিময় দিনগুলোকে সাথে নিয়ে আটকেরবে নিরবে।এরা বড্ড সফট । এরা জটিলতায় অবিস্বাসী।
এরাই চকলেট বয়। ফানি! ভেরি ফানি।