তালিবানরা যখন মহিলাদেরকে বোরখা পড়তে বাধ্য করে তখন সেটা সুষ্পষ্ট মানবাধিকার লংঘন। কারও ইচ্ছে হলে সে ন্যাংটা ঘুরবে অথবা কারও ইচ্ছে হলে সে বোরখা পড়বে। রাষ্ট্র আইন করে হিজাব পড়তে বাধ্য করা যেমন সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার পরিপন্থী তেমনি রাষ্ঠ্র আইন করে যদি হিজাব/স্কার্ফ নিষিদ্ধ করে সেটাও মানবাধিকার পরিপন্থী। তাই তালিবানরা আইন করে হিজাব/বোরখা পড়তে বাধ্য করলে সেটাকে যদি মানবাধিকার পরিপন্থী মনে করেন তেমনি আইন করে তুরস্কে যদি কর্মক্ষেত্র বা বিশ্ববিদ্যালয়ে(যেখানে কোন ইউনিফর্ম নেই) হিজাব পড়তে নিষিদ্ধ করাও মানবাধিকার পরিপন্থী। আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা তথাকথিত আধুনিক মানুষেরা একেকটা ভন্ড। আমরা যদি নাস্তিক-বামপন্থি হয় তখন তালিবানদেরটাকে মানবাধিকার-পরিপন্থী মনে করলেও তুরষ্কেরটাকে আধুনিকতা মনে করব। আবার চরম প্রতিক্রিয়াশীল আস্তিকরা-ইসলামীরা তালিবানদেরটাকে মানবাধিকার লংঘন মনে করবেনা কিন্তু তুরষ্কের ব্যাপারে মানবাধিকারের দোহাই দিবে। হামাসকে জনগন যদি চায় তখন সে গণতন্ত্র আমরা মানতে রাজি না!
Universal Declaration of Human Rights:
* Article 2.
Everyone is entitled to all the rights and freedoms set forth in this Declaration, without distinction of any kind, such as race, colour, sex, language, religion, political or other opinion, national or social origin, property, birth or other status. Furthermore, no distinction shall be made on the basis of the political, jurisdictional or international status of the country or territory to which a person belongs, whether it be independent, trust, non-self-governing or under any other limitation of sovereignty.
* Article 18.
Everyone has the right to freedom of thought, conscience and religion; this right includes freedom to change his religion or belief, and freedom, either alone or in community with others and in public or private, to manifest his religion or belief in teaching, practice, worship and observance.
জাস্টিস পার্টীর বড়বড় নেতাকে ব্যান করার পরও যে পার্টীটা ক্ষমতায় আসতে পারে তাতে বুঝা যায় তাদের জনপ্রিয়তা কতবেশি। তাই তাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ট জনতার প্রতি
নিধি বলা যায়। তুরস্ক একটা ১০০% শিক্ষিতের দেশ এবং সংখ্যাগরিষ্ট জনগন যখন ভোট দিয়েছিল জাস্টিস পার্টীকে তখন তারা জানত যে একটা ইসলামিক পার্টীকে ভোট দিচ্ছে। তাই স্কার্ফ-বিরোধী আইন রদ করার ক্ষেত্রে জাস্টিস পার্টীর অবস্থান সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের মতামতের প্রতিফলন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া কাউকে ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতে না দেয়া বা করতে বাধ্য করাটা যেহেতু মানবাধিকার লংঘন তাই স্কার্ফ পড়তে না দেয়াটাও মানবাধিকার লংঘন। সেক্যুরালিজম যখন মৌলবাদীতার আরেক নাম হয়ে যায় তখন সেক্যুলারদেরই উচিৎ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করা। নাহয় মৌলবাদীদের চিরন্তন বিশ্বাস যে সেক্যুলারিজম মানে ধর্মহীনতা সেটারই পালে হাওয়া লাগবে এবং খুব কম সময়ের মধ্যে সেক্যুলারিজমের মৃত্যু ঘটবে। সেক্যুলারিজম বলতে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবাইকে তার তার ধর্ম পালন করতে দেয়া। কাউকে ধর্ম পালন করতে বাঁধা দেয়া যেমন যাবেনা তেমনি নিষেধও করা যাবেনা। হিজাব পড়ে বা না পড়ে কেউ আধুনিক হয়না। আধুনিকতা মননে, শিক্ষায়-দীক্ষায়। পোশাক-সর্বস্য আধুনিকতা দেওলেপনা ছাড়া কিছুই নয়।
তাই এটা স্পষ্ট যে:
১. তুরষ্কের স্কার্ফ-বিরোধী আইন মানবাধিকার পরিপন্থী।
২. এটা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের মতামত বিরোধী।
৩. এটা সেক্যুলারিজম নয়, বরং মৌলবাদিতা।
৪. এখানে একটা ইমপ্লাইড ভন্ডামিও আছে। আইনটাকে রিটেইন করা হচ্ছে ইই্উ তে ঢুকার জন্য।
এ বিষয়ে ব্লগারদের ভাষ্য জানতে আগ্রহী। আমি ঠিক বুঝিনা আমরা কেন মৌলবাদীদেরকে তাদের ভাংগা-রেকর্ড বাজাবার সুযোগ করে দিই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:০৩