রাজপথে শিশু :
এক বছর আগে ফিরে তাকালে দেখতে পাই, শিবিরের মিছিলের অগ্রভাগে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার। ওইসময় এমন হীন নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে দেখতে পাই, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মানব বন্ধনের নামে শিশুদের রাজপথে নামাচ্ছে। এর সাথে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ব্যানারও লক্ষ করা।
নির্মম মৃত্যুমুখে শিশু :
চলমান বিশ দলীয় জোটের আন্দোলনে এপর্যন্ত দশ জন শিশু মারা গেছে। যা কখনই কাম্য নয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল ও কলেজে গতরাতে ৮ ঘন্টার মধ্যে ১০ শিশুর মৃত্যু। দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি স্বাভাবিক ঘটনা।
পর্যালোচনা :
শিশুরা রাজনীতির কী বোঝে যে ওদের আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে মারতে হবে? আবার রাজনীতির সুবিধা নিতে কেন মানব বন্ধনের নামে রাজপথে নামাতে হবে? প্রশ্নগুলো অতি সহজ কিন্তু উত্তর অনেক কঠিন! বর্তমানে যারা শিশুদের রাজপথে নামাচ্ছে তাদের সাথে শিবিরের পার্থক্য কোথায় থাকলো!? আবার সরকারের টনক নড়ে শিশুদের যখনই পুড়িয়ে মারা হয় কিন্তু ডাক্তারের অবহেলার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে ১০ শিশুর মৃত্যু হয় তখন এসব ডাক্তারকে সমর্থন করে কীভাবে? জ্বালিয়ে মারা, ডাক্তারের অবহেলায় মরা সম অপরাধ তবে এদের শাস্তির আওতায় না এনে কেন এদের সাফাই গাওয়া তা আমার স্বল্প জ্ঞানে ধরা পড়ে না। সরকার একদিকে শিশু হত্যাকাণ্ড সমর্থন করছেন অন্যদিকে মানব বন্ধনের নামে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কিছু বলার নেই, কারণ এমন পাগল ছাগলে মন্ত্রী পরিষদ পরিপূর্ণ। তাই একজনকে বলে কী লাভ? সবগুলোই পাবনা যাওয়ার উপযুক্ত হয়ে পড়েছে। কারণ সবগুলো মানসিক রুগী।