"দেশ স্বাধীন হইলে আমি ন্যাশনাল টিমের হয়ে ওপেনিংয়ে নামুম,ক্যাপ্টেন হমু।আঙ্গুল তিনটা রাইখেন স্যার প্লিজ..." ১৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে গেরিলা অপারেশনের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে জুয়েল আহত হন। এরপরে চিকিৎসকের কাছে এটাই ছিলো ক্রিকেটার জুয়েলের আকুতি! শহীদ জুয়েলের জন্ম ১৯৫০ সালের আজকের এই দিনে, তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাইকশা গ্রামে! ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মে মাসের শেষ দিকে ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে যান শহীদ জুয়েল। সেখানে তাঁকে মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্ল্যাটুনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় এসে গেরিলা অপারেশন শুরু করেন। ফার্মগেট ছাড়াও এলিফ্যান্ট রোডের পাওয়ার স্টেশন, যাত্রাবাড়ী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে গেরিলা অপারেশনে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দেন তিনি। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার জুয়েলকে মরণোত্তর বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অণুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ সনদ নম্বর ১৪৮! শুভ জন্মদিন শহীদ বীর বিক্রম আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল! জন্মদিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো। আপনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হ্রদয়ে,অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন ম্যাশ,সাকিবদের মাঝে! অথচ আমরা কত সুন্দর করে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডে 'পাকিস্তান পাকিস্তান' বলে গলা ফাটাই! লজ্জা, অনেকখানি লজ্জা!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৬