কয়েকদিন ধরে রাজধানীর পানের আড়তগুলো দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কোন আড়তদার এক গন্ডা পানও রেখে যেতে হচ্ছে না। সব পান বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। এ নিয়ে কাওরান বাজারের পান ব্যবসায়ীদের মাঝে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার হঠাৎ এমন রমরমা ব্যবসার কারণ বুঝতে না পেরে রহস্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে আমীনির মৃত্যুর পর হঠাৎ পান ব্যবসায় ধ্বস নামে। এরই মাঝে অনেকে পান ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখন আবার পরিস্থিতি ঘুরে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন টাকা পয়সা নিয়ে ঢাকায় আসছেন পানের আড়ত খোলার জন্য।
এদিকে বর্তমানে দেশে যে পান উৎপাদন হয়, কিংবা যতটুকু পান বিদেশ থেকে আমদানী হয়, তা দিয়ে চলমান চাহিদা পূরণ করা যাবে না বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তাই নতুন নতুন এলসি খুলতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের আমদানি নীতির দীর্ঘসূত্রিতার ফলে পান আসতে দেরি হচ্ছে এবং অধিকাংশ ক্রেতাকে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এতো চাহিদা? হঠাৎ করে পানের বাজারের দৃশ্যপট এভাবে পাল্টালো কেন? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে কথা বলি কয়েকজন ক্রেতার সাথে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্রেতাই জবাব না দিয়ে মুচকি হেসে চলে যান।
অনেক চেষ্টার পর এক ক্রেতার সাথে কথা বলতে সক্ষম হই। তিনি জানান, “হুজুর বলেছেন একদিকে পান চলবে, আরেকদিকে কাজ চলবে!”
এরপর আমরা অনুসন্ধান চালাই। অনুসন্ধানে জানা গেছে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফোনসেক্সের অডিও। সেখানে তিনি তার প্রিয়তমার সাথে সেক্সের এক পর্যায়ে বলেন “আমি একটু পান খেয়ে নিই। একদিকে পান চলবে, আরেকদিকে কাম চলবে!” এরপর থেকে মূলত পানের বাজারে চাহিদার তুফান লাগে।
বাজারে এক ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, রাজশাহী থেকে কিছু পান আসছে। তার কাছে এক বিড়ার মত পান আছে, আপাতত তাই নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন। ফজরের পর আড়তে ফিরবেন।
তিনি বলেন, “পান যেহেতু আছে, মেশিন চলবে!”
পান কিভাবে কামের যোগান দেয়, জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “তা জানি না, কিন্তু মেশিনতো চলছে!”
সূত্র: দৈনিক মগবাজার
হুজুরের ওয়াজ শুনুন এইখানে
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




