somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্যালেস্টাইনের শান্তি, হামাস এবং হামাসের ছেলে - মোসাব হাসান ইউসেফ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১৯৯৩ সালে) ইজরায়েল এবং ইয়াসের আরাফাত এক গোপন আলোচনা শুরু করে যা কিনা পরবর্তীতে অসলো সন্ধি চুক্তিতে পরিণত হয়। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে আরাফাত ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী রবিনকে একটি চিঠি লেখেন যে চিঠিতে তিনি সরকারীভাবে ইজরায়েল রাষ্ট্রের শান্তিতে এবং নিরাপদে টিকে থাকার অধিকার স্বীকার করে নেন। একই সাথে ইজরায়েলের প্রতি সন্ত্রাস এবং আক্রমণাত্মক আচরণ পরিহার করার অঙ্গীকার করেন।

এরপর রবিন PLO কে প্যালেস্টাইনী জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করে নিলেন। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সংগঠনটির উপর থেকে আমেরিকান সম্পর্কের উপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেন। সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে হোয়াইট হাউসে তোলা আরাফাত এবং রবিনের করমর্দন রত ছবি দেখল। সেই সময়কার এক জরীপে দেখা যায় গাজা এবং পশ্চিম তীরের অধিকাংশ প্যালেস্টাইনী মানুষেরই Declaration of Principles (DOP) নামে পরিচিত এই চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি সমর্থন ছিল। এই প্রামাণ্য দলিলের কারণে Palestin Authority (PA) এর গঠন সম্ভব হয়েছিল; গাজা এবং জেরিকো থেকে ইজরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল; এই দুই অঞ্চলে স্বায়ত্ত শাসনের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল; এবং তিউনিসিয়ার নির্বাসন থেকে আরাফাত এবং PLOর প্যালেস্টাইনে ফিরে আসার দরজা খুলে গিয়েছিল।

কিন্তু আমার বাবা DOPর বিরোধী ছিলেন। তিনি ইজরায়েল কিংবা PLO কাউকেই বিশ্বাস করতেন না। ফলশ্রুতিতে এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি তার কোন আস্থা ছিল না। তার কথা অনুযায়ী হামাসের অন্যান্য নেতাদেরও নিজস্ব কারণ ছিল এই চুক্তির বিরোধিতা করার। যে কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল এই যে এই চুক্তি চিরস্থায়ীভাবে টিকে যেতে পারে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অর্থ হবে হামাসের যবনিকা পাত। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হামাস সংগঠনটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সম্ভব হবে না। অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলিরও এই দ্বন্দ্ব চালিয়ে নিয়ে যাবার পেছনে নিজস্ব লাভ-ক্ষতির ব্যাপার ছিল। বিভিন্ন ধরনের দল-মানুষের বিভিন্ন রকম লক্ষ্য এবং স্বার্থ যেখানে বিদ্যমান থাকে সেখানে শান্তি অর্জন করা খুবই কঠিন একটি বিষয়।

উপরের নির্বাচিত অংশটি হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ হাসান ইউসুফের বড় ছেলে মোসাব হাসান ইউসুফের লেখা "Son of Hamas" বইয়ের ৮ম অধ্যায় "Fanning the fire" এর কিছু নির্বাচিত অংশের অনুবাদ। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় পক্ষেরই সদিচ্ছা হল সবচাইতে বড় এবং প্রয়োজনীয় শর্ত। লেখার এই অংশ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে হামাসের সেই সদিচ্ছার অভাব আছে এবং তারা ইচ্ছুক নয়। আজকে ইজরায়েলের সাথে সাময়িক শান্তি চুক্তিতে প্যালেস্টাইনীরা আনন্দিত কিন্তু এই আনন্দ চিরস্হায়ী হবে কি? কোনই সম্ভাবনা নেই।এই শান্তি পুনরায় অশান্তিতে পরিনত হওয়া আবারও শুধু সময়ের ব্যাপার।

পাঠক, ইজরায়েলী সন্ত্রাসের কথা কিংবা ইজরায়েল কতটুকু ইচ্ছুক সেই আলোচনা করা এখানে অপ্রয়োজনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×