আপনি পেট ভরে খাচ্ছেন, আর আপনার প্রতিবেশি আপনাদের দামী দামী খাবারের সুঘ্রান নাকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। সারাদিন রোজা রেখে হাজার টাকার ইফতার না হলে রোজা পরিপূর্ণ হয়না, তখন আপনারই পাশে কিছু মানুষ ভোর রাতে আলু ভর্তা আর মরিচ পোড়া ভাত খেয়ে রোজা রেখে ইফতার করছে পানি আর দু একটা খেজুর দিয়ে। তাও জুটেনা সব সময়।
আপনি কি ভুলে গেছেন বিদায় হজ্বে রাসূলের সেই বিখ্যাত বাণী, "তোমরা যা খাবে অন্যদের কেও তাই খাওয়াবে, তোমরা যা পরবে, অন্যদের তাই পরাবে"? যদি ভুলে না যান, তবে প্রতিবেশির সাহায্যে এগিয়ে আসেন না কেন?
খবরে প্রকাশ, আরবরাই সবচেয়ে বেশি খাবারের অপচয় করে থাকে, বিশেষ করে রমজান মাসে বেশি। অথচ তাদেরই প্রতিবেশি ফিলিস্তিনের মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য পানির অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আরবরা বিলাসীতায় গা ভাসিয়ে বেড়াচ্ছে, আর অন্যদিকে ফিলিস্তিনসহ অনেক দেশের মুসলিমরা তাদের মৈলিক অধিকারগুলো পর্যন্ত পুরণ করতে পারছেনা।
অপচয় করে শয়তানের ভাই/দোসর হবে কিন্তু দরিদ্র অসহায় মানুষদের ভ্রাত্বিত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করবেনা। আরব রা এমনি, লেবাসটাই শুধু হুজুর হুজুর, আর সব কিছুতে শয়তানিতে শয়তান কেও হার মানায়!
তবুও আশাবাদী, তারা নিজেদের শয়তানী ছেড়ে তারপর নামাজে বলবে, “হে আল্লাহ্, বিতাড়িত শয়তান হতে আমরা তোমার নিকট আশ্রয় চাই”।
রমজানের প্রস্তুতি এখন থেকে শুরু হোক, দামী দামী পোশাক, খাবারে নতুন নতুন মেনুর কথা বলছি না, বলছি ‘সবার তরে আমরা সবাই’, স্লোগানে শামিল হতে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য।