somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হতচ্ছাড়া বালক
ব্লগিং করাটা আমার শখ, শখের মধ্য দিয়ে আমি অনেক কিছু জানতে চাই, জানাতে চাই, নিজে উপকৃত হবো এবং অন্যকেও আমার দ্বারা উপকৃত করার চেষ্টা করবো। অহেতুক ঝুট ঝামেলা আমার পছন্দ নয়, আমার লেখায় কোন অসংগতি দেখা গেলে ব্যাক্তিগত আক্রমণ না করে সুন্দরমার্জিত

নড়বড়ে চারত্রিক দৃঢ়তা, লুকোচুরি চলে হরদম, কে কাকে শোধরাবে?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কে কাকে প্রতিষেধক দিয়ে সারিয়ে তুলবে যখন অধিকাংশ মানুষই মহামারিতে আক্রান্ত! প্রযুক্তি আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ, সেদিকে যাচ্ছি না, তবে ইন্টারনেট এক্সেসের কারণে সন্তানদের অপকর্মের শতভাগের ৯৮ভাগই জানে না গার্ডিয়ানরা, তেমনি করে স্বামী/স্ত্রী, ভাই-বোন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের পরস্পরের সিকিভাগ অপকর্মই জানতে পারে না।

এক সময় প্রেমে চিঠি বিনিময় হতো, তা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং লুকিয়ে দেখা করা, কথা বলা ছিল আরো কষ্ট সাধ্য। তারপর আসল মোবাইল, যার মাধ্যমে অবৈধ প্রেমের সুযোগ বেড়ে গেলো, অন্যগামী/বহুগামী হওয়া অনেকাংশে সহজ হল কিন্তু ধরা পড়ে যাবার ভয়ও ছিল। বেশি সময় কানে মোবাইল ধরে রাখা, অথবা ওয়াইটিংয়ে থাকা অনেকের মনে সন্দেহের উদ্রেক করতো, তারপর মোবাইলে টাকা খরচের হিসাবও লাগত, তাতে করে গার্ডিয়ানদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হতো বখে যাওয়ার আগেই সময়োচিত ব্যবস্থা নেয়া।

আর এখন সোস্যাল মিডিয়ায় সর্বজনার সহজ প্রবেশাধিকার সন্তানদের মতিগতি, স্বামী/স্ত্রীর লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া সম্পর্কে মহা ধোঁয়াশায় ফেলে দিচ্ছে! একজনকে পাশে ঘুম পাড়িয়ে সারারাত তৃতীয় জনের সাথে ‘অফলাইনে’ চ্যাটিং বা ভিডিও চ্যাটিং করলেও ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না। এভাবেই ছেলেসন্তান বাবা মাকে, ভাই বোনকে, বোন ভাইকে, শিক্ষক শিক্ষার্থীকে, শিক্ষার্থী শিক্ষককে প্রতিনিয়ত ঘুমে রেখে অবলীলায় অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে কিন্তু সামনে সবাই সাধু মহা সজ্জন!

প্রায় সবাই সমস্যাগ্রস্ত। মোবাইল-কম্পিউটারের হিস্ট্রি দেখলে বুঝা যায় পর্নোগ্রাফিতে প্রায় সবাই কম বেশি আসক্ত। তাই চলে হরদম লুকোচুরি খেলা! স্বামী বাহিরে ভন্ডামিতে পাকা খেলোয়াড়, ঘরে আদর্শ স্বামী। স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী এজমালি সম্পত্তি, স্বামীর উপস্থিতিতে সতী সাধ্বী! আগে প্রেমিক/প্রেমিকাকে মোবাইলে ওয়াইটিং দেখালে হাজারো কৈফিয়ত দিতে হত, চ্যাটিংয়ে ওয়াইটিংয়ে ধরা পড়ার ভয়টা অন্তত নেই তাই অসংখ্য জনের সাথে খুব নিরাপদভাবেই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারছে। কখনো একে অপরের অপকর্ম দেখে ফেললেও জোর দিয়ে কিছু বলতে পারে না, কারণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দুজনারি বড্ড নড়বড়ে।

এ অবস্থায় নিকটজনের নষ্ট হয়ে যাওয়ার একশভাগের মাত্র দুইভাগ আলামত দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবেন না! দোষটা শুধু তার একার নয় বরং সে বহমান কলুষিত সমাজের দোষে দূষ্ট। অন্যায়কাজে চতুর্মুখী হাতছানি এবং উপাদান সহজলভ্যতায় সে বেদিশা। নষ্ট সমাজের বিষ বাষ্পে তার পেট ভরে আছে, ফলে আপনার আদেশ, উপদেশ, নীতিকথা তার এক কান দিয়ে ঢুকে, অন্য কান দিয়ে ফুড়ুৎ করে বেরিয়ে যায়।

এমন গো ধরে থাকবেন না যে, 'সে আমার ছোট ভাই/বোন, অথবা সন্তান হয়ে এমন করবে, তা আমি কিছুতেই বরদাশত করব না!। তার মানে এও নয় যে, আপনি শাসন করবেন না। আপনার এখতিয়ার অনুযায়ী শাসন অবশ্যই করতে হবে। আর ‘শাসন করাতো তাকেই সাজে, আদর করে যে’।

কৃত অপরাধের জন্য যতনাটা বকা বা শাস্তি দেবেন, তার চেয়ে বেশি বেশি করে সাধারণভাবে ন্যায় অন্যায়ের বিষয়গুলো এবং দুজাহানে তার আশু পরিণতি তার মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে, তাতে করে দুচারবার অন্যায়ে মিশে গেলেও নিশ্চয় সঠিক পথে ফিরে আসবে এবং ধীরে ধীরে ব্যক্তির মাঝে পরিবর্তন আসবে, সর্বোপরি সমাজটাকেই পরিবর্তন করতে পারলে তবেই আপনার উপদেশ তার কান আমলে নেবে।
হতে পারে সে আপনার সন্তান, আপনার স্ত্রী/স্বামী, ছোট/বোন, স্যোশাল মিডিয়ায় তার কাজ সম্পর্কে খোঁজ নিন, উপকারী জিনিসগুলোর সাথে পরিচয় করি দিন, পড়াশোনা সংক্রান্ত গ্রুপ-পেইজ-ওয়েবসাইট ভিজিটে বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করুন, প্রযুক্তির সদ্বব্যবহার করতে শেখান, আর সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম, সদা সৎসঙ্গ এবং উত্তম পরিবেশের ব্যবস্থা করুন। তাহলে স্যোশাল মিডিয়া তার জীবনে অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ হয়েই দেখা দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×