২০৩০ সাল আমাদের পাড়ার সবজি বিক্রেতা ঝন্টু মিয়া গত সপ্তাহে মারা গেছে, সে প্রতিদিন তার ডিজিটাল ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতো আমার কখনো দোকানে যাওয়া লাগতো না আমি বাসায় বসে jhontotorkari.bd তে সব্জির সরাসরি ভিডিও দেখে Order দিতাম ৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় সবজি হাজির হত! খুব ভাল অনলাইন সার্ভিস... ঝন্টুর ছেল র্যামটু ও এই ব্যাবসা শুরু করেছে কিন্তু সবজি নয় সে প্রতি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভ্যানে করে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব, ভিজুয়াল স্ক্রিন মোবাইল ইত্যাদি বিক্রি করে!! হায়রে প্রযুক্তি পুরাই ভ্যানে চলে এলো! আমার মেয়েটি প্লেতে উঠছে তার হোমোয়ার্ক করতে পকেট ল্যাপটপ লাগবে সরাসরি বাসায় বসে ম্যাডাম কে পড়া দেখাতে হবে!! আমাদের সময় গুলো কেমন ব্যাকডেটেড ছিল তাই না! সকাল ৯টা কলিংবেলের শব্দ অফিসে যাওয়ার তারাহুরা তবু দরজাটা খুললাম দেখি র্যামটু মিয়া মুখে একটা হাসি দিয়ে
-সালাম স্যার! ম্যাডাম বাসায় আছে?
-কেন! কি দরকার?
-সেদিন বলছিলো একটা পকেট ল্যাপটপ লাগবে তা নিয়ে আসলাম খুব সুন্দর দেখতে সাথে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড এন্টিভাইরাস ফ্রি।
-সেকেণ্ড হ্যান্ড এন্টিভাইরাস!!
কি বলে ছোকড়া! ওর নামের সাথে ওর কাজ ব্যাবহার তো দেখি একিই রকম পুরাই র্যাম-২! আমাদের সময় একটা ল্যাপটপ কিনতে হিমশিম খেতো সবাই, আর এখন সেসময়য়ের সিমের দামের মত, কদিন পরে তো এরকম দোকানদারদের বলতে হবে এই যে শুনছেন আমার কাছে টাকা নাই বাসায় কিছু আলু আর পিয়াজ আছে তা নিয়ে আমায় একটা ল্যাপটপ দিয়ে যান আর দোকানদার খুশি হয়ে ল্যাপটপ আর সাথে ফ্রি সেকেন্ড হ্যান্ড এন্টিভাইরাসও দিয়ে যাবে! হায়রে জগত পুরাই ডিজিটাল কারবার...
অবশেষে আমার স্ত্রী র্যামটুর কাছ থেকে পুরা বারটা পকেট ল্যাপটপ নিলো পুরায় মূল্যহ্রাস দাম আমাদের ফ্যামিলির মাসের এক বস্তা চালের দামের সমান!! তার বাবার বাড়ি গিফট পাঠাবে...
চলবে...