somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিন :পর্ব —০১

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন থেকে আমার ইচ্ছা জিন নিয়ে কিছু লিখব,যতটুকু জিন বিষয়ে জানা আছে,কিন্তু বিভিন্ন বাধা বিপত্তি,এবং মানষিক অপ্রস্তুতির কারনে লিখতে পারিনা।

আমি সাধারনত লিখিনা যতক্ষন না ভিতর থেকে লেখার উদ্দিপনা আসে,সবসময় লেখার জন্য মন প্রস্তুত থাকে না,মন লিখার জন্য অনুমতিও দেয়না।বাধা বিপত্তি অথবা মানষিক অপ্রস্তুতি নিয়ে লিখলে সেই লেখা উপকারিও হয়না।এবং সেই লেখার কোনো প্রভাব থাকেনা।

আমার মন খুব কমই লেখার জন্য অনুমতি দেয়।যদিও আমার হাতে প্রচুর সময় থাকে,যখনই লিখতে বসি তখনই মন বলে, লিখবেনা,আমার পক্ষ থেকে লিখার অনুমতি নাই।অনুমতি ছাড়া যদি কিছু লিখো,লিখতে পারো,কিন্তু তা কোনো কাজের হবেনা!


প্রিয় পাঠক অনেক বকবক করলাম।জিন নিয়ে লেখাটা খুবই সংবেদনশীল।কারন—
১।জিন আমাদের বাহ্যিক চক্ষুর অন্তরালে থাকে, এজন্য বস্তুবাদি, আত্মা অবিশ্বাসি নাস্তিকরা জিন বিশ্বাস করেনা।তাদের জন্য মুলত আমার লেখাগুলো নয়।
২।জীন মানুষের থেকেও বিশৃঙ্খল জাতি।
৩।জিন মানুষের আশেপাশেই থাকে,জিনেরা মানুষের কার্যকলাপ লক্ষ করে।সুযোগ পেলে তারা মানুষকে আক্রমন ও করে।
৪।জিন নিয়ে লিখলে অনেকের নিকট সেগুলো অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে,কারন জিনদের ঘটনাগুলো খুবই আশ্চর্যজনক।
৫।কুরআন মাজিদে জিনের অস্তিত্বের প্রমান রয়েছে,কিন্তু বিস্তারিত তেমন কিছু বলা হয়নি,এবং তার কোনো দরকারও নেই মানুষের জন্য।

জিনদেরকে কি দিয়ে বানানো হয়েছে?
জিনদেরকে অগ্নি শিখা দিয়ে বানানো হয়েছে।(দেখুন সূরা আর রহমান)
এবং জিনদেরকে মানুষ বানানোর আগেই বানানো হয়েছে।মি.ইবলিশ সাহেবও জিনদের একজন সদস্য।এজন্য জিনদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।মানুষ শয়তানদের থেকেও পৃথিবীতে জিন শয়তানদের সংখ্যা বেশি।
জিনদেরকে কেন দেখা যায়না?
জিনরা মূলত বাতাশ অথবা বিদ্যুৎ টাইপ একটা জিনিস।এখন যদি প্রশ্ন করা হয় বিদ্যুৎ কেন দেখা যায়না,তাহলে যেই উত্তর হবে জিনদের ক্ষেত্রেও একই উত্তর হবে?
জিনদেরকে বিশ্বাস না করলে কি ইমানের কোনো ক্ষতি হবে?
জিনদেরকে বিশ্বাস না করলে ইমান পরিপূর্ণ হবেনা।কারন জিন জাতির অস্তিত্ব কুরআনের অনেক আয়াত দ্বারা প্রমানিত।, সুতরাং জিন অস্বীকার করা মানে কুরআনের আয়াতকে অস্বীকার করা যা স্পষ্ট কুফরি।

৬।জিনেরা কেন মানুষকে হিংসা করে, এবং জীনরা মূলত কাদেরকে বেশি ধরে,বা আক্রমন করে?
=মানুষদের মধ্যে যেমন হিংসা বিদ্বেষ আছে তেমনি জিনদের মধ্যেও হিংসা বিদ্বেষ আছে।হিংসা করা জিনদের ও আত্মিক একটি রোগ,তারা মানুষের উন্নতি সহ্য করতে পারেনা,হিংসানলে জ্বলে পুরে দগ্ধ হয়।

জিনরা কাদেরকে বেশি আক্রমন করে?
=জিনদের মধ্যে অধিকাংশই শয়তান।এজন্য তারা ধার্মিক এবং নামাজিদেরকে বেশি আক্রমন করে,এবং এতে করে নামাজিদের ক্ষতি না হয়ে বরং উল্টো আরো উপকারই বেশি হয়।জিনরা মুলত ক্ষতি করতে এসে উপকার করে,কিন্তু তারা সেটা বুঝতে পারেনা।যে বুঝতে পারে সে আর ক্ষতি করতে আসেনা,কারন তারা মানুষের উপকার চায়না।
৭।কি অদ্ভুত! কিভাবে তারা ক্ষতি করতে এসে উপকার করে?
=আসলেই বিষয়টা অদ্ভুত! শয়তানও অনেক সময় মানুষের ক্ষতি করতে এসে উপকার করে চলে যায়।যারা বুদ্ধিমান, তারা শয়তানকে উল্টো ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে পারে,কিন্তু তা খুবই কঠিন এবং অনেকের দ্বারা সবসময় সম্ভব হয়না।

একটা জিন যখন মানুষকে ধরে, তখনই সংবেদনশীল মানুষটা হুশিয়ার হয়ে যায়।তার অন্তর্চক্ষু খুলে যায়।আয়াতুল কুরছি পড়া শুরু করে।তারপর আমানার রসূল থেকে পড়ে,এই দুটোই জ্বিন তারানোর জন্য যথেষ্ট।
এতে তার কি উপকার হলো?
প্রথমত বিশ্বাস মজবুত হলো যে জিন সত্যিই আছে!সুতরাং ইলমুল ইয়াকিন থেকে আইনুল ইয়াকিন হাসিল হলো।এটা বিশাল বড় উপকার!
দ্বিতীয়ত উক্ত ব্যাক্তি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত;আমল ইবাদত আরোও বাড়িয়ে দিবে যেন তার সঙ্গী জিনেরা জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যায়,এবং সে শান্তিতে ইবাদত করতে পারে।



সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×