অনেক দিন থেকে আমার ইচ্ছা জিন নিয়ে কিছু লিখব,যতটুকু জিন বিষয়ে জানা আছে,কিন্তু বিভিন্ন বাধা বিপত্তি,এবং মানষিক অপ্রস্তুতির কারনে লিখতে পারিনা।
আমি সাধারনত লিখিনা যতক্ষন না ভিতর থেকে লেখার উদ্দিপনা আসে,সবসময় লেখার জন্য মন প্রস্তুত থাকে না,মন লিখার জন্য অনুমতিও দেয়না।বাধা বিপত্তি অথবা মানষিক অপ্রস্তুতি নিয়ে লিখলে সেই লেখা উপকারিও হয়না।এবং সেই লেখার কোনো প্রভাব থাকেনা।
আমার মন খুব কমই লেখার জন্য অনুমতি দেয়।যদিও আমার হাতে প্রচুর সময় থাকে,যখনই লিখতে বসি তখনই মন বলে, লিখবেনা,আমার পক্ষ থেকে লিখার অনুমতি নাই।অনুমতি ছাড়া যদি কিছু লিখো,লিখতে পারো,কিন্তু তা কোনো কাজের হবেনা!
প্রিয় পাঠক অনেক বকবক করলাম।জিন নিয়ে লেখাটা খুবই সংবেদনশীল।কারন—
১।জিন আমাদের বাহ্যিক চক্ষুর অন্তরালে থাকে, এজন্য বস্তুবাদি, আত্মা অবিশ্বাসি নাস্তিকরা জিন বিশ্বাস করেনা।তাদের জন্য মুলত আমার লেখাগুলো নয়।
২।জীন মানুষের থেকেও বিশৃঙ্খল জাতি।
৩।জিন মানুষের আশেপাশেই থাকে,জিনেরা মানুষের কার্যকলাপ লক্ষ করে।সুযোগ পেলে তারা মানুষকে আক্রমন ও করে।
৪।জিন নিয়ে লিখলে অনেকের নিকট সেগুলো অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে,কারন জিনদের ঘটনাগুলো খুবই আশ্চর্যজনক।
৫।কুরআন মাজিদে জিনের অস্তিত্বের প্রমান রয়েছে,কিন্তু বিস্তারিত তেমন কিছু বলা হয়নি,এবং তার কোনো দরকারও নেই মানুষের জন্য।
জিনদেরকে কি দিয়ে বানানো হয়েছে?
জিনদেরকে অগ্নি শিখা দিয়ে বানানো হয়েছে।(দেখুন সূরা আর রহমান)
এবং জিনদেরকে মানুষ বানানোর আগেই বানানো হয়েছে।মি.ইবলিশ সাহেবও জিনদের একজন সদস্য।এজন্য জিনদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।মানুষ শয়তানদের থেকেও পৃথিবীতে জিন শয়তানদের সংখ্যা বেশি।
জিনদেরকে কেন দেখা যায়না?
জিনরা মূলত বাতাশ অথবা বিদ্যুৎ টাইপ একটা জিনিস।এখন যদি প্রশ্ন করা হয় বিদ্যুৎ কেন দেখা যায়না,তাহলে যেই উত্তর হবে জিনদের ক্ষেত্রেও একই উত্তর হবে?
জিনদেরকে বিশ্বাস না করলে কি ইমানের কোনো ক্ষতি হবে?
জিনদেরকে বিশ্বাস না করলে ইমান পরিপূর্ণ হবেনা।কারন জিন জাতির অস্তিত্ব কুরআনের অনেক আয়াত দ্বারা প্রমানিত।, সুতরাং জিন অস্বীকার করা মানে কুরআনের আয়াতকে অস্বীকার করা যা স্পষ্ট কুফরি।
৬।জিনেরা কেন মানুষকে হিংসা করে, এবং জীনরা মূলত কাদেরকে বেশি ধরে,বা আক্রমন করে?
=মানুষদের মধ্যে যেমন হিংসা বিদ্বেষ আছে তেমনি জিনদের মধ্যেও হিংসা বিদ্বেষ আছে।হিংসা করা জিনদের ও আত্মিক একটি রোগ,তারা মানুষের উন্নতি সহ্য করতে পারেনা,হিংসানলে জ্বলে পুরে দগ্ধ হয়।
জিনরা কাদেরকে বেশি আক্রমন করে?
=জিনদের মধ্যে অধিকাংশই শয়তান।এজন্য তারা ধার্মিক এবং নামাজিদেরকে বেশি আক্রমন করে,এবং এতে করে নামাজিদের ক্ষতি না হয়ে বরং উল্টো আরো উপকারই বেশি হয়।জিনরা মুলত ক্ষতি করতে এসে উপকার করে,কিন্তু তারা সেটা বুঝতে পারেনা।যে বুঝতে পারে সে আর ক্ষতি করতে আসেনা,কারন তারা মানুষের উপকার চায়না।
৭।কি অদ্ভুত! কিভাবে তারা ক্ষতি করতে এসে উপকার করে?
=আসলেই বিষয়টা অদ্ভুত! শয়তানও অনেক সময় মানুষের ক্ষতি করতে এসে উপকার করে চলে যায়।যারা বুদ্ধিমান, তারা শয়তানকে উল্টো ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে পারে,কিন্তু তা খুবই কঠিন এবং অনেকের দ্বারা সবসময় সম্ভব হয়না।
একটা জিন যখন মানুষকে ধরে, তখনই সংবেদনশীল মানুষটা হুশিয়ার হয়ে যায়।তার অন্তর্চক্ষু খুলে যায়।আয়াতুল কুরছি পড়া শুরু করে।তারপর আমানার রসূল থেকে পড়ে,এই দুটোই জ্বিন তারানোর জন্য যথেষ্ট।
এতে তার কি উপকার হলো?
প্রথমত বিশ্বাস মজবুত হলো যে জিন সত্যিই আছে!সুতরাং ইলমুল ইয়াকিন থেকে আইনুল ইয়াকিন হাসিল হলো।এটা বিশাল বড় উপকার!
দ্বিতীয়ত উক্ত ব্যাক্তি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত;আমল ইবাদত আরোও বাড়িয়ে দিবে যেন তার সঙ্গী জিনেরা জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যায়,এবং সে শান্তিতে ইবাদত করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




