বিয়ের ৮ মাস পর পেটে সন্তান এসেছে শাহীনূর আক্তার মনি'র।সময় গড়িয়ে ৭ মাস। ৭মাসের সন্তান পেটে নিয়ে মনির অসুস্থতা দেখা দিল। হঠাৎ করেই শরীরে পানি জমতে শুরু করলো। হাত,পা, মুখ ফুলে গোঁদ রোগের মত হয়ে গেল।
কিন্তু স্বামীর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।
আপনা আপনি ঠিক হয়ে যাবে। স্বামীর এমন উদাসীনতা দেখে অসুস্থ অবস্থায় বাবার বাসায় ফিরে আসে মনি।চিকিৎসা করে সুস্থ হয় মনি।
২ মাস পর, আবারো দেখা দিয়েছে সেই সমস্যা। হাত পা ফুলে খারাপ অবস্থা। এর মধ্যে আবার প্রসব ব্যাথা উঠেছে।
ডাক্তার বলল এই শরীরে সিজার করা সম্ভব না। গায়ে পানি জমে আছে, সেই সাথে রক্তশূন্যতা।
নরমাল ছাড়া উপায় নেই।
কিন্তু সেখানেও বিপত্তি, পেটের সন্তান মায়ের সাথে সংযুক্ত নাড়ে নিজেকে পেঁচিয়ে ফেলেছে। বাচ্চা কোন নড়াচড়া করতে পাচ্ছে না।
যা করার দ্রুত করতে হবে। কিন্তু সিজার কিংবা নরমাল দুটোই ক্ষতিকারক।
মা শিশু দুজনের ক্ষতি। তাহলে কি হবে?
সারা রাত ভর আল্লাহ কাছে ফরিয়াদ করা হোল।
অনেকটা রিক্স নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করানো হল, ফজরের আজানের একটু পরেই একটি পুত্র সন্তান হলো। পুরো শরীরে পেঁচিয়ে আছে নাড়।
জন্ম হলো এক সন্তানের। যার জন্ম টাই হয়েছিল ভয়ংকর। কষ্টকর। দিন যতই গড়িয়েছে ছেলেটা ততই বেশি কষ্ট পেয়েছে তার চেয়ে বেশি দিয়েছে।
যাই হোক ছেলেটার নাম রাখা হলো ইমরান।
দিনে দিনে বছর পুরে পেরোলো ২৩ টা বছর
বাই দা ওয়ে যারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাদের সবাই কে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা।