somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডায়েরিঃ মিমের হত্যা, অতঃপর

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডায়েরিঃ মিমের হত্যা, অতঃপর
রাত ৩ টা, বনানী কবরস্থানের পাশে লাল গাড়িটা দাড়ানো। ওটায় হেলান দিয়ে আছে মারুফ। হাতের উপর মাথা রেখে। বুঝলাম ওর নেশা লেগেছে। এখানে আসার আগে দুটা স্টিক খাইয়েছি ওকে, যেন বমি না করে।
বুক পকেট থেকে মালবোরো লাইট বের করে ধরালাম। কুত্তার বাচ্চা গার্ড টা এখনো আসছে না কেন?? মরলো নাতো আবার??
মারুফের দিকে এগিয়ে যেতেই লাল গাড়িটায় একটা আলো এসে পড়লো, টর্চ লাইটের। একটু ঘাবরে গেলাম, সাথে আইডি কার্ড আনি নি। ভুলে রেখে এসেছি রুমে।
টর্চের আলো সামনে এসে পৌছালো, যাক বাবা এটা অন্য কেউ না,কবরস্থানের গার্ড ছিল।
খেঁকি লাগিয়ে বললাম, কিরে হারামজাদা এতোক্ষন কই ছিলি?
--স্যার, একটু ওদিক টায় টহল দিতে গেছিলাম।
লন এইবার আগাই।
গাড়ির পিছন থেকে কোদাল বের করতে করতে মারুফ কে ইশারা দিলাম। শরীরের ব্যালেন্স ঠিক রেখেছে ব্যাটা। অনেকদিন ধরে নেশা করে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। যাই হোক, বনানী কবরস্থানের ডান দিক দিয়ে ইটের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সামনে গার্ড পিছনে আমি। মাঝে মারুফ। কবরটা দেখিয়ে দিয়ে গার্ড সরে যেতে লাগলো, আমি ডেকে নিলাম। পকেট থেকে ১ লাখ টাকার একটা বান্ডিল বের করে ওর হাতে ধরিয়ে দিলাম।
কাঁপা কাঁপা হাতে টাকাটা নিয়ে এদিক ওদিক তাকালো,বড় বড় চোখ,তবে ভীতসন্ত্রস্ত ভাবে লুঙ্গীর কোঁচায় টাকাটা ভরে নিলো।
আমি চোখ টিপে দিলাম, ও হাসলো।
দেরি করলেই লেট, চারিদিকে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ হচ্ছে, কোদাল দিয়ে কবরের মাটি সরাতে লাগলাম, একপাশে গর্ত হয়ে এলো। যতদ্রুত করা যায় ততঈ ভালো। মারুফ ঠায় দাড়িয়ে, একটা শব্দ করে ডাকলাম " মারুফ এদিকে আয় "।
গর্তের পাশের বাশের চাঁটারি সরিয়ে নিলাম। হুম সাদা কাফনের লাশ দেখা যাচ্ছে। মারুফ গর্ত দিয়ে নেমে গেল। উপরে আমি, তাগাদা দিলাম তারাতাড়ি লাশ তোলার জন্য, কিন্তু একে তো নেশা করেছে তার উপর ৭ দিনের গলিত লাশ লাশ তুলতে গিয়ে নিজেই পড়ে গেল। অনেকক্ষন ধরে চেষ্টা করলাম লাশ তোলার জন্য, কিন্তু মারুফ কিছুতেই লাশ তুলতে পারছেন, গলে গিয়ে বেশ ভার হয়ে আছে।
এভাবে সম্ভব না, মাটি আরো সরাতে লাগলাম বেশ একটা মাঝারি ফাকা করে ফেললাম।
মারুফ কে উপরে উঠে আসতে বললাম, ও উঠে আসতেই আমি নেমে গেলাম। ভ্যাপসা গরম লাগছে। লাশের কাফন সরিয়ে নিলাম।হুম মিমের লাশ এটা, নাক দিয়ে দুইটা পোকা বেরিয়ে এলো, চোখটা গলে গেছে। ওয়াক, বিচ্ছিরি একটা উক্টা গন্ধ এসে নাকে লাগলো।
পকেট থেকে কটন মাক্স বের করে মুখে পড়ে নিলাম। তাড়াহুড়ো তে ছোট ভুল হয়, আমাকে সাবধান থাকা দরকার।
দেরি হয়ে যাচ্ছে, মোজার ভিতর রাখা সেফটি চাকুটা বের করে নিলাম, মিমের থুতনির নিচে একটা পোচ দিলাম, এমনিতেই লাশ নরম হয়ে গেছে, বেগ পেতে হলো না। গলা পর্যন্ত কেটে গেল। থুতনিতে ধরে একটা টান দিলাম ঘার পর্যন্ত চিড়ে এলো। চাকু দিয়ে ধর কেটে দিলাম। দেহ থেকে মাথা পুরো আলাদা হয়ে গেল।
মারুফ একটু ভয় পায়, তাই টিশার্ট খুলে মাথাটা মুড়ে নিলাম। বিশাল চুল হাতে বেধে যাচ্ছে। গর্তের মুখে মাথা রেখে বেড়িয়ে এলাম। কবর আগের মত করে হাটা দিলাম।
গাড়ি স্টার্ট দিতেই গার্ড আবার দৌড়ে এলো। কোদাল হাতে, শীট এটা মারুফ ছেড়ে এসেছে। গাড়ির পিছনে কাটা মাথার পাশে কোদাল তুলে রাখলাম।
কোমর থেকে "ডার্ক নোভা এম-১০ " পিস্তল বের করে গার্ড কে গুলি করে দিলাম। কোমরে তার এক লাখ টাকা। ওটা ওর পরিবারের কাজে দিবে। সিরিয়াস কেসে সাক্ষী রাখতে নেই।
----
স্টোর রুমে বিলিচিং পানি গরম করছি, পাশে মিমের কাটা মাথা। মারুফ দুবার বমি করে ফেলেছে। গলিত মাথা থেকে যেন গন্ধ না আসে তাই কেরোসিন ঢেলে দিয়েছি আগেই, টিশার্ট দিয়ে ঢেলে রেখেছি। পানি গরম হলেই মাথাটা সেদ্ধ করবো।
কিছুক্ষন পড়ে পানি টগবগ করতে পাগলো। চাকু দিয়ে কাটা মাথার চুল কেটে দিলাম। তারপর পানিতে ছেড়ে দিলাম। দিয়ে ঢেকে দিলাম।
মারুফ এতোক্ষনে মুখ খুললো।
আচ্ছা তু ওকে হত্যা করছিস এটার তো কোন প্রমান নেই। তাহলে এই লাশের মাথা চুরি করলি কেন?
-- চুপ করে থাক, খবর দেখিস নি?
--- নাহ কেন?
---মার্ডার কেস। কিছুতেই ক্লু পাচ্ছে না, তাই লাশ কাল আবার উত্তোলন করা হবে।
---এর সাথে তোর রিলেশন কি?
---বললাম চুপ করে থাক, ৬ ঘন্টা পর টের পাবি।
৭ ঘন্টা পর,
মারুফ আমাকে ডেকে তুললো। উঠেই স্টোর রুমে চলে গেলাম। পুরো ঘরে কেরোসিন ছিটিয়ে দিলাম, যেন গন্ধ কেটে যায়।
চুলার জ্বাল নিভিয়ে দিলাম। ঢাকনা তুলে দেখলাম, হ্যাঁ মাংশ সব গলে ছুটে গিয়েছে। শুধু কংকাল দেখা যাচ্ছে।
পাশে রাখা বড় চুম্বক টায় একটা দরিতে বেধে হাড়িতে ঢুকিয়ে দিলাম। একটা লোহার ধাতব কিছু আটকে গেল।
চুম্বক তুলে নিলাম। চুম্বকের সাথে আটকে আছে গোল্ডেন কালারের একটা গুলি।
মারুফের মুখ হা হয়ে গেল। এটা কি?
গুলি টা হাতে নিয়ে বললাম, একটা গুলি।
--এখানে কেন?
--নাম টা দেখ বুঝবি।
--মারুফ গুলি টা নিয়ে গায়ের নামটা দেখে আঁতকে উঠলো, D Avan... এটা তো তোর।
--- হুম আমি।
---কিন্তু তোর তো অন্য পিস্তল দিয়ে গুলি করার কথা।
-- হুম, খুব ঠান্ডা মাথায়।কিন্তু একটা ভুল
--মারুফ আমার কলার চেপে ধরে বললো কি ভুল??
বললাম দাড়া। রুম থেকে দুটো পিস্তল নিয়ে এলাম। মারুফ চোখ বড় করে দেখতে লাগলো..
দুটোই "ডার্ক নোভা এম-10"
শুন, একটা এম- 10 আমার অফিসের। D Avan এর। আরেকটা গত বছর আমেরিকায় কিনেছিলাম C Avan নামে।
অফিসিয়াল গুলোর বুলেট এ নাম খোদাই থাকে।
যখন মিম কে হত্যা করে ফিরে আসলাম, পকেটে চেক করে যেখানে ৬-৪ বুলেট থাকার কথা। কারন আমি মিম কে ২ টা গুলি করছি।
কিন্তু পকেট চেক করে দেখি বুলেট ৫-৫ হয়ে আছে।মানে ভুলে অফিসিয়াল বুলেট নন অফিসিয়াল এ ট্রেক করে ফেলছি।
ভাগ্য ভালো বোকা ডাক্তার মাথার গুলি টা বের করতে পারে নি।
মারুফ আমাকে চোখ টিপে দিলো। তারপর একটা ডেভিলের হাসি দিয়ে বললো,
D Avan you are so dashing killer....
আমি হাসলাম, নন অফিসিয়াল এম-১০ হাতে নিয়ে মারুফ কে গুলি করে দিলাম। মারুফ ঢলে পড়ে গেল...
সিরিয়াস কেসে সাক্ষী রাখতে নেই, এখন শুধু মারুফের লাশ টা সেদ্ধ করতে হবে.......
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×