ভারত নির্মীত ফারাক্কা বাঁধের কারণে রাজশাহী বিভাগের একটি বড় অংশে ইতোমধ্যেই মরুকরণ প্রক্রিয়া হয়েছে।
ভারতীয় সীমানা রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমানায় নিয়মিত খুন করছে বাংলাদেশীদের।
বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যে ছেয়ে গেছে। কিন্তু ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার নেই।
বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে ভারতীয় চ্যানেল দেখা যায়। কিন্তু ভারতের অন্য প্রদেশ তো দূরে থাক পাশ্ববর্তী শহর কোলকাতাতেও কোন বাংলাদেশী চ্যানেল দেখা যায় না। উদ্দেশ্য ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচার ঠেকানো।
ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকা পড়লে মনে হয় ভারতের এক নম্বর শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান কিংবা চীন নয়, বাংলাদেশ। হেন অপপ্রচার নেই যা তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চালায় না।
এসবের সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে টিপাইমুখ বাঁধ। এই বাঁধ নির্মীত হলে সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে। মরে যাবে অনেক নদী। আশংকা তৈরি হবে ভূমিকম্পের। আর বন্যার সময় তলিয়ে যাবে গোটা সিলেট।
এ ব্যাপারে সরকার নির্বিকার। গত কয়েকদিনে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গেছে টিপাইমুখি বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকাই রাখবে না বর্তমান সরকার। কোন কোন মন্ত্রী তো এক ধাপ এগিয়ে এই বাঁধের পক্ষে কথা বলেছেন।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে লড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এদেশের জনগণকেই। আর এর উপযুক্ত সময় এখনই।
টিপাইমুখি বাঁধসহ ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়তে রাজি কারা, আওয়াজ দিন।